ঢাকা     সোমবার   ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ১ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

ভাঙছে পাড়, ঝুঁকিতে শতকোটি টাকার সেতু

মাদারীপুর প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:২৫, ১২ জুলাই ২০২৫   আপডেট: ০৯:২৮, ১২ জুলাই ২০২৫
ভাঙছে পাড়, ঝুঁকিতে শতকোটি টাকার সেতু

সেতুর খুব কাছেই ভাঙন দেখা দিয়েছে

নদী শাসন বাঁধ না থাকায় বর্ষার শুরুতেই ভাঙন দেখা দিয়েছে আড়িয়াল খাঁ নদের পাড়ে। সেতুর খুব কাছেই নদের পাড়ে ভাঙন শুরু হওয়ায় উদ্বিগ্ন স্থানীয়রা।

উৎরাইল-শিবচর প্রধান সড়কের আড়িয়াল খাঁ নদের উপর নির্মিত সেতুটির নয়াবাজার পাড়ের দক্ষিণপাশে নদের পাড়ে এই ভাঙন দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে বেশ কিছু জায়গা ভেঙে নদী গর্ভে চলেও গেছে। সেতুর একটি পিলার থেকে একশ’ ফুটেরও কম দূরত্বে এই ভাঙন দেখা দিয়েছে।

২০২৩ সালের ৪ নভেম্বর ৫৫০ মিটার দৈর্ঘ্য এবং ৯.৮০ মিটার প্রস্থের সেতুটি যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়। সেতুটি নির্মাণের ফলে শিবচর সদরের সাথে দত্তপাড়া, শিরুয়াইল, নিলখী ইউনিয়নের সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন হয়। এতে অত্র অঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের ভোগান্তি দূর হয়। 

সম্প্রতি আড়িয়াল খাঁ নদে পানি বৃদ্ধির ফলে বেড়েছে স্রোতের তীব্রতা। সেতুর কাছে নদের পাড় ঘেঁষে সৃষ্টি হয়েছে ঘূর্ণিস্রোত। ফলে সেতুর কাছেই নদের পাড়ের বেশকিছু জায়গা ভেঙে গেছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, পাড় ভেঙে নদী কিছুটা ভেতরে ঢুকে গেছে। একটি গাছ রয়েছে নদের পাড়ে। যেকোন সময় গাছটিও নদের গর্ভে চলে যেতে পারে।

স্থানীয়রা জানান, কয়েকদিন আগে হঠাৎ ভাঙন দেখা দিয়েছে। নদীর এই স্থানটিতে পানির চাপও অনেক। পাড় ঘেঁষে তৈরি হয় ঘূর্ণিস্রোত। একারনেই পাড় ভাঙছে। সেতুটির খুব কাছে এভাবে নদী ভাঙন আতংকের বিষয়। সেতুর পাড়ে নদী শাসন বাঁধ থাকে। অথচ এখানে নদী শাসন বাঁধ দেওয়া গয়নি। নদীতে পানি বাড়লে ভাঙন আরও বাড়তে পাড়ে। এতে হুমকির মুখে পড়েছে সেতুটি।

শিবচর উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সূত্রে জানা গেছে, ৯৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যায়ে আড়িয়াল খাঁ নদের উপর ৫৫০ মিটার দৈর্ঘ্য এবং ৯.৮০ মিটার প্রস্থের সেতুটিতে স্প্যান সংখ্যা ১১টি এবং পিলার সংখ্যা নয়টি। সেতুটির পাইলের সংখ্যা ১২৩টি, পাইলের দৈর্ঘ্য ৪৮ মিটার। সেতুর জন্য অ্যাপ্রোচ সড়কের (সংযোগ সড়ক) দৈর্ঘ্য ১.৫০ কিলোমিটার। 

৯৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে সেতুটির নির্মাণ কাজ করেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মো. মইন উদ্দীন বাঁশি ও হা-মিম ইন্টারন্যাশনাল। ২০২৩ সালের ৪ নভেম্বর সেতুটি যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়।

গিয়াস উদ্দিন মীর নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, ‘‘সেতুর দুইপাড়ে নদী শাসন বাঁধ সেতু নির্মানের পূর্বেই দেওয়া উচিত ছিল। সেতু চালু হয়েছে প্রায় দেড় বছর। অথচ নদী শাসন বাঁধ দেওয়া হয়নি। এখন নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সেতুর কাছেই পাড়ে ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। এটা উদ্বেগের বিষয়। পানি বাড়লে ভাঙন বাড়তে পারে। যা সেতুর জন্য হুমকি।”

এ ব্যাপারে শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পারভীন খানম বলেন, “এ বিষয়ে খোঁজ-খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ঢাকা/বেলাল/এস

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়