ঢাকা     সোমবার   ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ১ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

নিখোঁজ অরিত্রের সন্ধানে সাগরপাড়ে অপেক্ষায় পরিবার

তারেকুর রহমান, কক্সবাজার || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:৩২, ১১ জুলাই ২০২৫   আপডেট: ১৮:৫৪, ১১ জুলাই ২০২৫
নিখোঁজ অরিত্রের সন্ধানে সাগরপাড়ে অপেক্ষায় পরিবার

অরিত্র হাসান

কক্সবাজারের হিমছড়ি সৈকতে গোসলে নেমে নিখোঁজ হওয়া চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অরিত্র হাসানের সন্ধান তিন দিনেও পাওয়া যায়নি। গত মঙ্গলবার সকাল ৭টায় অরিত্র হাসানসহ তার আরও দুই সহপাঠী সাগরে গোসল করতে নেমে ভেসে যান। 

ঘটনার আড়াই ঘণ্টা পর কেএম সাদমান রহমান সাবাব (২১) নামে এক শিক্ষার্থীর মরদেহ সৈকতে ভেসে আসে। পরদিন বুধবার সকাল ৯টার দিকে নাজিরারটেক শুঁটকি মহাল সৈকতে আসিফ আহমেদ (২২) নামে আরও এক শিক্ষার্থীর মরদেহ পাওয়া যায়।  

আসিফ আহমেদ বগুড়া সদরের নারুলি দক্ষিণের বাসিন্দা রফিকুল ইসলামের ছেলে। তিনি চবির ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। সাদমান রহমান ঢাকার মিরপুরের বাসিন্দা কে এম আনিছুর রহমানের ছেলে। তিনিও চবির একই বিভাগের শিক্ষার্থী। তারা চবির শহীদ মো. ফরহাদ হোসেন হলে থাকতেন। 

অরিত্র হাসান বগুড়ার দক্ষিণ সনসনিয়া গ্রামের আমিনুল ইসলামের ছেলে। তার বাবা আমিনুল ইসলাম। তিনি জাতীয় ইংরেজি দৈনিক ‘দ্য নিউএজ’-এর জ্যেষ্ঠ সহ-সম্পাদক। আমিনুল ইসলাম বলেন, “আমরা এখনো ছেলের সন্ধান পাইনি। আমার ছেলেকে খুঁজে বের করার অভিযান চলছে, আমরা তাকে ফিরে পাওয়ার অপেক্ষায় আছি।” 

সন্তানের অপেক্ষায় কক্সবাজার সমুদ্রপাড়ে কান্নায় বুক ভাসাচ্ছে অরিত্র হাসানের পরিবার। কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহ্উদ্দিন জানিয়েছেন, তারা আরিত্রকে উদ্ধারের জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। “আমাদের দলগুলো মহেশখালী পর্যন্ত উত্তাল সমুদ্রে টহল দিচ্ছে দেহ উদ্ধারের জন্য। আমরা আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি,”বলেন জেলা প্রশাসক।

নিখোঁজ অরিত্র হাসানের সন্ধানে সাগরে উদ্ধার অভিযান অব্যাহত আছে বলে জানিয়েছেন ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার অঞ্চলের প্রধান অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ। তিনি জানান, ফায়ার সার্ভিস, লাইফগার্ড, ট্যুরিস্ট পুলিশ ও বিচকর্মীদের সমন্বয়ে ঘটনার পর থেকেই উদ্ধার তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। উপকূলের বিভিন্ন এলাকায় খবর দেওয়া হয়েছে।’’ 

সি-সেফ লাইফগার্ডের সুপারভাইজার মোহাম্মদ ওসমান গনি জানান, নিখোঁজ শিক্ষার্থীর খোঁজে কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলের মহেশখালী থেকে টেকনাফের নাফ নদীর মোহনা পর্যন্ত উদ্ধারকর্মীরা বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে উদ্ধার কাজ করছে। তিনি বলেন, ‘‘হিমছড়ি সৈকতে একাধিক গুপ্তখালের সৃষ্টি হয়েছে। সেখানে গোসল করা ঝুঁকিপূর্ণ।”

নিহত শিক্ষার্থীরাও গুপ্তখালে আটকা পড়ে দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন বলে মনে করেন তিনি।

ঢাকা/তারা//

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়