ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

ভোটকেন্দ্রে বোমা বিস্ফোরণ, আহত পুলিশ সদস‌্যসহ ৫ 

মাদারীপুর প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:৩১, ৩১ মার্চ ২০২১   আপডেট: ১৫:৩৩, ৩১ মার্চ ২০২১
ভোটকেন্দ্রে বোমা বিস্ফোরণ, আহত পুলিশ সদস‌্যসহ ৫ 

পাঙ্গাশিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে মারামারি

মাদারীপুরের কালকিনি পৌরসভা নির্বাচনে দুই কেন্দ্রে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী এসএম হানিফের সমর্থকদের সঙ্গে বিদ্রোহী প্রার্থী সোহেল রানা মিঠুর সমর্থকদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।  এতে ১ পুলিশ সদস্যসহ ৫ জন আহত হয়েছেন। 

বুধবার (৩১ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ২ নম্বর পাঙ্গাশিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বেলা সাড়ে ১২টার দিকে শিকারমঙ্গল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এই সংঘর্ষ ঘটে।  মাদারীপুরের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আবির হোসেন এই তথ‌্য নিশ্চিত করেন। 

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, সকাল ৮টা থেকে বিরতিহীনভাবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত মাদারীপুরের কালকিনি পৌরসভার নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। সকাল ৯টার পর থেকেই প্রতিটি কেন্দ্রে ভোটার সংখ্যা বাড়তে থাকে। বেলা ১১টার দিকে পাঙ্গাশিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে আওয়ামী লীগের  এস এম হানিফের সমর্থকরা কেন্দ্রে প্রবেশ করে কেন্দ্র দখল নেওয়া চেষ্টা করেন। এই সময় প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী মেয়র প্রার্থী সোহেল রানা সমর্থকরা তাদের বাধা দেন। এরই জের ধরে দুই পক্ষের সমর্থকরা কেন্দ্রের ভেতরেই মারামারি শুরু করেন। একপর্যায়ে পুলিশ এসে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দিলে তারা বাইরে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। 

এ সময় উভয় পক্ষই অন্তত ১৫টি হাত বোমা বিস্ফোরণ করে ভোটারদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। এতে পুলিশ সদস্য পরিতোষ হালদারসহ ৫ জন আহত হয়েছেন। সংঘর্ষের সময় প্রায় আধা ঘণ্টা ভোটগ্রহণ বন্ধ ছিল। এরপর বেলা ১২টার দিকে নৌকার প্রার্থীর সমর্থকদের সঙ্গে বিদ্রোহী প্রার্থী সমিউর রহমানের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।  

এই প্রসঙ্গে  নির্বাচনে দায়িত্বপালনকারী সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আবির হোসেন বলেন, ‘পাঙ্গাসিয়া ভোটকেন্দ্রের ভেতর কাউন্সিলর ও মেয়র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। পরে কেন্দ্রের বাইরে তারা ১২ থেকে ১৫টি হাত বোমা ছুড়ে ভোটের পরিস্থিতি ঘোলাটে করার চেষ্টা করেন। সংঘর্ষের ঘটনা পুলিশ তাৎক্ষণিক নিয়ন্ত্রণে আনতে ৬ রাউন্ড রাবার বুলেট ও কাদানে গ্যাস ছুড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।  সংঘর্ষের পর ভোটার উপস্থিতি কিছুটা কমে গেলেও পর্যাপ্ত পুলিশ ও বিজিবি মোতায়েন আছে।’

দুপুর ২টার ২ নম্বর পাঙ্গাসিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘কেন্দ্রের ভেতরে কোনো মারামারি হয়নি। বাইরে কিছু অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। কিছুক্ষণ ভোটগ্রহণ বন্ধ থাকলেও পরে পুলিশ প্রশাসনের তৎপরতায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমার কেন্দ্রে ভোটার ২ হাজার ৮৬৭ জন। দুপুর ২টা পর্যন্ত ৪৫ শতাংশ ভোট কাউন্ট হয়েছে। মারামারির পর পুরুষ ভোটার কমে গেলেও নারী ভোটার অনেকেই লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিয়েছেন।’

মাদারীপুর জেলা নির্বাচন ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘এখানে একজন জুডিশিয়াল বিচারকসহ মোট ১০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রে দায়িত্ব পালন করছেন।’ এছাড়া,  ৬৭০ জন পুলিশ সদস্য, ২ প্লাটুন বিজিবি, র‌্যাবের ৩টি টিম, গোয়েন্দা পুলিশ ও আনসার সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন বলেও তিনি জানান।  

/বেলাল রিজভী/এনই/ 

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ