ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

এমসি কলেজে গণধর্ষণ: রনি, রাজন ও আইনুল ৫ দিনের রিমান্ডে

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:২৬, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০   আপডেট: ১৬:০৫, ১৯ অক্টোবর ২০২০
এমসি কলেজে গণধর্ষণ: রনি, রাজন ও আইনুল ৫ দিনের রিমান্ডে

সিলেটের মুরারিচাঁদ (এমসি) কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে আটকে রেখে গৃহবধূকে গণধর্ষণের মামলার আরও তিন আসামিকে ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। এরা হলেন, ৩নং আসামি শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, মামলার এজাহারে থাকা অজ্ঞাতনামা আসামি রাজন এবং আইনুল।

আজ মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে তাদের সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ২য় আদালতে তোলা হয়। তখন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহপরান থানার ওসি (তদন্ত) ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য সাতদিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন করলে বিচারক সাইফুর রহমান ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) অমূল্য কুমার চৌধুরী রিমান্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) খোকন কুমার দত্ত বলেন, আসামিরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে দীর্ঘদিন ধরে অপকর্মের সঙ্গে সম্পৃক্ত কিনা, এই মামলায় আর কারা জড়িত, তাদের গডফাদার কে, গৃহবধূর লুণ্ঠিত স্বর্ণালঙ্কার, টাকাপয়সা কোথায় কার কাছে কী অবস্থায় আছে- তা উদ্ধার সংক্রান্ত বিষয়সহ তদন্তের স্বার্থে সাতদিনের রিমান্ড প্রার্থনা করেন তদন্ত কর্মকর্তা।

তিনি আরও বলেন, আদালতে আসামিদের পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না। আদালত আসামিদের কাছে তাদের বক্তব্য জানতে চান। এ সময় তারা নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন। পরে শুনানি শেষে আদালত তাদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন।

এজলাসে শুনানিকালে উপস্থিত অ্যাডভোকেট হাবিবুর রহমান হাবিব ও দেবব্রত চৌধুরী লিটন বলেন, ‘আমরা সিলেট বারের অনেক আইনজীবী সেখানে ছিলাম। আমাদের কোনো আইনজীবীই আসামিদের পক্ষে দাঁড়াননি। আমরা রাষ্ট্রপক্ষকে সহযোগিতা করেছি। আমরা দৃঢ় কণ্ঠে বলতে চাই, ভবিষ্যতেও এই আসামিদের কিংবা ধর্ষকদের পক্ষে আদালতে দাঁড়াবো না।

পুলিশ পাহারায় দুপুর ১২টার দিকে এই তিনজনকে সিলেট আদালত চত্বরে আনা হলে উৎসুক জনতা তাদের শাস্তির দাবিতে স্লোগান দিতে শুরু করে। এ সময় ‘ফাঁসি চাই, ফাঁসি চাই’ বলে স্লোগান দেয় তারা। তবে কড়া নিরাপত্তার কারণে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি সেখানে।

এমসি কলেজ ক্যাম্পাসে বেড়াতে আসা দম্পতির স্বামীকে আটকে রেখে শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে কলেজ ছাত্রাবাসে নববধূকে ধর্ষণ করে কয়েকজন যুবক। এ ঘটনায় ৬ ছাত্রলীগ কর্মীর নামোল্লেখসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ওই গৃহবধূর স্বামী।

এর মধ্যে এজাহারনামীয় পাঁচ আসামি গ্রেপ্তার হয়েছে। তাদের মধ্যে প্রধান আসামি সাইফুর রহমান, ৪ নম্বর আসামি অর্জুন লস্করকে সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এবং ৫ নম্বর আসামি রবিউল ইসলামকে বিকেলে আদালতে তোলা হয়। আদালত তাদের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এদিকে, সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার হরিপুর এলাকা থেকে ৬নং আসামি মাহফুজুর রহমান মাছুমকে গ্রেপ্তার করেছে কানাইঘাট থানা পুলিশের একটি দল। আজ মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তাকে শাহপরাণ (রহ.) থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। তবে এখনও তাকে আদালতে আনা হয়নি। এ মামলায় ২নং আসামি তারেক এখনও পলাতক আছেন। 
 

নোমান/বকুল 

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়