ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

মেয়াদ শেষ তবুও শুরু হয়নি ৬ সেতুর নির্মাণকাজ

ইয়াছিন মোহাম্মদ সিথুন, নীলফামারী  || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:৪২, ২২ জানুয়ারি ২০২৩   আপডেট: ১৩:৪৭, ২২ জানুয়ারি ২০২৩
মেয়াদ শেষ তবুও শুরু হয়নি ৬ সেতুর নির্মাণকাজ

নীলফামারী সদরে যোগাযোগ ব্যবস্থা সুগম করতে সোয়া চার কোটি টাকা ব্যয়ে ছয়টি গার্ডার সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়। এ কারণে আগের পুরোনো সেতু ভেঙে নতুন কাজের উদ্বোধনও করা হয়েছিল। তবে প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও সেই কাজ আর বাস্তবায়নের মুখ দেখেনি। নতুন সেতু দূরে থাক, পুরোনো ভাঙা সেতু হারিয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সংশ্লিষ্ট এলাকার বাসিন্দারা।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি এই কার্যালয়ের তত্ত্বাবধানে ২০২১-২২ অর্থবছরে ৪ কোটি ২৮ লাখ ৪৫ হাজার ৯৪৮ টাকা ব্যয়ে ছয়টি সেতু নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূর। পরিকল্পনা অনুযায়ী নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হওয়ার কথা ছিল একই বছরের ২১ আগস্ট।  ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান একটি সেতুর পাইল বসানো ছাড়া এখন পর্যন্ত আর কোনো কাজই করেনি।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের আওতায় সদরের লক্ষ্মীচাপ ইউনিয়নের চৈতার কুড়া, দেওয়ার কুড়া, কুন্দপুকুর ইউনিয়নে পাটকামড়ী, ইটাখোলা ইউনিয়নে বামনডাঙ্গা নদীর ওপর, গোড়গ্রাম ইউনিয়নে বিশ ডারার ও ডাঙ্গা সোনারায় ইউনিয়নে ব্যাঙপাড়ায় এসব সেতু নির্মাণের প্রকল্প নেওয়া হয়। এ জন্য কাজ উদ্বোধনের আগেই পূর্বের সেতুগুলো ভেঙে মালামাল সরিয়ে নেওয়া হয়। এখন নতুন বা পুরোনো কোনো সেতুই না থাকায় বিপাকে পড়েছেন বাসিন্দারা।

এলাকাবাসী জানান, চলাচলের পথ না থাকায় বিকল্প রাস্তায় যাতায়াত করতে হচ্ছে। কিছু জায়গায় ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকো ব্যবহার করে এপার-ওপার হতে গিয়ে প্রায় ঘটছে ছোট বড় অসংখ্য দুর্ঘটনা।

সোনারায় ইউনিয়নের ব্যাঙপাড়ার বাসিন্দা আফতাব হোসেন বলেন, ‘শুধু ব্রিজ নির্মাণের উদ্বোধনের কথা জেনেছিলাম। দ্রুত কাজ শুরুর অজুহাতে পুরোনো ব্রিজ ভেঙে মালামাল নিয়ে যান সংশ্লিষ্টরা। জনসাধারণের চলাচলের জন্য সাঁকো দেওয়া হয়েছে। তবে কোনো যানবাহন চলাচল করতে না পারায় অনেক দূর ঘুরে মালামাল পরিবহন করতে হয়। ফলে ভোগান্তি চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে।’ 

কুন্দপুকুর ইউনিয়নের পাট কামড়ী এলাকার বাসিন্দা মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমাদের এলাকার প্রাই সবাই কৃষির ওপর নির্ভরশীল। মাঠ থেকে ফসল তুলে সবাই শহরের বাজারে বিক্রি করেন। অনেক সময় ব্যবসায়ীরা এসে ক্ষেত থেকেই ফসল নিয়ে যান। তবে ব্রিজ না থাকায় অনেক রাস্তা ঘুরে শহরে যেতে হচ্ছে। ব্যবসায়ীরাও আসছে না। এতে করে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন কৃষকরা।’

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুল করিম বলেন, ‘মালপত্রের দাম বেড়ে যাওয়ায় কাজ করতে ঠিকাদারদের সময় লাগছে। সবার সহযোগিতা পেলে তারা আরও দ্রুত কাজ শেষ করতে পারবে।’

নীলফামারীর জেলা প্রশাসক পঙ্কজ ঘোষ বলেন, ‘দ্রুত কাজ শেষ করতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে বলা হয়েছে। আশা করছি দ্রুত কাজ শেষ হবে।’

মাসুদ

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়