অতিরিক্ত যাত্রীর চাপে পঞ্চগড়ে নৌকাডুবি
মঈনুদ্দীন তালুকদার হিমেল, পঞ্চগড় থেকে || রাইজিংবিডি.কম
নিখোঁজ ব্যক্তিদের স্বজন ও স্থানীয়রা
পঞ্চগড়ের বোদায় করতোয়া নদীতে নৌকাডুবি অতিরিক্ত যাত্রীর চাপে হয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। ডুবে যাওয়া নৌকার ধারণ ক্ষমতা ৫০ জন হলেও সেটিতে প্রায় ১৪০ জনের মতো যাত্রী ছিল বলে জানা গেছে।
রোববার (২৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ২৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নৌকাডুবির ঘটনায় এখনো প্রায় ৩০ জন নিখোঁজ রয়েছেন। তাৎক্ষণিকভাবে মৃতদের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার কাজ শুরু করেছে। তাদের সহযোগিতা করছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয়রা জানান, মহালয়া উপলক্ষে বোদা, পাঁচপীর, মাড়েয়া, ব্যাঙহারি এলাকার সনাতন ধর্মাবলম্বীরা নৌকায় করে বদেশ্বরী মন্দিরে যাচ্ছিলেন। নৌকায় অতিরিক্ত যাত্রী ছিল। ফলে মাঝ নদীতে পৌঁছার পর যাত্রীর চাপে নৌকাটি একপাশে উল্টে যায়। দুর্ঘটনার পর কিছু মানুষ সাঁতরে তীরে উঠলেও বাকিরা নিখোঁজ রয়েছেন।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ে নৌকা ডুবে ২০ মৃত্যু, অনেকে নিখোঁজ
উদ্ধার অভিযানের নেতৃত্ব দেওয়া ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা শাহজাহান আলী বলেন, ‘নদীর পানি বেশি হওয়ায় উদ্ধার কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। রংপুরে খবর দেওয়া হয়েছে, সেখান থেকে ডুবুরি দল আসছে।’
নৌকাডুবির ঘটনায় বেঁচে যাওয়া যাত্রী রাজু বলেন, ‘মাঝি একাধিকবার নিষেধ করার পরও নৌকায় অতিরিক্ত যাত্রী উঠে পড়ে। নৌকার অনেকেই সাঁতার জানতো না। মাঝ নদীতে যাওয়ার পর যাত্রীরা আতঙ্কে বেশি নড়াচড়া করতে থাকে। তখনই নৌকাটি একপাশ কাত হয়ে ডুবে যায়।’
বোদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুজয় কুমার রায় বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, অতিরিক্ত যাত্রীর চাপে নৌকাডুবির ঘটনা ঘটেছে। উদ্ধার কাজ অব্যাহত রয়েছে। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।’
কেআই