নিহত সাজুর সন্তান ও পরিবারের দায়িত্ব নিলেন বিএনপি নেতা
পঞ্চগড় প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
আন্দোলনে নিহত পঞ্চগড়ের সাজু মিয়ার পরিবার ও তার সন্তানের দায়িত্ব নিয়েছেন কেন্দ্রীয় বিএনপির পল্লী উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক ও পঞ্চগড় জেলা বিএনপির সদস্য সচিব ফরহাদ হোসেন আজাদ।
পঞ্চগড়ের সাজু মিয়া (২৬) সন্তান সম্ভাবা স্ত্রীকে রেখে জীবিকার তাগিদে ২৪ জুলাই ঢাকার গাজীপুরে যান। ২৭ জুলাই তার স্ত্রী এক ফুটফুটে ছেলে সন্তান প্রসব করেন। সাজু মিয়া রংপুরে আন্দোলনে বুক পেতে দিয়ে গুলিতে নিহত আবু সাঈদ-এর নামানুসারে নিজের সন্তানের নাম আবু সাঈদ রাখেন।
গাজীপুরের মাওনায় মিছিলে যোগ দিয়ে সাজু মিয়া গত ৫ আগস্ট গুলিবিদ্ধ হন। এরপর ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১১ আগস্ট রাতে মারা যান।
এ অবস্থায় সাজু মিয়ার অসহায় পরিবার ও তার সন্তানের দায়িত্ব নিলেন বিএনপি নেতা ফরহাদ হোসেন আজাদ। সোমবার (১২ আগস্ট) বিকেলে সাজু মিয়ার পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাত শেষে এ ঘোষণা দেন তিনি।
এসময় তার বাবা আজাহার আলীর হাতে নগদ ৫০ হাজার টাকাও তুলে দেন এই বিএনপি নেতা।
সাজু মিয়ার বাড়ি পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার চিলাহাটি ইউনিয়নের টোকরাভাষা মিরপাড়া গ্রামে। ৪ ভাই-বোনের মধ্যে সাজু সবার বড়। তিনি গাজীপুরের একটি টেক্সটাইল মিলে চাকরি করতেন। তিনি ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের গণ অধিকার পরিষদের অঙ্গসংগঠন শ্রমিক অধিকার পরিষদের পঞ্চগড় জেলা কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্বেও ছিলেন।
বিএনপি নেতা ফরহাদ হোসেন আজাদ নবজাতক সন্তানকে কোলে নিয়ে বলেন, পৃথিবীবাসী দেখুন এই অবুঝ সন্তানকে রেখে তার বাবা পৃথিবী ছেড়ে চলে গেছেন। এই দেশকে স্বাধীন করার জন্য জীবন দিয়েছেন। এই ১৭ দিনের বাচ্চাকে আজকে আমরা কি জবাব দিবো? এই সন্তানদের যদি আমরা পূনর্বাসন করতে পারি এবং যোগ্যতা ও মর্যাদা দিয়ে সামনে এগিয়ে নিতে পারি তাহলেই এই জাতি আমাদের এই মুক্তিযুদ্ধকে স্মরণে রাখবে। আমাদের এই অর্জনকে তারা ব্যাহত হতে দিবে না।
তিনি বলেন, এখনো আমাদের এই অর্জনকে ব্যহত করার জন্য ষড়যন্ত্র চলছে। তাই আসুন সবাই আমরা এই সন্তানের দিকে তাকিয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সমস্ত ষড়যন্ত্র পদদলিত করি। এই সন্তানের বাবার আত্মত্যাগকে মহিয়ান করি।
লাশ হয়ে ফেরা সাজুর সন্তানের নাম রাখা হলো ‘আবু সাঈদ’
নাঈম/টিপু