ঢাকা     সোমবার   ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  অগ্রহায়ণ ৩০ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

ভূমিকম্পের শঙ্কা: রাবির হল খোলা রেখেই চলবে ঝুঁকি মূল্যায়ন 

রাবি প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৫  
ভূমিকম্পের শঙ্কা: রাবির হল খোলা রেখেই চলবে ঝুঁকি মূল্যায়ন 

সম্প্রতি কয়েক দফায় ভূমিকম্পের পর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) হল ও একাডেমিক ভবনগুলোর কাঠামোগত ঝুঁকি যাচাইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। তবে, শিক্ষার্থীদের একাডেমিক ক্ষতি এড়াতে ক্লাস ও পরীক্ষা পূর্বঘোষিত সময়সূচি অনুযায়ী চলবে বলে নিশ্চিত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

রবিবার (২৩ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের জরুরি বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক আখতার হোসেন মজুমদার। 

জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক বলেছেন, ভূমিকম্প বিষয়ে সর্বশেষ যে সিদ্ধান্ত, তা হলো— ক্লাস ও পরীক্ষা চালু রেখেই ঝুঁকি মূল্যায়ন করা হবে। আমরা প্রথমে ৫–৭ দিন ক্যাম্পাস বন্ধ করে কোন কোন ভবন বেশি ঝুঁকিপূর্ণ তা পরীক্ষা করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু, এখনকার ছাত্ররা অনেক সচেতন। তাদের অনেকেই এর বিরুদ্ধে ছিল। শিক্ষার্থীদের মতামতের ওপর ভিত্তি করেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের সিদ্ধান্তই আমাদের সিদ্ধান্ত। আমরা দক্ষ ইঞ্জিনিয়ারদের নিয়ে দ্রুত কাজ শুরু করব। মন্নুজান হল দিয়ে কাজ শুরু হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মাঈন উদ্দীন বলেছেন, সাম্প্রতিক ভূমিকম্পকে কেন্দ্র করে আজ একটি জরুরি মিটিং হয়েছে। এতে হলগুলোর প্রভোস্ট, হল সংসদের প্রতিনিধি এবং রাকসুর নেতারা উপস্থিত ছিলেন। যেহেতু, অধিকাংশ শিক্ষার্থীর ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ চায় না, তাই তাদের মতামতের ভিত্তিতেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, হলগুলো খোলা রেখেই ইঞ্জিনিয়ারদের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ইন্সপেকশন করা হবে। পাশাপাশি সম্ভাব্য ঝুঁকি এড়াতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

রাকসুর জিএস সালাহউদ্দিন আম্মার বলেছেন, ভূমিকম্প নিয়ে যে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে, ক্লাস ও পরীক্ষা চালু রেখেই সমাধান করা হবে। এতে কিছু শিক্ষার্থীর সাময়িক অসুবিধা হলেও সবার মতামতের ভিত্তিতেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ৫–৭ দিন ক্যাম্পাস বন্ধ করে কোন কোন ভবন বেশি ঝুঁকিপূর্ণ তা পরীক্ষা করতে চেয়েছিল প্রশাসন। তবে, শিক্ষার্থীদের মতামতের ভিত্তিতেই আগের সিদ্ধান্ত বহাল রাখা হয়েছে।

শের-ই-বাংলা ফজলুল হক হলের শিক্ষার্থীদের বর্তমান অবস্থার বিষয়ে তিনি বলেন, ইতিমধ্যে যারা শের-ই-বাংলা হল ছেড়ে নতুন হলে গেছেন, তারা সেখানে তেমন কোনো সুযোগ–সুবিধা পাচ্ছেন না। কারণ, সেখানে পানির লাইন, বিদ্যুৎ কিংবা প্রাথমিক সুবিধাগুলো এখনো নিশ্চিত করা যায়নি। সেখানে তারা মূলত ছাদ খসে পড়ার ঝুঁকি থেকে নিরাপদ থাকবেন। পুরাতন হলে তারা যেসব সুযোগ-সুবিধা পেতেন, তার ১০ শতাংশও নতুন হলে তারা পাবেনা বলে মনে হয় না। তবে, প্রশাসন ও শিক্ষার্থীরা যে সিদ্ধান্তকে ভালো মনে করবেন, সেখানেই তারা থাকবেন; যদিও এটি তাদের জন্য খুব একটা সুখকর হবে না বলে আমি মনে করি।

গত শুক্রবার ভূমিকম্পে রাবির শের-ই-বাংলা হলের দেওয়ালে ফাটল দেখা দেয়। এর ফলে প্রশাসন শিক্ষার্থীদের নবনির্মিত হলে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নেয়। এরপর গতকাল ঢাকার বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) প্রশাসন ১৫ দিনের জন্য সকল একাডেমিক কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করলে রাবি শিক্ষার্থীদের মধ্যেও উদ্বেগ দেখা দেয়।

ঢাকা/ফাহিম/রফিক

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়