বিএসইসিতেও পরিবর্তন চান কর্মকর্তা-কর্মচারীরা
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম
অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের প্রক্রিয়া চলছে। এ পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নিয়োগ পাওয়া সব চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করা হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় দেশের পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনেও (বিএসইসি) পরিবর্তনের রব উঠেছে। সংস্থাটির কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা চাচ্ছেন, অন্যান্য সংস্থার মতো বিএসইসিতেও পরিবর্তন আনা হোক।
কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মতে, রাজনৈতিক বিবেচনায় কমিশনের চেয়ারম্যান বা কমিশনার পদে নিয়োগ না দেওয়া। শুধু পুঁজিবাজারের স্বার্থে কমিশন বিদ্যমান আইন ও বিধি অনুযায়ী তারা কার্যক্রম পরিচালনা করবে ও সিদ্ধান্ত নেবে। পাশাপাশি কর্মকর্তাদের কাছে পদ অনুযায়ী সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা থাকবে। এ ছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংকের মতো অভিজ্ঞ ও অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে কমিশনার পদে নিয়োগ প্রদান করা হোক-এমনটিই তাদের চাওয়া।
বুধবার (৭ আগস্ট) বিএসইসি অফিসার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের এক সভায় প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এ কথা বলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন সমিতির সভাপতি বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক মো. সাইফুর রহমান।
বিএসইসি অফিসার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সভায় সিদ্ধান্ত গ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ রেজাউল করিম।
এর আগে গত মঙ্গলবার এই অ্যাসোসিয়েশনের সভায় কমিশনের আইন ও বিধিবিধানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়, এমন কোনো সুপারিশ বা কাজ কমিশনের কর্মকর্তারা শুনবেন না বা মানবেন না বলেও সিদ্ধান্ত হয়।
সভায় পুঁজিবাজার অধ্যাদেশ, আইন ও প্রবিধানের আওতার বাইরে পড়ে এমন কোনও সুপারিশ বা পদক্ষেপ নেওয়া থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এছাড়া পুঁজিবাজার সংস্কারের লক্ষ্যে বৈঠকে মোট ৯টি সিদ্ধান্ত হয়।
সিদ্ধান্তগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে পুঁজিবাজারকে দুর্নীতিমুক্ত করা, ১৯৬৯ সালের সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অধ্যাদেশের ১৭ ধারা অনুযায়ী কর্মকর্তাদের ক্ষমতা অর্পণ, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দ্রুত পদোন্নতির ব্যবস্থা এবং চিকিৎসা সেবার সুবিধা পুনরায় প্রদান করা, এছাড়া কর্মকর্তা ও কর্মচারীদেরকে সিএসআর তহবিলের অর্থ বিতরণ করা, অ্যাসোসিয়েশনের নেতাদের দ্বারা গঠিত কমিটির তত্ত্বাবধানে পরীক্ষার মাধ্যমে কমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পদোন্নতির ব্যবস্থা করা, ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশে (আইসিবি) টাইম ডিপোজিট রসিদ (টিডিআর) হিসাবে কমিশনের ৪৫ কোটি টাকা পুনরুদ্ধার করা, কমিশনের সিএসআর-এর অর্থ তছরুপের বিচার করা, ২০২৪ সালের ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থী, শিশুসহ অন্যান্য নাগরিকের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ এবং আন্দোলনের সময় যারা আহত হয়েছেন এবং বর্তমানে চিকিৎসাধীন আছেন তাদের দ্রুত আরোগ্য কামনায় দোয়া করা।
ঢাকা/এনটি/টিপু