ঢাকা     শুক্রবার   ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  অগ্রহায়ণ ২১ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

জামিন পেয়েছেন শিপ্রা, সিফাতের আদেশ সোমবার

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:১৩, ৯ আগস্ট ২০২০   আপডেট: ১০:৩৯, ২৫ আগস্ট ২০২০
জামিন পেয়েছেন শিপ্রা, সিফাতের আদেশ সোমবার

শিপ্রা ও সিফাত (ফাইল ছবি)

কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের গুলিতে নিহত অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খানের সঙ্গে থাকা গ্রেপ্তার হওয়া শিক্ষার্থী শিপ্রা দেবনাথের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। একই সঙ্গে গ্রেপ্তার হওয়া অপর সহযোগী রিফাতুল ইসলাম সিফাতের জামিন শুনানি হলে আদেশের জন্য সোমবার (১০ আগস্ট) সময় নির্ধারণ করেছেন আদালত।

রোববার (৯ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কক্সবাজারে রামু জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দেলোয়ার হোসেনের আদালতে জামিন পান শিপ্রা। 

শিপ্রা দেবনাথের আইনজীবী অরূপ বড়ুয়া তপু বিষয়টি রাইজিংবিডিকে নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, শিপ্রার বিরুদ্ধে পুলিশের দায়ের করা মামলায় জামিন আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন না আসা পর্যন্ত শিপ্রার জামিন মঞ্জুর করেন বিচারক। আদেশের লিখিত কপি কারাগারে পৌঁছার পর যে কোনো সময় মুক্তি পাবেন শিপ্রা।

অপরদিকে, নিহত মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খানের আরেক সহযোগী রিফাতুল ইসলাম সিফাতের জামিনের শুনানি শেষে আদেশের দিন ধার্য্য করেছে সোমবার। সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের (টেকনাফ- ৩) বিচারক তামান্ন ফারাহ এ আদেশ দেন। 

সিফাতের আইনজীবী মাহবুবুল আলম টিপু জানান, পুলিশের দায়ের করা হত্যা ও মাদকের দুটি মামলায় সিফাতের জামিন আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে জামিনের জন্য আবার সোমবার দিন ধার্য্য করেছেন আদালত।

গত ৩১ জুলাই (শুক্রবার) রাতে টেকনাফ বাহারছড়া চেকপোস্টে তল্লাশির সময় পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান।

এরপর গত ৩ আগস্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ ঘটনার তদন্তে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মোহাম্মদ মিজানুর রহমানকে প্রধান করে ৪ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করে। বুধবার (৫ আগস্ট) নিহত সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস বাদী হয়ে কক্সবাজারের টেকনাফ জুডিশিয়াল ম্যাজিট আদালতে পরিদর্শক লিয়াকত আলি ও ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ৯ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওইদিন রাতেই টেকনাফ থানায় মামলাটি নথিভুক্ত হয়েছে।

পরদিন বৃহস্পতিবার (৬ আগস্ট) বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ ও পরিদর্শক লিয়াকতসহ মামলার ৭ আসামি আত্মসমর্পণ করেন। পরে র‌্যাব আদালতে প্রত্যেক আসামির বিরুদ্ধে ১০দিন করে রিমান্ডের আবেদন করলে বিচারক পরিদর্শক লিয়াকত, ওসি প্রদীপ এবং এসআই দুলাল রক্ষিতকে ৭দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর এবং ৪ আসামিকে ২ দিন করে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেন। এছাড়া অনুপস্থিত থাকা বাকি ২ জন আসামিকে পলাতক দেখিয়ে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।

তবে জেলা পুলিশের দাবি, মামলায় পলাতক থাকা এএসআই টুটুল ও কনস্টেবল মোস্তফা নামে কোনো পুলিশ সদস্য বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্র এবং টেকনাফ থানায় কর্মরত ছিল না।

এর মধ্যে শনিবার (৮ আগস্ট) দুপুর ২টার পর থেকে কক্সবাজার জেলা কারাগারের ফটকে ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হওয়া ৪ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। রোববার দ্বিতীয় দিনের মতো তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

এছাড়া ৭ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর হওয়া ৩ আসামি লিয়াকত আলী, প্রদীপ কুমার ও এসআই নন্দলাল রক্ষিতকে রোববার (৯আগস্ট) থেকে র‌্যাবের হেফাজতে নেওয়ার কথা রয়েছে।

রুবেল/এসএম

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়