ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

দুর্ভোগের অপর নাম কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়ক 

জাহাঙ্গীর আলম ইমরুল, কুমিল্লা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:১৫, ২৪ অক্টোবর ২০২০   আপডেট: ১৪:২৯, ২৪ অক্টোবর ২০২০
দুর্ভোগের অপর নাম কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়ক 

কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কে খোড়াখুড়ি-সংস্কারের কাজ বছরের পর বছর চলছে।  তবুও বেহাল এই সড়কে যাতায়াতে মানুষের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে।  বৃষ্টিতে এই দুর্ভোগ আরও বেড়েছে।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, সড়কের বিভিন্ন অংশে গর্ত। মাঝে অসংখ্য খানাখন্দে ভরা। ঝুঁকি নিয়ে আস্তে আস্তে গাড়ি চলছে।  স্থানীয় বাসিন্দা রহিম উল্লাহ বলেন, সড়কের অবস্থা বেহাল। এ কারণে এখানকার লোকজনরা ভোগান্তিতে পড়েছেন।  

স্থানীয়রা জানান, দেশের উত্তর ও পূর্বাঞ্চলের মানুষের একমাত্র যোগাযোগের মাধ্যম এই সড়ক। চট্টগ্রাম বন্দরসহ বাখরাবাদ, গোপালনগর, শ্রীকাইল, বাঙ্গরা, তিতাস, হবিগঞ্জ প্রভৃতি গ্যাস ফিল্ডের সঙ্গে এবং ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তহাট, আখাউড়া স্থলবন্দরের সঙ্গে যোগাযোগে সড়কটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। ক্রমবর্ধমান ভারী যানবাহনের চাপে সড়কটির বিভিন্ন অংশে খানাখন্দের সৃষ্টি, দেবে যাওয়ায় যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে ওঠেছে।

জানা যায়, গত বছরের জুনে ২০১৯-২০ অর্থবছরে কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের ময়নামতি ক্যান্টনমেন্ট থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার কালামুড়া ব্রিজ পর্যন্ত ৪০ কিলোমিটার সড়ক সংস্কার কাজের দরপত্র আহ্বান করা হয়।  দরপত্রে ‘হাসান টেকনো বিল্ডার্স’ ও ‘মেসার্স সোহাগ এন্টার প্রাইজ’ ২৩ কোটি টাকার প্রাক্কলন ব্যায় হিসেবে কাজ পান।  দরপত্রে কাজটি সম্পন্ন করায় ২০১৯ সালের ৯ ডিসেম্বর থেকে চলতি বছরের ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৯ মাস সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়। গত ৮ সেপ্টেম্বর কার্যাদেশের সময়সীমা শেষ হলেও এখনো সড়কের বুড়িচং উপজেলার কংশনগর বাজার ও দেবীদ্বার উপজেলার জাফরগঞ্জ বাজার এলাকায় ঢালাইকৃত অংশের একপাশ চালু হয়নি।

এ বিষয়ে সড়ক ও জনপদ বিভাগ কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী ড. মোহাম্মদ আহাদ উল্লাহ বলেন, অনেক আগেই সড়ক সংস্কার কাজ শেষ হয়েছে। এখনো জাফরগঞ্জ বাজার এলাকার ঢালাই করা অংশের একাংশ চালু না হওয়ার বিষয়টি জানা নেই।  এখন যে কাজ করা হচ্ছে তা ডিপার্টমেন্টাল মেইন্টেনেন্স করা হচ্ছে। দেবীদ্বার থানা গেট এলাকায় সদ্য নির্মিত ঢালাই ভেঙে যাওয়ার বিষয়টি প্রথমে অজানা থাকলেও পরে জানার পর ওই অংশের ৬টি প্যানাল পুনরায় সংস্কারের আশ্বাসও দেন তিনি।

সড়ক ও জনপদ বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, সড়কটি আগামী ৪ থেকে ৬ মাসের মধ্যে ফোর-লেনে উন্নীত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।  দ্রুত সড়কের বর্ধিতকরণের কাজ শুরু হবে। আগামী একনের বৈঠকে বাজেট-পরিকল্পনা চূড়ান্ত অনুমোদন পেতে যাচ্ছে।  

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী জানান, গত একনেকের বৈঠকে ৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ফোর লেন সড়ক নির্মাণের প্রস্তাবনা উত্থাপিত হয়। ওই প্রস্তাব ঋণ চুক্তির শর্তারোপে আটকে গেছে। আগামী একনেক সভায় ঋণচুক্তির শর্ত শিথিল হলে ৬ মাসের মধ্যেই ফোর-লেনের কার্যক্রম শুরু হবে। 

এ বিষয়ে চলমান সংস্কার কাজে নিয়োজিত সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।

কুমিল্লা/সাইফ

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়