ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

নিয়ন্ত্রণে আসেনি রূপগঞ্জের জুস কারখানায় আগুন, নিহতের সংখ‌্যা বেড়ে ৩

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:০৮, ৯ জুলাই ২০২১   আপডেট: ১৯:৫২, ৯ জুলাই ২০২১
নিয়ন্ত্রণে আসেনি রূপগঞ্জের জুস কারখানায় আগুন, নিহতের সংখ‌্যা বেড়ে ৩

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে হাসেম ফুড বেভারেজ কোম্পানির কারখানায় লাগা আগুন এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। এ ঘটনায় মোরসালিন(২৮) নামের আরও এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এই নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো তিন জনে।

শুক্রবার (৯ জুলাই) সকাল ১০টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট কাজ করছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক আরেফিন সিদ্দিকি।

এ ঘটনায় নিহতরা হলেন— সিলেট জেলার জ্যোতি সরকারের স্ত্রী স্বপ্না রানী (৪৫), দিনাজপুরের চিনিরবন্দর উপজেলার আনিসুর রহমানের ছেলে মোরসালিন (২৮) ও উপজেলার গোলাকান্দাইল নতুন বাজার এলাকার হারুন মিয়ার স্ত্রী মিনা আক্তার (৩৩)। আহতদের স্থানীয় ও ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

উপ-পরিচালক আরেফিন সিদ্দিকি জানান, রাতে ১১টি ইউনিটের সঙ্গে আরও ৭ ইউনিট যোগ দিয়ে মোট ১৮ ইউনিট আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। আগুন ছড়িয়ে পড়া তিন তলা চার তলা ও পাঁচতলার আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। এখন ডাম্পিংয়ের কাজ চলছে। তবে ছয়তলার আগুন এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি। আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রনে আসলে দেখা যাবে কোনো শ্রমিক ভিতরে আটকে ছিল কিনা।

এ পর্যন্ত ৩২ জন আহত শ্রমিককে উদ্ধার করে রূপগঞ্জের কর্নগোপ এলাকাশ ইউএস বাংলা মেডিক‌্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গুরুতর আহত আরও ১০ শ্রমিককে ঢাকা মেডিক‌্যাল কলেজ হাসপাতালে ও শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। নিখোঁজদের মধ্যে শিশুর সংখ্যা বেশি। তবে এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।

নারায়ণগঞ্জ ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের পরিদর্শক (ইনটালিজেন্ট) শেখ বশির আহমেদ জানান,  এখনো ছয়তলায় আগুন ঝলছে। আর আগুন ছড়িয়ে পড়া তিন তলা চার তলা ও পাঁচতলার আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। এখনো ১২ জন শ্রমিক নিখোঁজ রয়েছে বলে তাদের স্বজনরা পুলিশের কাছে জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার কর্ণগোপ এলাকায় অবস্থিত সজীব গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান হাশেম ফুডস লিমিটেডের ছয়তলা ভবনের নিচ তলার একটি ফ্লোরে বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে হঠাৎ করে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আগুনের লেলিহান শিখা বাড়তে থাকে। একপর্যায়ে আগুন পুরো ভবনে ছড়িয়ে পড়ে। কালো ধোঁয়ায় গোটা কারখানাটি অন্ধকার হয়ে যায়। শ্রমিকরা ছোটাছুটি করতে শুরু করেন। কেউ কেউ ভবনের ছাদে অবস্থান নেন। এ সময় ঘটনাস্থলেই স্বপ্না রানী ও মিনা আক্তার নামে দুই নারী শ্রমিক নিহত হন। পরে  রাত ১১টার দিকে ঢাকা মেডিক‌্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে মোরসালিন (২৮) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়।

নারায়ণগঞ্জ/রাকিব/বুলাকী 

ঘটনাপ্রবাহ

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়