ঢাকা     শুক্রবার   ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  অগ্রহায়ণ ২০ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ফল প্রকাশে ধীরগতি, ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা

নোবিপ্রবি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২২:১২, ২৬ জুলাই ২০২৫   আপডেট: ২২:১২, ২৬ জুলাই ২০২৫
সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ফল প্রকাশে ধীরগতি, ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা

ফাইল ফটো

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজির সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের (২০১৯-২০ সেশন) দ্বিতীয় সেমিস্টারের ফলাফল প্রকাশে দীর্ঘসূত্রতা দেখা দিয়েছে। পূর্ববর্তী ও পরবর্তী ব্যাচগুলোর ফল প্রকাশেও একই ধরনের বিলম্বের অভিযোগ উঠেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা অধ্যাদেশ অনুযায়ী, লিখিত পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৪০ দিনের মধ্যে ফলাফল প্রকাশের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তবে নির্ধারিত সময়সীমা অতিক্রম করলেও এখনো ফলাফল প্রকাশ করা হয়নি।

আরো পড়ুন:

২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিভাগের লিখিত পরীক্ষা গত ১৭ এপ্রিল, ল্যাব পরীক্ষা ৩০ এপ্রিল শেষ হয়েছে। এছাড়া গবেষণাপত্রের চূড়ান্ত প্রেজেন্টেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে ১৭ মে। এর মধ্যে দুই মাসেরও বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও ফলাফল প্রকাশ না হওয়ায় চাকরি ও উচ্চশিক্ষার আবেদনসহ নানা ক্ষেত্রে তারা সমস্যায় পড়ছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, “এতদিনে ফলাফল দিয়ে দেওয়ার কথা। ফলাফল প্রকাশ না হওয়ায় আমরা অনেক গুরুত্বপূর্ণ চাকরিতে আবেদন করতে পারছি না। গত বছরও একইভাবে দ্বিতীয় বর্ষের ফল প্রকাশে দীর্ঘসূত্রতা করা হয়েছিল। পরে সংবাদ প্রকাশ হলে ফলাফল দেওয়া হয়।”

২০২১-২২ সেশনের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, “লিখিত পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৪০ দিনের মধ্যে ফলাফল দেওয়া আমাদের বিভাগে স্বপ্ন। বাস্তবে প্রতি সেমিস্টারের ফলাফল প্রকাশে ৫-৬ মাস সময় লাগে। নিয়মিত ক্লাস হয় না, পরীক্ষা সময়মতো হয় না, একাডেমিক ক্যালেন্ডার মেনে চলা হয় না। এর ফলে সেশনজট তৈরি হয়েছে। আমরা ইতোমধ্যে এক সেমিস্টার পিছিয়ে গেছি।”

এ বিষয়ে ইনস্টিটিউটের পরিচালক ড. নেজাম উদ্দিন বলেন, “ফলাফল নিয়ে আমরা কাজ করছি। বাকিদেরও বলছি ফলাফলের কাজ দ্রুত শেষ করতে। আশা করা যায়, আগামী সপ্তাহের মধ্যে বেশিরভাগ ব্যাচের ফলাফল হয়ে যাবে।"

ডেপুটি পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, “এ বিষয়ে আমাকে জানানো হয়নি। অনেক সময় থিসিস, ডিফেন্সের জন্য দেরি হয়। রবিবার অফিসে গিয়েই আমি এ বিষয়ে খোঁজ নেব।”

এ বিষয়ে অবগত নন দাবি করে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক রেজুয়ানুল হক বলেন, “বিষয়টি জেনে আমি খতিয়ে দেখব।”

ঢাকা/শফিউল্লাহ/মেহেদী

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়