ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

বজ্রপাতে নিহত ১০, আহত ৬

নেত্রকোনা সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:৫৫, ১৮ মে ২০২১   আপডেট: ১২:০৬, ১৯ মে ২০২১
বজ্রপাতে নিহত ১০, আহত ৬

ফাইল ছবি

নেত্রকোনা, মানিকগঞ্জ ও সুনামগঞ্জের পৃথক স্থানে বজ্রপাতে ১০ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ছয় জন।

মঙ্গলবার (১৮ মে) দুপুর থেকে সন্ধ্যার মধ‌্যে এ ঘটনা ঘটে।

নেত্রকোনার জেলা প্রশাসক কাজী আব্দুর রহমান, মানকিগঞ্জ পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. কবীর হোসেন এবং সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) নাজির  আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নেত্রকোনায় বজ্রপাতে নিহতরা হলেন— মদন উপজেলার ফতেপুর গ্রামের মৃত আব্দুল কাদিরের ছেলে হাফেজ মো. শরীফ (১৮) ও মুছা মিয়ার ছেলে হাফেজ রবিন (১৭)। খালিয়াজুরী উপজেলার জগন্নাথপুর গ্রামের ওসেফ মিয়া (৬৫), বিপুল মিয়া (৩২) ও বাতুয়াইল গ্রামের অজ্ঞাত একজন। তার পরিচয় জানা যায়নি। কেন্দুয়া উপজেলার কুন্ডুলী গ্রামের মৃত তৈয়ব আলীর ছেলে কৃষক ফজলু মিয়া (৫৫) ও পাইকুড়া ইউনিয়নের বৈরাটী গ্রামের আহসান খানের ছেলে বাচ্ছু খান (৪৫)।

নেত্রকোনার পূর্বধলা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শিবিরুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার (১৮ মে) বিকেলে বৃষ্টি চলাকালে উপজেলার পালগী গ্রামে বজ্রপাতে ইছাক ফকিরের ছেলে স্কুলছাত্র জুনায়েদ (১১) ঘটনাস্থলে মারা যায়।

এছাড়াও, মানিকগঞ্জে আজমত আলী (৫০) নামের একজন দিনমজুর এবং সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে হাওরে মাছ ধরতে গিয়ে বজ্রপাতে তাহের উদ্দিন (৩৫) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। 

নেত্রকোনার পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে কেন্দুয়া উপজেলার ফজলু মিয়া বাড়ির পাশে সবজি ক্ষেতে কাজ করছিলেন। এসময় বজ্রসহ বৃষ্টি নামে। হঠাৎ বজ্রপাতে মরাত্মকভাবে আহত হন তিনি। খবর পেয়ে স্বজনরা ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধার করে কেন্দুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। 

অপরদিকে একই উপজেলার পাইকুড়া ইউনিয়নের বৈরাটী গ্রামের আহসান খানের ছেলে বাচ্ছু খান মাঠে কাজ করছিলেন। বজ্রপাতে তিনি আহত হন। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। 

এদিকে মদন উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের ফতেপুর গ্রামে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে দুজন নিহত হন। এসময় তিনজন আহত হন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।

এছাড়াও খালিয়াজুরী উপজেলার মেন্দিপুর ইউনিয়নের জগন্নাথপুরের হাওরে মাছ ধরার সময় দুজন নিহত হন। এসময় আরও তিনজন আহত হন। আহতদের উদ্ধার করে মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

জেলা প্রশাসক কাজী আব্দুর রহমান বলেন, ‘বজ্রপাতে সাত জন নিহত হওয়ার খবর পেয়েছি। প্রত্যেকের পরিবারকে ১০ হাজার করে টাকা প্রদান করার জন্য ওইসব উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এদিকে মানিকগঞ্জ পৌরসভার স্থানীয় ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. কবীর হোসেন বলেন, ‘নিহত আজমত আলী পৌলি এলাকার কৃষক আব্দুল হকের বাড়িতে দিনমজুর হিসেবে কাজ করতেন। আজ বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে ক্ষেত থেকে ধানের বোঝা মাথায় নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই মৃত‌্যু হয় তার।

অপরদিকে মঙ্গলবার দুপুরে সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে বন্দেহরি হাওরের মাছ ধরতে যান তাহের উদ্দিন। বিকালে মাছ নিয়ে দোয়ারাবাজারের যাচ্ছিলেন তিনি। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে পৌঁছালে হঠাৎ বজ্রপাত হয়। এতে ঘটনাস্থলেই মৃত‌্যু হয় তার।

দেবল চন্দ্র/সনি

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়