ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

খুলনায় চিকিৎসক-পুলিশ দ্বন্দ্বের ঘটনা তদন্তে কমিটি

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:৩২, ৭ এপ্রিল ২০২৩  
খুলনায় চিকিৎসক-পুলিশ দ্বন্দ্বের ঘটনা তদন্তে কমিটি

কর্মবিরতি পালন করেন চিকিৎসকরা। ফাইল ছবি

খুলনায় চিকিৎসক ও পুলিশ সদস্যের মধ্যে ঘটে যাওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠন করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। শনিবার (৮ এপ্রিল) খুলনা সার্কিট হাউসে সংশ্লিষ্টদের বক্তব্য শুনবে কমিটি। ওই ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার বাদী-বিবাদীদের হাজির হতে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

এর আগে ২৮ মার্চ মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের উদ্যোগে চার সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। ওই ঘটনায় দায়ের মামলার বাদী-বিবাদীদের ডেকে পাঠিয়ে চিঠি দেওয়ায় বৃহস্পতিবার বিষয়টি প্রকাশ পায়।

চার সদস্যের কমিটির আহ্বায়ক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের যুগ্ম সচিব মীর আবুল ফজল, সদস্য সচিব খুলনার স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক ইউসুপ আলী। সদস্যরা হলেন–পুলিশের একজন অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক ও চিকিৎসক নেতা অধ্যাপক শহিদুল হক।

তদন্ত কমিটির সদস্য সচিব ইউসুপ আলী জানান, দুই মামলার বাদী-বিবাদীসহ সংশ্লিষ্টদের শনিবার সকাল ১০টায় সার্কিট হাউসের সম্মেলন কক্ষে উপস্থিত থাকার অনুরোধ জানিয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

গত ২৫ ফেব্রুয়ারি নগরীর ‘হক নার্সিং হোম’ নামের একটি ক্লিনিকে ডা. নিশাত আবদুল্লাহকে মারধর করেন সাতক্ষীরা পুলিশের এএসআই নাঈমুজ্জামান। ওই ঘটনায় নাঈমুজ্জামানকে গ্রেপ্তারের দাবিতে টানা চার দিন কর্মবিরতি পালন করেন খুলনার চিকিৎসকরা। এতে ভোগান্তিতে পড়েন রোগীরা। নাঈমুজ্জামান সাতক্ষীরা পুলিশ লাইনে কর্মরত ছিলেন। চিকিৎসকদের দাবির মুখে তাকে প্রত্যাহার করা হয়। এছাড়া ডা. নিশাতকে মারধর ও হাসপাতাল ভাঙচুরের অভিযোগে ২৮ ফেব্রুয়ারি সোনাডাঙ্গা থানায় মামলা হয়। এতে এএসআই নাঈমুজ্জামান ও তার স্ত্রী নুসরত আরা ময়নাকে আসামি করা হয়। 

অন্যদিকে সাত বছরের মেয়ের অঙ্গহানি ও যৌন হয়রানির অভিযোগে ডা. নিশাত আবদুল্লাহর বিরুদ্ধে মামলা করেন এএসআই নাঈমুজ্জামানের স্ত্রী নুসরত আরা। 

৯ মার্চ মামলা দুটির চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে পুলিশ। 

/নুরুজ্জামান/সাইফ/

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়