ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

করোনা কেটে গেলে রপ্তানি বৃদ্ধির ধারায় ফিরবে দেশ: বাণিজ্যমন্ত্রী

বিশেষ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:০৭, ৮ মে ২০২১   আপডেট: ২১:০৮, ৮ মে ২০২১
করোনা কেটে গেলে রপ্তানি বৃদ্ধির ধারায় ফিরবে দেশ: বাণিজ্যমন্ত্রী

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, ‘দেশের রপ্তানি পণ‌্যের সংখ্যা ও বাজার সম্প্রসারণের বিকল্প নেই। শুধু তৈরী পোশাকের ওপর নির্ভর করে থাকলে চলবে না। তাই, দেশের সম্ভাবনাময় ১৯টি রপ্তানি পণ্যকে সামনে নিয়ে কাজ করছে সরকার। করোনা কেটে গেলে দেশ রপ্তানি বৃদ্ধির ধারায় ফিরবে।’

শনিবার (৮ মে) ভার্চুয়াল প্ল‌্যাটফর্মে ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ‌্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএবি) আয়োজিত ‘ডাইভারসিফিকেশন অব বাংলাদেশ এক্সপোর্ট বাসকেট: অপরচুনিটিস অ্যান্ড চ্যালেঞ্জেস’ শীর্ষক ওয়েবিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী।

আইসিএবির সাবেক প্রেসিডেন্ট আজিজ এইচ খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব শুভাশীষ বসু। বক্তব্য রাখেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীন, বিসিকের চেয়ারম্যান মোস্তাক হোসেন, বিজিএমই’র প্রেসিডেন্ট ফারুক হাসান, লেদার গুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট এবং শিপ বিল্ডার্স অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. সাইফুল ইসলাম।

এছাড়াও অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ হ্যান্ডিক্রাফট ম্যান্যুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট গোলাম আহসান, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসের (বেসিস) প্রেসিডেন্ট সৈয়দ আলমাস কবীর, বাংলাদেশ জুট গুডস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক মারুফ হোসেন, বাংলাদেশ অ‌্যাগ্রো প্রসেসরস অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট সঈদ মো. সোহরাব হাসান এবং আইসিএবির ভাইস প্রেসিডেন্ট মারিয়া হাওলাদার উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আইসিএবির প্রেসিডেন্ট মাহমুদুল হাসান খসরু।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘রপ্তানি পণ্যকে অধিক গুরুত্ব দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী প্রতি বছর একটি সম্ভাবনাময় রপ্তানি পণ্যকে ‘‘প্রোডাক্ট অব দি ইয়ার’’ ঘোষণা করেন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় ইসিফোরজে নামে একটি প্রকল্পের মাধ্যমে লেদার গুড্স, প্লাস্টিক, ইনফরমেশন টেকনোলজি এবং লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং এ চারটি সেক্টরকে পরিকল্পিতভাবে গড়ে তোলার জন্য কাজ করছে।’

তিনি বলেন, ‘এ প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ইতোমধ্যে ভূমি বরাদ্দ পাওয়া গেছে, নির্মাণ প্রক্রিয়া চলছে। এখানে দেশের শিক্ষিত যুবকদের প্রশিক্ষণ, পণ্যের ডিজাইনে বৈচিত্র‌্য আনা এবং পণ্যের মান নিশ্চিত করতে কাজ করা হবে।’

টিপু মুনশি বলেন, ‘প্রতিযোগিতামূলক বিশ্ব বাণিজ্যে এগিয়ে যাওয়ার জন্য দক্ষতা অর্জন করতে হবে। একটি পণ্যের কাঁচামাল থেকে শুরু করে প্যাকেটিং পর্যন্ত আন্তর্জাতিক মানের করার জন্য প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা প্রয়োজন। বাংলাদেশের রপ্তানি দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছিল, কোভিড-১৯ এর কারণে কিছুটা বাধাগ্রস্ত হয়েছে। এর মাঝেও রপ্তানিমুখী শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো চলছে। আমাদের রপ্তানি থেমে নেই। কোভিড-১৯ এর পরে বাংলাদেশ আবার রপ্তানি বৃদ্ধির ধারায় ফিরে আসবে।’

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এলডিসি থেকে গ্র‌্যাজুয়েশনের পর বাংলাদেশকে বেশকিছু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। এজন্য সরকার কাজ করছে। বাণিজ্য সুবিধা আদায়ের জন্য পিটিএ বা এফটিএর মতো বাণিজ্য চুক্তি করার জন্য সরকার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে ভুটানের সঙ্গে পিটিএ স্বাক্ষর করা হয়েছে। আরও কিছু দেশের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি করার জন্য আলোচনা চলছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ১০০টি স্পেশাল ইকনোমিক জোন গড়ে তোলার কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। কয়েকটির কাজ প্রায় শেষ হয়েছে। এখানে দেশি-বিদেশি কিছু প্রতিষ্ঠান বিনিয়োগের জন্য এগিয়ে এসেছে। সরকার বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বেশকিছু সুযোগ-সুবিধা ঘোষণা করেছে। ফলে বিদেশি বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ স্থান হয়ে উঠেছে।’

ঢাকা/হাসনাত/রফিক

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়