ঢাকা     সোমবার   ২০ মে ২০২৪ ||  জ্যৈষ্ঠ ৬ ১৪৩১

মোখায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আতঙ্ক 

তারেকুর রহমান, কক্সবাজার || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:৩০, ১৪ মে ২০২৩   আপডেট: ১০:৩৮, ১৪ মে ২০২৩
মোখায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আতঙ্ক 

ঘূর্ণিঝড় মোখাকে ঘিরে আতঙ্কের জনপদে পরিনত হয়েছে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলো। বাঁশ-ত্রিপলের বাসস্থান উড়ে যাবার শঙ্কা আর পাহাড় ধস আতঙ্কে ঘুম হারাম রোহিঙ্গাদের। প্রশাসন বলছে, রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তায় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। 

কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের বিভিন্ন পাহাড়ি এলাকাতেই বেশিরভাগ রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোর অবস্থান। পাহাড়ের খাঁজ কেটেই এখানে বানানো হয়েছে অসংখ্য রোহিঙ্গার আবাস। পাহাড়ের চূড়ায় কিংবা পাদদেশে গড়ে তোলা এসব বিপজ্জনক বাড়িঘর দেখলেই গা শিউরে উঠবে যে কারোই।  

প্রশাসন জানিয়েছে ১১ লাখ রোহিঙ্গার মধ্যে ৮০ হাজার পাহাড়ধসের ঝুঁকিতে আছে। তবে  বাস্তবে এই সংখ্যা কয়েকগুণ বেশি। 

উখিয়া কুতুপালং ক্যাম্প-১ ইস্ট এর সাব মাঝি হোসেন জোহর বলেন, ‘ক্যাম্পে তুফান হবে বলছে সবাই। পরিবার নিয়ে কোনদিকে যাবো ভাবছি, মনে ভয় লাগছে। কারণ আমাদের ঘর পাহাড়ের অনেক উপরে। তুফান হলে কোথাও  যাওয়ার জায়গা নেই। এখানে মাইকে এলার্ম বাজাচ্ছে, সর্তক করছে। কিন্তু কোথায় যাবো বুঝে উঠতে পারছি না।’

১৯ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মাঝি শামশুল আলম বলেন, ‘মাইকে শোনা যাচ্ছে তুফান হবে। জনে জনে তুফানের ব্যাপারে বলাবলি করছে। কিন্তু আমাদের অবস্থা খুবই খারাপ। এখানে আমাদের পায়ের নীচে ঠিক মতো মাটি নেই। ঘরবাড়িও নড়বড়ে। কোথায় যাবো আমরা বুঝতে পারছি না।’ 

কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত প্রধান আবহাওয়াবিদ আবদুর রহমান বলেন, ‘কক্সবাজার উপকূলে দীর্ঘদিন ধরেই উপকূলীয় মজবুত সবুজ বেষ্টনী নেই। তাই যে কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা ঘূর্ণিঝড়ের বাতাসে এখানে বিপদের শঙ্কা রয়েছে। এমনকি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাঁশ, ছন, প্লাস্টিক আর কাঠ দিয়ে তৈরি নড়বড়ে ঘরগুলোকে উড়িয়ে নিতে পারে।’

কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু সুফিয়ান বলেন, ‘পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় যারা থাকবে তাদের নিরাপদ আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিভিন্ন লার্নিং সেন্টার, মসজিদ, মাদ্রাসার মতো স্থাপনাগুলো আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করার জন্য বলা হয়েছে।’

এদিকে বিপদ সংকেত বাড়ার সাথে সাথে ক্যাম্পগুলো মাইকিংয়ের পাশাপাশি লাল পতাকা উড়িয়ে দিয়েছে ঘূর্নিঝড় প্রস্তুতি কমিটি। বিভিন্ন ক্যাম্পে প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৫ হাজার স্বেচ্ছাসেবককে।

/টিপু/

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়