ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

মায়ের কোল খুঁজে পেলো ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কুড়িয়ে পাওয়া সেই শিশুটি

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:৩৯, ৩ ডিসেম্বর ২০২০   আপডেট: ০৮:৪২, ৪ ডিসেম্বর ২০২০
মায়ের কোল খুঁজে পেলো ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কুড়িয়ে পাওয়া সেই শিশুটি

অবশেষে মায়ের কোল খুঁজে পেয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রাস্তার পাশ থেকে কুড়িয়ে পাওয়া পাঁচ মাসের সেই ছেলে শিশুটি।

বৃহস্পতিবার (৩ ডিসেম্বর) পাঁচ লাখ টাকার বন্ডে সই করে শিশুটিকে দত্তক হিসেবে গ্রহণ করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার দুবলা গ্রামের নিঃসন্তান এক শিক্ষক দম্পতি। শিশুটির দত্তক মা-বাবা দুজনই দুটি সরকারি কলেজের শিক্ষক।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ পারভেজের নির্দেশে বৃহস্পতিবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. শওকত হোসেন দত্তক মায়ের কোলে শিশুটিকে তুলে দেন।

আদালতের শর্তানুযায়ী দত্তক মাতা-পিতা পাঁচ মাস বয়সী শিশুটিকে নিজের সন্তানের মর্যাদায় লালন পালন ও সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলবেন। তাদের সন্তান জন্মলাভ করলেও দত্তক নেওয়া শিশুটিকে সন্তানের মর্যাদায় লালন পালন, সুশিক্ষায় শিক্ষিত করাসহ তাদের সম্পত্তির উত্তারাধিকার করবেন। 

যদি কখনও শিশুটির প্রকৃত মা-বাবা উপযুক্ত প্রমাণ দিয়ে শিশুটিকে নিতে চায় তাহলে শিশুটিকে প্রকৃত অভিভাবকের কাছে ফেরত দিতে বাধ্য থাকবেন। এছাড়াও শিশুটির সঠিক পরিচর্যা ও দেখভাল হচ্ছে কি না তা যাচাই-বাছাই করে জেলা সমাজসেবা অফিসার প্রতিবেদন দাখিল করবেন।

উল্লেখ্য, গত ২৯ নভেম্বর রোববার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে সদর উপজেলার বাসুদেব ইউনিয়নের ঢাকা-আগরতলা মহাসড়কের পাশে দুবলা গ্রামের একটি সড়কের পাশ থেকে দুবলা গ্রামের কৃষক জহিরুল ইসলাম ও তার স্ত্রী পারভীন আক্তার শিশুটিকে উদ্ধার করেন। 

পাঁচ মাস বয়সী শিশুটিকে একটি ঝোঁপের মধ‌্যে কে বা কারা কাপড় দিয়ে মোড়ানো অবস্থায় ফেলে যায়। শিশুটির কান্না শুনে জহিরুল ইসলাম ও তার স্ত্রী পারভীন আক্তার তাকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যান। বিষয়টি তারা গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিসহ পুলিশকে জানান। 

রাতে সদর থানার পুলিশ শিশুটিকে জহিরুল ইসলামের বাড়ি থেকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। কোনো অভিভাবক না থাকায় নার্সদের সঙ্গে জহিরুল ইসলাম দম্পতি শিশুটিকে দেখাশুনা করেন। 

পরে শিশুটিকে দত্তক নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেন জহিরুল ইসলাম ও তার স্ত্রী পারভীন আক্তার। তারা ছাড়াও নিঃসন্তান আরও ১০ দম্পতি শিশুটিকে দত্তক নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। আদালতের নিদের্শে আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. শওকত হোসেন শিশুটিকে দত্তক মায়ের কোলে তুলে দেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. শওকত হোসেন বলেন, ‘আদালতের নির্দেশে শিশুটিকে বৃহস্পতিবার বিকেলে তার দত্তক মায়ের কোলে তুলে দেওয়া হয়েছে।’

মাইনুদ্দীন রুবেল/সনি

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়