‘বনলতা এক্সপ্রেস’-এর যাত্রী তারা
হঠাৎ ভেঙে যায় নিস্তব্ধতা। অন্ধকারের ভেতর থেকে ভেসে আসে ট্রেনের শব্দ। সেই শব্দের সঙ্গে সরে যায় লাল পর্দা। ধীরে ধীরে দৃশ্যমান হয় ট্রেনের আদলে তৈরি একটি সেট। মনে হয়, যেন শহরের কোলাহল পেরিয়ে কোনো অচেনা স্টেশনে এসে থেমেছে ‘বনলতা এক্সপ্রেস’। সেখান থেকেই একে একে নামতে থাকেন পরিচিত মুখেরা; তাদের কারো চোখে অভিজ্ঞতার ছাপ, কারো মুখে নতুন যাত্রার উত্তেজনা।
এই অভিনব আবহেই উন্মোচন করা হলো তানিম নূর পরিচালিত দ্বিতীয় চলচ্চিত্র ‘বনলতা এক্সপ্রেস’-এর অভিনয়শিল্পীদের নাম। কাস্ট রিভিলের আনুষ্ঠানিকতা ছাপিয়ে মুহূর্তটি হয়ে উঠেছিল সিনেমারই একটি দৃশ্য—যেখানে বাস্তব আর কল্পনা মিলেমিশে একাকার।
এই ট্রেনযাত্রার সহযাত্রী হিসেবে থাকছেন মোশাররফ করিম, চঞ্চল চৌধুরী, জাকিয়া বারী মম, আজমেরী হক বাঁধন, ইন্তেখাব দিনার, শ্যামল মাওলা, সাবিলা নূর, শরীফুল রাজসহ একঝাঁক পরিচিত তারকা ও নতুন মুখ। প্রত্যেকে যেন নিজের নিজের গল্প নিয়ে উঠেছেন একই কামরায়।
নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের গল্প ‘কিছুক্ষণ’ অবলম্বনে নির্মিত হচ্ছে ‘বনলতা এক্সপ্রেস’। এই গল্পে সময় থেমে থাকে অল্পক্ষণের জন্য, কিন্তু সেই ক্ষণিক থামায় বদলে যায় অনেক কিছু। সম্পর্কের সূক্ষ্ম টানাপড়েন, মানুষের ভেতরের নিঃশব্দ আর্তি আর না-বলা কথার ভার নিয়েই এগোবে এই সিনেমা।
পরিচালক তানিম নূর মনে করেন, হুমায়ূন আহমেদের গল্প মানেই মানুষের অনুভূতির অদৃশ্য মানচিত্র। তার ভাষায়, “বনলতা এক্সপ্রেস’ কোনো সাধারণ ট্রেনযাত্রা নয়। এটি অনুভূতির ভ্রমণ। দর্শক গল্পের ভেতর দিয়ে হাঁটবেন, বসবেন, জানালার বাইরে তাকাবেন—আর হয়তো নিজের জীবনকেও একটু অন্যভাবে দেখবেন।”
শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকার রাশিয়ান কালচারাল সেন্টারে আয়োজিত অনুষ্ঠানে আনুষ্ঠানিকভাবে এই যাত্রার ঘোষণা দেওয়া হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন হইচই বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর সাকিব আর খান, সিনেমাটির শিল্পী–কলাকুশলী, আমন্ত্রিত অতিথি ও গণমাধ্যমকর্মীরা। আলোচনায় উঠে আসে সিনেমার ভাবনা, প্রস্তুতি আর সেই যাত্রার কথা—যা এখনো শুরু হয়নি, অথচ অনুভবে ইতিমধ্যেই চলতে শুরু করেছে।
হইচই স্টুডিওজ, বুড়িগঙ্গা টকিজ ও ডোপ—এই তিন প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের ব্যানারে নির্মিত ‘বনলতা এক্সপ্রেস’ মুক্তি পাবে আগামী বছর ঈদুল ফিতরে।
ঢাকা/রাহাত/শান্ত