ঢাকা     শুক্রবার   ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  অগ্রহায়ণ ২০ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

দিনাজপুরে আমন ধান কাটা-মাড়াইয়ে ব্যস্ত কৃষক

মোসলেম উদ্দিন, দিনাজপুর || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:৩৭, ১৮ নভেম্বর ২০২৩  
দিনাজপুরে আমন ধান কাটা-মাড়াইয়ে ব্যস্ত কৃষক

দিনাজপুরে আমন ধান কাটা ও মাড়াইয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। ধানের উৎপাদন ভালো হওয়ায় এবং বাজারে দাম থাকায় খুশি তারা। এদিকে, ধান কাটা শেষে আবারও জমি প্রস্তুত করে সেখানে আলু ও সরিষা চাষের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন অনেক কৃষক। ইতোমধ্যে অনেকেই আলু চাষের জন্য জমিতে গোবর সার প্রয়োগ করতেও শুরু করেছেন।  

দিনাজপুর কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে জেলায় ২ লাখ ৬০ হাজার ৮৩৫ হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষ হয়েছে। 

আরো পড়ুন:

দিনাজপুরের বিভিন্ন উপজেলার আমন ক্ষেত ঘুরে দেখা যায়, মাঠে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে কেটে রাখা সোনালি রঙের ধান। ধান কেটে আঁটি বেঁধে সপ্তাহখানেক খোলা মাঠে ফেলে রাখছেন কৃষক। দূর থেকে দেখলে যে কারোরই মনে হবে মাঠে যেন সোনা ছড়িয়ে রয়েছে। পরে কৃষক ধানের সঙ্গে খড় শুকিয়ে তা বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছেন। মাঠ থেকে ধান তোলার সঙ্গে আলু চাষের জন্য জমিতে ফেলা হচ্ছে গোবর সার।

চলতি আমন মৌসুমে বর্ষার পানি পর্যাপ্ত ছিল। ধান কাটা-মাড়াইয়ে বিঘাপ্রতি খরচ হচ্ছে কৃষকের ৪ থেকে সাড়ে ৪ হাজার টাকা। যদি ধানের দাম সরকার বাড়ায় তাহলে লাভের মুখ আরও দেখবেন বলছেন আমন চাষিরা।

হাকিমপুর উপজেলার মুশিতপুর গ্রামের কৃষক সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‌‘এবার আমি ৮ বিঘা জমিতে আমন চাষ করেছি। আশানুরূপ ফলন হয়েছে। বর্ষার পানির উপর নির্ভর করে আমন ধান চাষ করা হয়। আমন মৌসুমে বর্ষার পানি পর্যন্ত পাইছি। আল্লাহ দিলে ফলন ভালো হয়েছে।’

জালালপুর গ্রামের কৃষক আকরাম হোসেন বলেন, এক বিঘা জমি চাষ করেই আমার সংসার চলে। ছেলে-মেয়ে নেই, দুই জনের সংসার। আমার জমিতে সবচেয়ে ভালো ধান হয়েছে। সামান্য জমি আমরা স্বামী-স্ত্রী মিলে চাষাবাদের কাজ করি। ধান কাটছি, এখন আলু চাষ করবো। আশা করি ১৮ থেকে ২০ মণ ধান পাবো।

ধান কাটা শ্রমিকরা জানান, ধান কাটার সময় এবার বর্ষা নেই ফলে মাঠেও কোনো পানি নেই। আমাদের ধান কাটতে কোনো অসুবিধা হচ্ছে না। আমরা ৮ জন এক সঙ্গে ধান কাটছি। ধান কাটা-মাড়াইতে বিঘাপ্রতি ৪০০০ থেকে ৪৫০০ হাজার টাকা নিচ্ছি। দিনে দেড় থেকে দুই বিঘা জমির ধান কাটতে পারছি।

হাকিমপুর (হিলি) উপজেলা কৃষি অফিসার আরজেনা বেগম বলেন, হাকিমপুর উপজেলায় ৮ হাজার ১১৫ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ হয়েছে। আলু চাষের জন্য কৃষকেরা তাড়াতাড়ি ধান কাটছেন। আমন ধানের ফলন অনেক ভালো হয়েছে। আশা করছি কৃষক তাদের কাঙ্খিত ফলন সময় মতো  ঘরে তুলবেন।

দিনাজপুর জেলা কৃষি অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. নুরুজ্জামান বলেন, দিনাজপুর জেলা বিভিন্ন ফসলে ভরপুর। চলতি মৌসুমে জেলায় ২ লাখ ৬০ হাজার ৮৩৫ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ করেছেন কৃষক। আগাম লাগানো ধান কাটা-মাড়াই প্রায় শেষ করেছেন কৃষক।

মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়