ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সংঘর্ষে আহত দেড় শতাধিক

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:৪১, ৬ এপ্রিল ২০২০   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সংঘর্ষে আহত দেড় শতাধিক

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে পৃথক ৭ সংঘর্ষে উভয়পক্ষের প্রায় দেড় শতাধিক লোক আহত হয়েছেন।

রোববার (৫ এপ্রিল) দুপুর থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত উপজেলার বিটঘর, টিঘর, বড়ইছড়া, ধরন্তি, নোয়াগাঁও ও সৈয়দটুলা গ্রামে এই সংঘর্ষ হয়।

এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, দিঘীতে মাছ ধরা নিয়ে রোববার বিকেলে উপজেলার পানিশ্বর ইউনিয়নের টিঘর গ্রামে দুই দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষে ২০ জন আহত হন।

পুলিশ জানায়, রোববার দুপুরে টিঘর গ্রামের মুসা মিয়ার ছেলে সোহাগ (১৮) ও লোদা মিয়ার ছেলে হেলাল মিয়া (১৮) গ্রামের বড় দিঘিতে মাছ ধরতে যায়। সেখানে মাছ ধরা নিয়ে তাঁদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এর জের ধরে বিকেল ৪টার দিকে মুসা মিয়া ও লোদা মিয়ার পক্ষের কয়েক শ লোক দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে গ্রামের রাস্তায় সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এতে উভয়পক্ষের ২০ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে তিনজনকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতাল এবং বাকিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেয়।

অপর দিকে গান গাওয়াকে কেন্দ্র করে রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার পাকশিমুল ইউনিয়নের বড়ইছড়া গ্রামে দুই দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষে উভয়পক্ষের ৬০ জন আহত হন।

পুলিশ জানায়, রোববার রাতে পাকশিমুল ইউনিয়নের পরমানন্দপুর গ্রামের শাহীন নামে এক যুবক বড়ইছড়া গ্রামের রাস্তা দিয়ে গান গাইতে গাইতে বাড়ি যাচ্ছিল। এ সময় পরমানন্দপুর গ্রামের শহর আলী তাকে গান গাইতে নিষেধ করলে উভয়ের মধ্যে তর্কাতর্কি হয়। পরে শাহীন তার গ্রামে গিয়ে ঘটনাটি জানালে গ্রামের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বড়ইছড়া গ্রামে হামলা করে। এ সময় বড়ইছড়া গ্রামের লোকজনও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এতে সংঘর্ষে উভয় গ্রামের অন্তত ৬০ জন আহত হন। সংঘর্ষ চলাচকালে বড়ইছড়া গ্রামের বেশ কয়েকটি ঘর-বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হয়। আহতদেরকে কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতাল ও সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি ও চিকিৎসা দেওয়া হয়।

এছাড়া রোববার পৃথক সময়ে উপজেলার পানিশ্বর ইউনিয়নের বিটঘর, উপজেলার ধরন্তি, নোয়াগাঁও ও সৈয়দটুলা গ্রামে পৃথকভাবে আরো ৭০ জন আহত হন।

সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদত হোসেনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি ৭টি সংঘর্ষের কথা স্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘এসব সংঘর্ষের ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এএসএম মুছা বলেন, ‘কোরোনা পরিস্থিতিতে পুলিশ তাদের এই কর্মকাণ্ডে বিচলিত। আমি নিজেও বিচলিত।’


রুবেল/মাহি

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়