ঢাকা     সোমবার   ১৭ জুন ২০২৪ ||  আষাঢ় ৩ ১৪৩১

গর্ভবতী স্কুল শিক্ষিকাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা, যুবক আটক

নিজস্ব প্রতিবেদক, গাজীপুর  || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:০৮, ২৬ মে ২০২৪  
গর্ভবতী স্কুল শিক্ষিকাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা, যুবক আটক

গাজীপুর মহানগরীর দক্ষিণ সালনা মন্ত্রিবাড়ী এলাকায় ছুরিকাঘাতে গর্ভবতী স্কুল শিক্ষিকা নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও এক নারী। পরে স্থানীয় জনতা ঘাতককে আটক করে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ঘাতককে থানায় নিয়ে যায়।

রোববার (২৬ মে) বিকাল ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে বলে নিশ্চিত করেছেন গাজীপুর মেট্রোপলিটন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সৈয়দ রাফিউল করিম।

নিহতের নাম রুমানা আক্তার (২৮)। তিনি বরিশালের বন্দর থানার রায়পুরা গ্রামের হাসান হাওলাদারের স্ত্রী। রুমানা গর্ভবতী ও স্থানীয় একটি বেসরকারি স্কুলের শিক্ষিকা ছিলেন। এ ঘটনায় আহত নারীর নাম সাবিনা। এ ঘটনায় আটক যুবকের নাম কায়েস রানা। তিনি সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা এলাকার আব্দুল খালেকের ছেলে। তিনি স্থানীয় পোশাক কারখানায় চাকরি করেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গাজীপুর মহানগরীর দক্ষিণ সালনা এলাকায় মন্ত্রিবাড়ি রোডের স্থানীয় গোলাম মোস্তফার বাড়িতে পাশাপাশি ঘরে ভাড়ায় বসবাস করতেন রুমানা ও হাসান হাওলাদার দম্পতি এবং আহত সাবিনা ও আয়নাল হক দম্পতি। তাদের পাশেই ভাড়া বাসায় থাকেন আটক কায়েস রানা। পূর্বের কোনো ঘটনা কেন্দ্র করে রোববার (২৬ মে) বিকেল ৪টার দিকে কায়েস ছুরি নিয়ে সাবিনার ঘরে যায়। এ সময় সাবিনার স্বামী ঘরে ছিল না। সাবিনার ঘরে গিয়ে কায়েস ছুরি দিয়ে সাবিনাকে এলোপাথারি আঘাত করেন। এ সময় সাবিনার চিৎকার শুনে ঘটনা দেখতে তিন বছর বয়সী কন্যাকে নিয়ে সাবিনার ঘরের দিকে এগিয়ে যান রুমানা। সাবিনার ঘরে যাওয়ার পর কায়েস তার হাতের ছুরি দিয়ে রুমানার পিঠে দুটি ও গলায় আঘাত করেন। পরে রুমানা রক্তাক্ত অবস্থায় সাবিনার ঘর থেকে বেরিয়ে নিজ ঘরে যাওয়ার চেষ্টা করলে পথে গলিতে পড়ে যায় এবং অত্যধিক রক্তক্ষরণ হয়। এ সময় তাদের ডাকচিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে গুরুতর আহত অবস্থায় সাবিনাকে উদ্ধার করে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভর্তি করে। এ সময় ঘাতক কায়েস রানাকে স্থানীয় লোকজন আটক করে গাছের সঙ্গে বেঁধে রেখে পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার ও আটক কায়েস রানাকে থানায় নিয়ে আসে।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সৈয়দ রাফিউল করিম বলেন, কী কারণে হত্যা করা হয়েছে, তা এখনও জানা যায়নি। পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। মরদেহের ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হবে। পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। 
 

রেজাউল/বকুল 

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়