খেলাপি হওয়া ঋণও পাবে নীতি সহায়তা
ক্ষতিগ্রস্ত ঋণগ্রহীতা প্রতিষ্ঠানের ব্যবসা ও আর্থিক কাঠামো পুনর্গঠনের জন্য নতুন নীতি সহায়তা ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত খেলাপি থাকা ঋণও এখন বিশেষ সুবিধায় পুনঃতফসিল করা যাবে।
সোমবার (২৪ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত এক নির্দেশনায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।
নির্দেশনায় বলা হয়, চলতি বছরের ৩০ নভেম্বর বিরূপমানে থাকা সব খেলাপি ঋণ সর্বোচ্চ ১০ বছর মেয়াদে পুনঃতফসিল করা যাবে। যেখানে সর্বোচ্চ দুই বছরের গ্রেস পিরিয়ড রাখার সুযোগ থাকছে। অর্থাৎ খেলাপি ঋণগ্রহীতারাও নতুন করে পুনঃতফসিলের সুবিধা পাবেন।
অপরদিকে, অশ্রেণিকৃত মেয়াদি ঋণ যার মধ্যে আগের পুনঃতফসিলকৃত ঋণও অন্তর্ভুক্ত- এসব ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের আগের নির্দেশনার নির্ধারিত সময়ের অতিরিক্ত আরো দুই বছর মেয়াদ বাড়িয়ে বিশেষ পুনর্গঠন করা যাবে।
বিশেষ এক্সিট সুবিধার ক্ষেত্রেও ছাড় দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। পূর্বের নির্দেশনার ভিত্তিতে ডাউনপেমেন্ট গ্রহণের পাশাপাশি এক্সিট সুবিধার মেয়াদে আরো এক বছর সময় বৃদ্ধি করা যাবে। মাসিক বা ত্রৈমাসিক কিস্তিতে পরিশোধের নিয়ম বহাল থাকলেও মোট বার্ষিক পরিশোধ কমপক্ষে ঋণের ২০ শতাংশ হতে হবে। এ সময় ঋণসমূহ ‘এক্সিট (এসএমএ)’ মানে প্রদর্শিত হবে এবং প্রযোজ্য সাধারণ প্রভিশন সংরক্ষণ বাধ্যতামূলক। প্রকৃত আদায় ছাড়া পূর্বে রাখা স্পেসিফিক প্রভিশন আয় খাতে নেওয়া যাবে না।
এছাড়া, এক্সিট সুবিধা নেওয়া ঋণগ্রহীতা যদি তিনটি মাসিক বা একটি ত্রৈমাসিক কিস্তি পরিশোধে ব্যর্থ হয়, তবে সংশ্লিষ্ট ঋণ যথানিয়মে শ্রেণিকরণ ও প্রভিশন সংরক্ষণ করতে হবে। এছাড়া , সম্পূর্ণ ঋণ পরিশোধ না হওয়া পর্যন্ত এসব প্রতিষ্ঠানের নামে নতুন ঋণ অনুমোদন করা যাবে না।
নতুন এ নীতিমালা ব্যাংকগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানের ঋণ পুনরুদ্ধারে নমনীয়তা দিলেও সঠিক প্রয়োগ নিশ্চিত করা না গেলে ভবিষ্যতে ঋণঝুঁকি আরো বেড়ে যেতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
ঢাকা/নাজমুল/ইভা