৩৫৯ ভোট পেয়ে জামানত হারালেন আ.লীগ প্রার্থী কাদির

নেত্রকোনা পূর্বধলা সদর ইউনিয়ন ইউপি নির্বাচনে মাত্র ৩৫৯ ভোট পেয়েছেন আওয়ামী লীগের (নৌকা) চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল কাদির। ৬ হাজার ৭২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী (মোটরসাইকেল) সিদ্দিকুর রহমান বুলবুল।

নির্বাচনে সিদ্দিকুর রহমান বুলবুলের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আশরাফুল করিম তুষার (অটোরিকশা) পেয়েছেন ৫ হাজার ৬৩২ ভোট।

রোববার (২৮ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত নির্বাচনে মোট প্রদত্ত ভোটের আট ভাগের একভাগ পাননি পূর্বধলা সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির। ফলে তার জামানত বাজেয়াপ্ত করেছে নির্বাচন অফিস। 

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, নিরপেক্ষ এবং শান্তিপূর্ণ ভোটে হেরেছেন নৌকার প্রার্থী। নির্বাচনের দিন ভোট কেন্দ্রে নৌকার পক্ষে কোনো ধরনের প্রভাব বিস্তার করতে দেখা যায়নি। স্থানীয় প্রশাসন এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও ছিলেন নিরপেক্ষ। 

আব্দুল কাদিরের মতে, দলীয় নেতা কর্মীরা ঐক্যবদ্ধ না থাকায় হেরেছেন তিনি।

উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, তৃতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনে পূর্বধলা ইউনিয়নের ২৬ হাজার ৬৩০ জন ভোটারের মধ্যে ১৭ হাজার ১২১ জন ভোট দিয়েছেন। 

উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন আহমেদ  বলেন, কোনো প্রার্থী প্রদত্ত ভোটের আট ভাগের একভাগ না পেলে তার জামানত বাজেয়াপ্ত হবে। সে অনুযায়ী পূর্বধলা ইউপিতে ২ হাজার ১৪০ ভোটের নিচে যারা পেয়েছেন, তাদের জামানত বাজেয়াপ্ত হচ্ছে। এই ইউনিয়নে ৭ জন প্রার্থীর মধ্যে আওয়ামী লীগের প্রার্থীসহ ৪ জন জামানত হারাচ্ছেন।

রোববার তৃতীয় ধাপে পূর্বধলা উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে নির্বাচন হয়। এর মধ্যে ৮ টিতে স্বতন্ত্র ও দুটিতে আওয়ামী লীগ জয়ী হয়েছে।

নির্বাচনে জয়ীরা হলেন গোহালাকান্দায় আনোয়ার হোসেন (স্বতন্ত্র), হোগলায় মো. সিরাজুল ইসলাম আকন্দ (স্বতন্ত্র), ঘাগরায় এ কে এম মাজাহারুল ইসলাম (স্বতন্ত্র), বিশকাকুনিতে আল আমিন (স্বতন্ত্র), বৈরাটিতে মুহাম্মদ অনিছুজ্জামান তালুকদার (স্বতন্ত্র), আগিয়ায় মো. সানোয়ার হোসেন চৌধুরী (স্বতন্ত্র), জারিয়ায় মো. আমিনুল ইসলাম মন্ডল নান্টু (স্বতন্ত্র), পূর্বধলা ইউপিতে মো. সিদ্দিকুর রহমান বুলবুল (স্বতন্ত্র), খলিশাউড়ায় কমল কৃষ্ণ সরকার (নৌকা) ও নারান্দিয়া ইউপিতে মো. আব্দুল কুদ্দুস (নৌকা)।