ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

গজনী অবকাশ কেন্দ্রে চালু হলো জিপ লাইনিং, ঝুলন্ত ব্রিজ ও ক্যাবল কার

শেরপুর প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০২:১৬, ১৯ ডিসেম্বর ২০২১   আপডেট: ০২:২০, ১৯ ডিসেম্বর ২০২১
গজনী অবকাশ কেন্দ্রে চালু হলো জিপ লাইনিং, ঝুলন্ত ব্রিজ ও ক্যাবল কার

ভ্রমণপিয়াসীদের নিকট আকর্ষণীয়ভাবে তুলে ধরতে শেরপুরের ঝিনাইগাতীর পাহাড়ি জনপদে গড়ে ওঠা গজনী অবকাশ কেন্দ্রে জিপ লাইনিং, ঝুলন্ত ব্রিজ ও ক্যাবল কারসহ ৩টি নতুন স্থাপনা চালু করা হয়েছে।

শনিবার (১৮ ডিসেম্বর) জেলা প্রশাসক মো. মোমিনুর রশীদ এই রাইডগুলো স্থানীয় সাংবাদিকদের ঘুরে দেখান এবং জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেন।

অন্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট তোফায়েল আহমেদ, ঝিনাইগাতীর ইউএনও ফারুক আল মাসুদ, শেরপুর প্রেসক্লাবের সদস্য ছাড়াও জেলা প্রশাসনের অন্য কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারের সদস্যরা।

মোমিনুর রশীদ বলেন, শেরপুরের গজনী অবকাশ ভ্রমণপিয়াসীদের কাছে আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে। আমরা ‘র্পযটনের আনন্দে তুলসীমালার সুগন্ধে’ এই স্লোগানকে ধারণ করে জেলা ব্র্যান্ডিংয়ে গজনী অবকাশ শেরপুরকে অন্য উচ্চতায় তুলে ধরেছি। দেশের নানা প্রান্তের লোক কাজের ফাঁকে কিংবা ছুটির অবসরে পরিবার-পরিজন নিয়ে এখানে অবকাশ কাটাতে আসেন। কেউবা একাকী বা বন্ধু-বান্ধবসহ আসেন।’

শেরপুর জেলা সদর থেকে আনুমানিক ২৮ কিলোমিটার দূরে ভারতের মেঘালয় সীমান্তে গারো পাহাড়ের পাদদেশে ঝিনাইগাতী উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের গজনী শালবনের অবস্থান। এখানে প্রায় ৯০ একর জায়গাজুড়ে ১৯৯৩ সালে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে গজনী অবকাশ কেন্দ্রটি গড়ে তোলা হয়। শালবনের ভেতর উঁচু-নিচু পাহাড়ি টিলা, নদী-ঝর্ণার অর্পূব সমাহার রয়েছে এখানে। 

নান্দনিক ও আকর্ষণীয় নানা স্থাপনা নির্মাণের ফলে গজনী অবকাশ এখন জেলার বৃহৎ পর্যটন ও বিনোদন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। প্রতি বছর এই অবকাশ কেন্দ্রটিতে হাজার হাজার পর্যটক ভ্রমণে আসছেন। ক্যাবল কার স্থাপন হওয়ায় এখন পর্যটকরা এক পাহাড়ি টিলা থেকে আরেক পাহাড়ি টিলায় রোমাঞ্চকর ভ্রমণের অভিজ্ঞতা লাভ করতে পারবেন।

তারিকুল/ মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়