ঢাকা     বুধবার   ০৮ মে ২০২৪ ||  বৈশাখ ২৫ ১৪৩১

মাগুরায় নানা আয়োজনে খুলেছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

মাগুরা প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:০০, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২১  
মাগুরায় নানা আয়োজনে খুলেছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে মাগুরায় খুলেছে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বেলুন-রঙ্গিন কাগজ দিয়ে স্কুল সাজিয়ে, আবার কোথাও কেক কেটে স্কুলগুলিতে শিক্ষার্থীদের বরণ করে নিয়েছে শিক্ষক-শিক্ষিকারা।

১৮ মাস বন্ধ থাকার পর সরকারি নির্দেশনা এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে (১২ সেপ্টেম্বর) রবিবার থেকে শুরু হয়েছে জেলার সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম।

প্রথমদিনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে ছাত্রছাত্রীদের ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ করা গেছে।  এ সময় শিক্ষার্থীদের উৎসাহ দিতে এবং তাদের বরণ করে নিতে শিক্ষা বিভাগ ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে উপস্থিত ছিলেন।

প্রায় দেড় বছর পর স্কুল খোলার কারণে সবার মাঝেই ছিল উদ্বেগ ও উৎকন্ঠা।  বিদ্যালয়গুলিতে যাতে শিক্ষার্থীদের কোনো ধরণের সমস্যা না হয় সেজন্য স্কুলগুলিতে রঙ্গীন বেলুনের গেট, কেক কাটাসহ নানা উপকরণে সজ্জিত করতে দেখা যায়। এতে ছেলে মেয়েরা ট্রমা কাটিয়ে পাঠনে মনযোগি হতে পারবে এমন আশা করছেন সংশ্লিষ্ঠরা।  
 
সদর উপজেলার সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা ব্রজেন্দ্রনাথ বিশ্বাস জানান, তার অধীনে থাকা ২৭টি বিদ্যালয়কে শিশুদের আনন্দ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে স্কুলে ফেরাকে স্বাগত জানাতে কেক কাটা, বেলুনসহ রঙ্গীন কাগজ দিয়ে স্কুল সাজানোসহ নানা আয়োজন রাখা হয়েছে।  

তিনি বলেন, ‘দীর্ঘদিন শিশুরা একটি ট্রমার মধ্য দিয়ে গেছে। এসব শিশুদের দুয়েকজনের হয়তো আপনজনও করোনায় মারা গেছেন কিংবা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। এ অবস্থায় শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্যের কথা বিবেচনায় রেখে বিদ্যালয়ের প্রথম দিনটিকে আনন্দঘন করার চেষ্টা করেছি আমরা। আমার বিশ্বাস এর ফলে শিশুরা স্কুলে লেখাপড়ায় আরো মনযোগী হবে।  আশাকরি শিক্ষার্থীরা খুব দ্রুত দেড় বছর স্কুল বন্ধ থাকায় যে ক্ষতি হয়েছে তা কাটিয়ে উঠতে পারবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমরা কোমলমতি শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার জন্য স্বাস্থ্য বিধি মানাকে কড়াকরি করেছি। একই সঙ্গে এ বিষয়ে শিক্ষক ও অভিভাবকদের উৎসাহিত করছি।’

এদিনে জেলার গ্রাম ও শহর পর্যায়ের কয়েকটি স্কুল পরিদর্শন শেষে সদ্য সাবেক প্রাথমিক ও গণ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব আকরাম-আল-হাসান জানান, সরকারের পক্ষ থেকে গ্রাম ও শহরের শিক্ষা বৈষম্য দূর করাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নেয়া হয়েছে।
 
তিনি বলেন, ‘আমার পরামর্শ হলো, আমাদের বিদ্যালয়ের শিক্ষকমন্ডলী নিজ নিজ স্কুলের শিশুদের নিয়ে পৃথক যাচাই বাছাই করে এই ক্ষতি পূরনের জন্য কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করবেন।’

মাগুরা জেলার প্রাথমিক শিক্ষার মেন্টর হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত হাসান বলেন, ‘গ্রাম ও শহরের মধ্যে শিক্ষার যে ব্যবধান হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। আমার বিশ্বাস শিক্ষকদের আন্তরিকতা ও কর্মকর্তাদের তৎপরতায় দ্রুত এ ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে।’

শাহীন/মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়