নাটোরে গরম পানিতে ঝলসে দেওয়া নারীকে সিএমএইচে ভর্তি

নাটোরে মরিচের গুঁড়া মিশ্রিত গরম পানিতে ঝলসে দেওয়া শাহানাজ নামে এক নারীকে সেনা প্রধানের নির্দেশে উন্নত চিকিৎসার জন্য সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) নেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) তাকে বগুড়া সিএমএইচ হাসপাতালে নিয়ে যান সেনা সদস্যরা।

সেনা সূত্র জানায়, নাটোর সদর উপজেলার কাফুরিয়া ইউনিয়নের মোহনপুর গ্রামে মধ্যযুগীয় কায়দায় নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গত রবিবার নাটোর সদরের রামনগর গ্রামের তৌহিদ উদ্দিনের ছেলে মো. সুলতান ডাকাত, তার ছেলে মো. লালচান, তার স্ত্রী মোছা. আয়মনা, একই এলাকার মোহনপুর গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে মো. সাইফুল ইসলাম, তার স্ত্রী মোছা. শীলা খাতুন ও একই এলাকার পন্ডিত গ্রামের রতন মিয়ার স্ত্রী মোছা. শাকিদাকে গ্রেপ্তার করে নাটোর থানায় হস্তান্তর করে সেনাবাহিনী। 

গত ২৬ জুন সন্ধ্যায় পূর্ব শত্রুতার জেরে মোহনপুর গ্রামের হালিমা খাতুন ও শাহনাজ বেগম নামে দুই নারীকে গরম পানির সঙ্গে মরিচের গুঁড়ার মিশিয়ে ঝলসে দেওয়া হয়। এ সময় দেশীয় অস্ত্র দিয়ে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ও মাথায় আঘাত করে তাদের গুরুতর আহত করা হয়। 

আহতদের মধ্যে শাহনাজ বেগমের অবস্থা বেশি আশঙ্কাজনক হওয়ায় এবং পরিবার চিকিৎসা ব্যয় বহন করতে না পারায় সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের নিদের্শে নাটোর ক্যাম্পের সদস্যরা তাকে বগুড়া সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে নিয়ে যান। প্রয়োজনে হলে তাকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হতে পারে বলেও সেনা সদস্যরা জানান।

ঝলসে যাওয়া দুই নারীর পরিবার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের পাওয়া যায়নি।

নাটোর সদর থানার ওসি মাহাবুর রহমান জানান, সেনাবাহিনী ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে তাদের কাছে হস্তান্তর করেছে। যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।