ঢাকা     মঙ্গলবার   ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৩ ১৪৩১

চামড়া শিল্পে বিনিয়োগে আগ্রহী সুইস উদ্যোক্তারা

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:৩৪, ১০ অক্টোবর ২০২১  
চামড়া শিল্পে বিনিয়োগে আগ্রহী সুইস উদ্যোক্তারা

শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের সঙ্গে সৌজন‌্য সাক্ষাৎ করেন সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত

সুইজারল্যান্ডের উদ্যোক্তারা বাংলাদেশে চামড়া শিল্প খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত নাথালি চুয়ার্ড।

রোববার (১০ অক্টোবর) শিল্প মন্ত্রণালয়ে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এ আগ্রহের কথা জানান সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত। সুইজারল্যান্ডের উদ্যোক্তাদের আগ্রহকে সাধুবাদ জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী। এ সময় শিল্প সচিব জাকিয়া সুলতানাসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সুইস রাষ্ট্রদূত সুইজারল্যান্ডের জুরিখভিত্তিক একটি ট্যানারি শিল্প প্রতিষ্ঠানের চিঠি মন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করেন এবং নিজে সাভারের ট্যানারি শিল্পনগরী পরিদর্শনের আগ্রহ ব্যক্ত করেন।

শিল্পমন্ত্রী তাকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘সাভারের ট্যানারি শিল্পনগরীতে কেন্দ্রীয়ভাবে সেন্ট্রাল ইফ্লুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্ল‌্যান্ট (সিইটিপি) বাস্তবায়ন করা হচ্ছে এবং এ সংক্রান্ত সমস্যাগুলো সমাধানের চেষ্টা চলছে।’

বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সাল থেকে সুইজারল্যান্ডের সঙ্গে সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে শিল্পমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের মানবিক উন্নয়ন খাতে সুইজারল্যান্ড অব্যাহতভাবে সহযোগিতা করে যাচ্ছে। এছাড়া রসায়ন, ওষুধ, অবকাঠামো, কারিগরি সেবা এবং ভোগ্যপণ্য খাতে সুইস বিনিয়োগ উল্লেখ করার মতো।’
তিনি এসব খাতে সুইস উদ্যোক্তাদের আরও বিনিয়োগের আহ্বান জানান।

সাক্ষাৎকালে উভয়ে মেধাসম্পদ সুরক্ষায় নতুন নতুন উদ্ভাবনের পেটেন্ট, ডিজাইন, পণ্য ও সেবার ট্রেডমার্কস এবং ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য (জিআই) ইত্যাদি ইস্যুতে একযোগে কাজ করার ব্যাপারে সম্মত হন। এ বিষয়ে বাংলাদেশের কী ধরনের সহযোগিতা দরকার, তা জানানোর অনুরোধ জানান রাষ্ট্রদূত।

শিল্পমন্ত্রী বাংলাদেশের বস্ত্র ও পোশাক খাতে আমদানি বৃদ্ধির জন্যও সুইস রাষ্ট্রদূতের প্রতি আহ্বান জানান।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ও সুইজারল্যান্ডের মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণ এক দশকে প্রায় ৩ গুণ বেড়েছে এবং আরও বাড়ার সুযোগ আছে। সুইস ফেডারেল কাস্টমস্ প্রশাসনের হিসাব অনুযায়ী, ২০২০ সালে দুই দেশের মধ্যে প্রায় ৮১ কোটি ফ্রাঙ্ক সমমূল্যের পণ্য লেনদেন হয়েছে। তার মধ্যে বাংলাদেশ রপ্তানি করেছে ৬৮ কোটি সুইস ফ্রাঙ্ক এবং আমদানি করেছে ১৩ কোটি সুইস ফ্রাঙ্ক দামের পণ্য।

ঢাকা/হাসান/রফিক

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়