গবিতে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী আর্কাইভস নিয়ে সেমিনার
গবি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম
গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের (গবি) স্বপ্নদ্রষ্টা, প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর জীবন ও কর্ম সংরক্ষণে গঠিত আর্কাইভের অগ্রগতি নিয়ে সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের ‘এ’ ব্লকের ৪১৭ নম্বর কক্ষে এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
গবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবুল হোসেনের সভাপতিত্বে এতে প্রধান আলোচক ছিলেন আর্কাইভসের পরিচালক অধ্যাপক মনসুর মুসা। বিশেষ বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সহকারী গবেষক খাদিজাতুল কুবরা মিম।
বক্তারা বলেন, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর চিন্তা, আদর্শ ও সংগ্রামী জীবন বাংলাদেশের স্বনির্ভরতা ও মানবসেবার প্রতীক। তার জীবন ও কর্ম সংরক্ষণ আগামী প্রজন্মের জন্য এক ঐতিহাসিক দলিল হয়ে থাকবে।
সহকারী গবেষক খাদিজাতুল কুবরা মিম বলেন, “ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী থাকলে আজকের সমাজ ভিন্ন হতো। তার জীবন ও সংগ্রামের গভীরতা বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে স্পষ্ট। বর্তমানে ডা. আবুল কাশেম চৌধুরীর তত্ত্বাবধানে প্রায় ৩০০ পৃষ্ঠাব্যাপী সাক্ষাৎকার সংরক্ষিত হয়েছে। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া।”
আর্কাইভসের পরিচালক অধ্যাপক মনসুর মুসা বলেন, “একটি আর্কাইভ কেন প্রয়োজন—এ নিয়ে অনেকের প্রশ্ন থাকে। গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নেওয়া এমন উদ্যোগ সবার দৃষ্টি কেড়েছে। এটি কেবল জাফরুল্লাহ চৌধুরীর স্মৃতি সংরক্ষণ নয়, বরং একটি প্রাতিষ্ঠানিক ইতিহাস গঠনের প্রচেষ্টা।”
সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবুল হোসেন বলেন, “ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর জীবন ও কর্ম শুধু একজন ব্যক্তির ইতিহাস নয়, এটি বাংলাদেশের মানবতা, শিক্ষা ও স্বনির্ভরতার প্রতীক। বিশ্ববিদ্যালয় এই আর্কাইভের কাজকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে।”
তিনি আরো বলেন, “জাফরুল্লাহ স্যারের অধিকাংশ স্মৃতি গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালকেন্দ্রিক। তার জীবনের বড় একটি অংশ সেখানেই কেটেছে। তাই সেখানকার স্মৃতিগুলো সংরক্ষণের কাজ চলছে। ভবিষ্যতে শিক্ষার্থীরাও চাইলে তার স্মৃতি বা লেখা আর্কাইভে জমা দিতে পারবেন।”
সেমিনারে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/সানজিদা/মেহেদী