ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

গোবিন্দগঞ্জের কাটাখালীর সম্মুখ লড়াই অবিস্মরণীয় ঘটনা 

গাইবান্ধা সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:৪২, ১২ ডিসেম্বর ২০২১   আপডেট: ১০:৪৩, ১২ ডিসেম্বর ২০২১
গোবিন্দগঞ্জের কাটাখালীর সম্মুখ লড়াই অবিস্মরণীয় ঘটনা 

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ হানাদার মুক্ত দিবস আজ। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে এখানের কাটাখালী নদীর তীরের সম্মুখ লড়াই অবিস্মরণীয় ঘটনা। এই যুদ্ধের পরদিন ১২ ডিসেম্বর গোবিন্দগঞ্জ হানাদার মুক্ত হয়।

বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের পর গোবিন্দগঞ্জের রাজনীতিবিদ, ছাত্র-জনতা সংগঠিত হতে থাকে স্বাধীনতা যুদ্ধে যাওয়ার জন্য। প্রতিরোধ গড়ে তোলেন গোবিন্দগঞ্জের ছাত্র-জনতা । তারা ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে কাটাখালী নদীর উপর নির্মিত কাটাখালী ব্রিজটি ভাঙতে থাকে।

বীব মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম আজাদ বলেন, এর কিছুক্ষণ পরই খবর পেয়ে রংপুর সেনানিবাস থেকে পাক হানাদার বাহিনীর একটি গাড়ী বহর সেখানে পৌঁছে ছাত্র-জনতার ওপর এলোপাথারি গুলিবর্ষণ করতে থাকে। গুলিতে ঘটনাস্থলেই শহীদ হন বাবলু মোহন্ত, আব্দুল মান্নান, আব্দুল মজিদ, হারেস , ফজলুল করিম, তোবারক আলী, আব্দুল কুদ্দুস, মোনোয়ার হোসেন, সিরাজুল ইসলাম, ফেরদৌস বাবু দত্ত ১১ জন। আহত হন বেশ কয়েক জন ছাত্র- জনতা। 

যুদ্ধের পর শহীদদের স্মরণ করতে কাটাখালীতে নির্মিত হয়েছে স্মৃতিসৌধ, নামফলক। 

মুক্তিযুদ্ধে ১১ ডিসেম্বর কাটাখালী নদীর তীরে সংঘটিত যুদ্ধকে এখানের সবচেয়ে বড় সম্মুখ প্রতিরোধ যুদ্ধ বলে আখ্যয়িত করা হয়। সারা রাত মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনীর সঙ্গে এ যুদ্ধে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর অনেকেই মারা যায়। আবার অনেকেই পালানোর সময় আটক হন। পরদিন ১২ ডিসেম্বর হানাদার মুক্ত হয় গোবিন্দগঞ্জ। আনন্দে রাস্তায় নেমে আসেন গোবিন্দগঞ্জবাসী। জয়বাংলা স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে শহর।

দিবসটি উপলক্ষে উপজেলা আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন নানা কর্মসূচী গ্রহণ করেছে।

দয়াল/টিপু

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়