ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

ত্বকের সমস্যা বাত ব্যথায় মৌমাছির হুল ফুটিয়ে চিকিৎসা 

মুজাহিদ বিল্লাহ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:১৪, ২৬ মে ২০২৩   আপডেট: ১৩:৪১, ২৬ মে ২০২৩
ত্বকের সমস্যা বাত ব্যথায় মৌমাছির হুল ফুটিয়ে চিকিৎসা 

‘মৌমাছির কামড়’ অনেকের কাছেই আতঙ্ক! সেই কামড়ের যন্ত্রণা তারাই ভালো জানেন যারা কামড় খেয়েছেন। শুনলে অবাক হবেন, মৌমাছির কামড় অর্থাৎ হুল ফুটিয়ে করা হচ্ছে চিকিৎসা। চিকিৎসায় রোগ নিরাময় হচ্ছে এবং জনপ্রিয় হচ্ছে এই চিকিৎসাপদ্ধতি। 

সিরিয়ার একটি ক্লিনিকে পাওয়া যাচ্ছে এই সেবা। শরীরে ব্যথা উপশমসহ বেশ কয়েকটি কারণে ব্যবহার করা হচ্ছে হুল থেরাপি। হুল ছাড়াও মধু এবং নানা উপকরণ ব্যবহার করা হচ্ছে এই চিকিৎসাপদ্ধতিতে। অল্প খরচে চিকিৎসা হওয়ায় বেশ জনপ্রিয় এই পদ্ধতি। যদিও বিশেষজ্ঞদের মতে, বিষ প্রয়োগে স্বাস্থ্য ঝুঁকির শঙ্কা আছে।

২০১৫ সাল থেকেই মানুষকে এই চিকিৎসা দিয়ে আসছেন সিরিয়ার ইসাম ওদাহ। পেশায় তিনি পশু চিকিৎসক। তবে দীর্ঘদিন মৌমাছি নিয়ে গবেষণা করেছেন। ত্বকের সমস্যা, বাত, শরীরের বিভিন্ন অংশে ব্যথাসহ কয়েকটি রোগের চিকিৎসায় তিনি দিচ্ছেন মৌমাছির হুল থেরাপি। এছাড়া, মধুসহ পতঙ্গটির অন্যান্য উপাদান ব্যবহার করেন তিনি। তার দাবি, এই থেরাপি যেমন সাশ্রয়ী তেমনি উপকারী।

ইসাম ওদাহ গণমাধ্যমে বলেন, আমাদের প্রকল্পের লক্ষ্য শুধু থেরাপি দেয়া নয়, এটি সম্পূর্ণ একটি চিকিৎসা পদ্ধতি। রোগীর শরীরে এক বা একাধিক হুল ফোটানোর পাশাপাশি আমি তাদের মধু ও পরাগের চিকিৎসাও দিয়ে থাকি। এই চিকিৎসা খুবই সাশ্রয়ী। আমরা আর্থিক লাভের চেয়ে রোগীর সুস্থতাকে বেশি প্রাধান্য দেই। 

মৌমাছির বিষে রয়েছে এনজাইম, প্রোটিন ও অ্যামিনো অ্যাসিডের মতো উপাদান যা ব্যথা উপশমে কাজ করে। ইতোমধ্যে সিরিয়াজুড়ে জনপ্রিয়তা পেয়েছে এই প্রাকৃতিক চিকিৎসা। রোগীর চাপ সামাল দিতে ইসাম ওদাহ খুলেছেন নতুন শাখা। একটি থেরাপিতে ব্যবহার করা হয় ৮-১০ টি মৌমাছির হুল। মৌমাছিগুলোকে একটি বাক্সে সংরক্ষণ করেন তিনি।

খাদিজাহ মোউসিল্লি নামে এক রোগী জানান, বর্তমানে অন্যান্য পদ্ধতিতে চিকিৎসা খরচ অনেক বেশি। এছাড়া, প্রাকৃতিক চিকিৎসা পদ্ধতিতে কোনো রাসায়নিক ব্যবহার করা হয় না। মানুষ লাভবানও হচ্ছে। এ কারণেই এর জনপ্রিয়তা বাড়ছে। আমাকে কোনো ওষুধ খেতে হয়নি। শুধু একটি হুল ফুটিয়ে আর পরাগের ড্রপ মুখে নিয়েই আগের চেয়ে অনেক সুস্থ হয়ে উঠেছি।

মৌমাছির হুল দিয়ে চিকিৎসার এই পদ্ধতি হাজার বছর থেকেই নানা দেশে চলে আসছে। এটি সবচেয়ে বেশি দেখা যায় চীনে। দেশটিতে এ ধরনের চিকিৎসাপদ্ধতি জনপ্রিয়। 

ফিরোজ//

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়