ঢাকা     বুধবার   ১৫ মে ২০২৪ ||  জ্যৈষ্ঠ ১ ১৪৩১

১৭ বছর পালিয়ে থেকেও শেষ রক্ষা হলো না

|| রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:২২, ২৯ আগস্ট ২০২২   আপডেট: ১৮:২৬, ২৯ আগস্ট ২০২২
১৭ বছর পালিয়ে থেকেও শেষ রক্ষা হলো না

তিন ব্যবসায়ীকে গলা কেটে হত্যা করার অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মো. বাবু ১৭ বছর পলাতক থাকার পর অবশেষে র্যাবের হাতে ধরা পড়েছেন।

রোববার (২৮ আগস্ট) রাতে কুমিল্লার আলেখারচর বিশ্বরোড এলাকা থেকে র্যাব তাকে গ্রেফতার করে।  বাবু জেলার লাকসাম উপজেলার শ্রায়াং গ্রামের সেলিম রেজার ছেলে।

এ ঘটনার অপর চার আসামি হলেন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আব্দুর রহমান, শহীদুল্লাহ, ফারুক হোসেন ও স্বপন।

র্যাব-১১, সিপিসি-২ সাংবাদিকদের জানান ২০০৭ সালের ০৬ জানুয়ারি কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার শ্রীয়াং বাজার থেকে ফেরার পথে বাবু সহযোগীদের নিয়ে তিন ব্যবসায়ীকে হত্যা করে। ঘটনার পর থেকে অন্যান্য আসামিরা ধরা পড়লেও বাবু পলাতক ছিলেন। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তা র্যাব তাকে ধরতে দীর্ঘদিন কাজ করছিল। 

র্যাবের পাঠানো বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী প্রায় ১৭ বছর পূর্বে ২০০৭ সালের ৬ জানুয়ারি বাবু সহযোগীদের নিয়ে ডাকাতির উদ্দেশ্যে শ্রীয়াং এলাকার বদির পুকুর পাড়সংলগ্ন জঙ্গলে লুকিয়ে ছিল। এ সময় দোকান বন্ধ করে ব্যবসায়ী উত্তম দেবনাথ, পরীক্ষিত দেবনাথ এবং বাচ্চু মিয়া ওই পথ দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। ঘটনাস্থলে পৌঁছালে বাবু সহযোগীদের নিয়ে তাদের ঘিরে ফেলে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে অর্থ ছিনিয়ে নেয়। এ সময় উত্তম দেবনাথ তাদের চিনে ফেলায় এবং পরদিন চেয়ারম্যানের কাছে তাদের বিরুদ্ধে নালিশ করে বিচার দেবে জানালে বাবু তাদের হত্যা করার সিদ্ধান্ত নেয়। এরপর পার্শ্ববর্তী একটি মাঠে নিয়ে চাপাতি ও ছুরি দিয়ে গলা কেটে তাদের নিমর্মভাবে হত্যা করে। 

র্যাব-১১, সিপিসি-২, কুমিল্লা কোম্পানি অধিনায়ক মেজর মোহাম্মদ সাকিব হোসেন বলেন, ঘটনার পর থেকেই বাবু নাম পরিচয় গোপন রেখে বিভিন্ন জায়গায় বসবাস করে আসছিল।

আলোচিত এ ঘটনায় বাচ্চু মিয়ার ভাই কবির হোসেন বাদী হয়ে লাকসাম থানায় খুনসহ ডাকাতির মামলা দায়ের করেন। ২০১৮ সালের ১৪ নভেম্বর কুমিল্লার তৎকালীন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক নুর নাহার বেগম শিউলী অভিযুক্ত ৫ আসামির বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা করেন।
 

রুবেল/তারা 

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ