ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

অভাব নয়, হতাশা থেকেই উদ্যোক্তা হয়েছি  

মিফতাউল জান্নাতী সিনথিয়া   || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:৪৩, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১   আপডেট: ১৩:৪৮, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১

সুলতানা রাজিয়া, টাঙ্গাইলের মেয়ে। জেলা শহরে চাচার বাসায় বড় হয়েছেন। পড়ালেখা করেছেন সেখানে থেকেই। এসএসসি পাসের পরেই বিয়ে। কিন্তু দমে যাননি। বিয়ের পর গ্রাফিক ডিজাইনে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি লাভ করেন, প্রেগনেন্সির কারণে চাকরি করেননি। এরপর সংসার-সন্তান সামলে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে গ্র্যাজুয়েশন করেন। এসময়েই তিনি নিজস্ব ডিজাইনের উপর টাঙ্গাইলের তাঁত শাড়ি নিয়ে অনলাইনে কাজ শুরু করেন। এমন একজন পরিশ্রমী-সংগ্রামী নারীর সঙ্গে কথা বলেছেন রাইজিংবিডির উদ্যোক্তা পাতার সহ-সম্পাদক মিফতাউল জান্নাতী সিনথিয়া।  

রাইজিংবিডি: কেমন আছেন?

সুলতানা রাজিয়া: ভালো আছি। 

রাইজিংবিডি: আপনার বেড়ে ওঠা, পড়ালেখা সম্পর্কে জানতে চাই। 

সুলতানা রাজিয়া: উদ্যোক্তা হিসেবে সবাই আমাকে সুলতানা রাজিয়া নামে চিনলেও ডাকনাম মেরিন। আমি পরিবারে সবার ছোট, বড় দুই ভাই আছেন। আমার জন্মস্থান টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুর থানার কাশাদহ গ্রামে। জন্ম গ্রামে হলেও আমি টাঙ্গাইল শহরে চাচার বাসায় থেকে পড়াশোনা করেছি। বিয়ে হয়ে যায় খুব অল্প বয়সেই, মাত্র এসএসসি পাস করে। তারপর ঢাকায় চলে আসি, ঢাকায় সরকারি গ্রাফিক আর্টস ইনস্টিটিউট থেকে গ্রাফিক ডিজাইনে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ডিগ্রি লাভ করি। গ্রাফিক আর্টস থেকে পাস করা মাত্রই বেশিরভাগ ছেলেমেয়ের অ্যাডভার্টাইজিং এজেন্সি, আইটি ফার্ম এবং বিভিন্ন করপোরেট অফিসে চাকরি হয়ে যায়। আমারও হয়েছিল কিন্ত তখন আমার প্রেগনেন্সির কারণে চাকরি করা হয়ে ওঠেনি। সংসার এবং বাচ্চাকে সময় দিতে গিয়ে গ্রাফিক ডিজাইনের কাজও করা হয়নি দীর্ঘ দিন। 

এরপর আমি এশিয়ান ইউনিভার্সিটি থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে গ্র্যাজুয়েশন করি। গ্র্যাজুয়েশন করার সময়েই আমি নিজস্ব ডিজাইনের উপর টাঙ্গাইলের তাঁত শাড়ি নিয়ে অনলাইনে কাজ শুরু করেছিলাম কিন্ত তেমন রেসপন্স না পাওয়ায় মাঝপথেই বন্ধ করে দেই। সে সময় একটা বেসরকারি পলিটেকনিক্যাল ইনস্টিটিউটে জুনিয়র গ্রাফিক ইনস্ট্রাক্টর হিসেবে জয়েন করি কিন্তু পারিবারিক সমস্যার কারণে সেটাও বেশি দিন কন্টিনিউ করা হয়নি। এর বেশকিছু দিন পরে আবারো একটা পত্রিকায় গ্রাফিক ডিজাইনার হিসেবে কাজ শুরু করি। মাস ছয়েক কাজ করার পর আমি বুঝতে পারি আমার চার বছরের বাচ্চা আমার কাছে থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণ সময় না পেয়ে দিন দিন খিটমিটে এবং জেদী স্বভাবের হয়ে যাচ্ছে। আমি বুঝতে পারি আমার চাকরি করার চেয়ে বাচ্চাকেই সময় দেয়া বেশি জরুরি। শেষে চাকরিতে ইস্তফা দেই। এরপর থেকেই ভাবতে থাকি ঘরে বসেই কীভাবে কিছু একটা করা যায়। তারপর করোনাকালে উদ্যোক্তা হওয়ার সিদ্ধান্ত নেই। 

রাইজিংবিডি: ব্যবসার শুরুটা গল্পটা জানতে চাই।  

সুলতানা রাজিয়া: আমার উদ্যোক্তা হওয়ার গল্পটা কোনো অভাব থেকে নয়, পুরোটাই মানসিক হতাশা থেকে। চাকরি ছেড়ে দেওয়ার পর দীর্ঘ এক বছর কেবল ভেবেই কাটিয়েছি কী করা যায়। এই ভাবতে গিয়ে অনেকবার হতাশ হয়েছি। তখন মনে হয়েছে আমাকে দিয়ে কিছু হবে না। ফাইনালি সিদ্ধান্ত নিলাম এমবিএতে ভর্তি হবো। এমন সময় করোনায় পুরোদেশ লকডাউন। মাস দুয়েক ঘরবন্দী থেকে আমি ভয়াবহ রকমের ডিপ্রেশনে চলে গেলাম। জুন মাসের শুরুতে আমার ফেসবুক ফ্রেন্ডলিস্টের কেউ একজন আমাকে উইতে (উইমেন অ্যান্ড ই-কমার্স ফোরাম) যুক্ত করে দেয়। কিছু দিন নিয়মিত উদ্যোক্তাদের পোস্ট ফলো করতে থাকি। তখন আমার মনে হয় এবার হয়তো আমার কিছু করার সুযোগ হবে। 

আমার শ্বশুর বাড়ির এলাকায় বেশ কয়েকটা গরুর ঘানিতে সরিষার তেল উৎপাদন হয়। আমি তেল নিয়ে কাজ করার সিদ্ধান্ত নেই। উইতে আমার উদ্যোগ নিয়ে পুরোদমে লিখতে শুরু করি। আমার একটা ফেসবুক পেজ ছিল, যেখানে আমি শখের বশত নতুন কিছু রান্না করলে তার ছবি আপলোড করতাম। সেই পেজকেই ‘নির্যাস’ নামে সাজিয়ে নিয়ে ব্যবসায়িক পেজ বানাই এবং সেল পোস্ট দিতে শুরু করি। তেল নিয়ে শুরু করলেও উইতে টানা ১০ দিন পোস্ট দেওয়ার পর ১১তম দিনে আমার প্রথম দুইশত বিশ টাকার ফুচকার অর্ডার হয়। তারপর আর আমাকে পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।

রাইজিংবিডি: কি কি পণ্য নিয়ে কাজ করছেন? 

সুলতানা রাজিয়া: নির্যাসের পণ্য নিয়ে মজার একটা গল্প আছে। আমার পেজে সরিষার তেলকে আইকনিক প্রোডাক্ট রেখে সঙ্গে আরো কিছু প্রোডাক্টকে ইন্ট্রোডিউস করাই। যেমন ফুচকা, বিভিন্ন ধরনের বাদাম, প্রসেসিং ফ্রুটস এসব আরকি! এইগুলো শুরুতে ভালোই চলতে লাগলো। উইতে আমার পোস্ট দেখে পত্রিকার এক কলিগের ওয়াইফ আমার পেজ ঘুরে শখের বশে দেওয়া খাবারের ছবি দেখে আমাকে ইনবক্সে নক করে জিজ্ঞেস করলেন স্পঞ্জ রসগোল্লা বানাতে পারি কিনা। আপুকে বললাম, আমি বাসার জন্য স্পঞ্জ রসগোল্লার পাশাপাশি কয়েক প্রকার মিষ্টি বানিয়েছি কিন্তু সেই মিষ্টি বিক্রির জন্য উপযুক্ত কিনা জানি না। 

আপু আমাকে সাহস দিয়ে তাদের বিবাহ বার্ষিকী উপলক্ষে এক হাজার টাকার স্পঞ্জ রসগোল্লা নিলেন এবং খুবই ভালো ফিডব্যাক দিলেন। শুরু হলো নির্যাসের নতুন পথচলা। তারপর একের পর এক নতুন নতুন আইটেম মেন্যুতে যোগ হতে লাগলো। স্পঞ্জ রসগোল্লা, ছানা গাজরের সন্দেশ, বালুসাই, রসমালাই, পিজ্জা, চিকেনবানসহ আরো কিছু আইটেম নিয়ে নির্যাস হয়ে গেলো হোমইেমড মিষ্টি ও খাবারের বিশ্বস্ত নাম। 

রাইজিংবিডি: জামদানি পণ্য নিয়ে কাজ করার পরিকল্পনা ছিল?  

সুলতানা রাজিয়া: আসলে স্পেসিফিকেলি জামদানি নিয়ে আমার কোনো পরিকল্পনা ছিল না বা এখনো খুব একটা নেই। তবে খুব শিগগিরই একটা নিউ বিজনেস ইন্ট্রোডিউস করতে যাচ্ছি, সেটা হলো আপনিতো একটু আগেই শুনলেন আমি একজন গ্রাফিক ডিজাইনার। আমাদের টাঙ্গাইল এলাকায় এখনো প্রচুর হ্যান্ডলুম আছে। আমার নিজস্ব ডিজাইন নিয়ে যেহেতু আগেও কিছু কাজ করেছি। এখন আবার নতুন করে ভালো কিছু একটা দাঁড় করাচ্ছি। ওটা খুব শিগগিরই জানতে পারবেন।

রাইজিংবিডি: ব্যবসার শুরুটা কি অনলাইন কেন্দ্রিক, নাকি অন্য কোনো উপায়ে ছিল?

সুলতানা রাজিয়া: নির্যাসের পুরো কার্যক্রম অনলাইন ভিত্তিক। মজার বিষয় হচ্ছে ইতোমধ্যে আমি অফলাইনে কাজ করার বেশ কিছু অফার পেয়েছি। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় একটা সুপারশপ চেইন আমার কাছ থেকে প্রতিদিন ৫০-৬০ কেজি স্পঞ্জ রসগোল্লা চেয়েছিল। তাদের কোয়ালিটি কন্ট্রোল, সাপ্লাইচেনের সঙ্গে দরদাম করে মূল্য নির্ধারণসহ সবই হয়েছিল। কিন্তু আমার নিজস্ব পলিসির কারণে আমি ওদের সঙ্গে যুক্ত হইনি। 

তারপর বেশ কয়েকজন আমার মিষ্টি তাদের আউটলেটে বিক্রি করতে চেয়েছেন। কিন্তু বরাবরের মতো আমি এখনই এসবের মধ্যে যেতে চাইনি। কারণ, ভিত্তিটা মজবুত না হলে শীর্ষটা ভেঙে পড়ে। আগে আমি আমার ব্র্যান্ডকে মানুষের ভালোবাসা এবং বিশ্বাসের জায়গায় নিয়ে যেতে চাই।

রাইজিংবিডি: কাজ করতে গিয়ে কখনো বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছেন? 

সুলতানা রাজিয়া: নারী উদ্যোক্তাদের কাজ করতে গিয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয় না এমনটা খুব কমই হয় বলে আমার ধারণা। কাজ করতে গিয়ে অনেকের সঙ্গেই দূরত্ব তৈরি হয়েছে। এমন দু’একজন আছে যাদের সঙ্গে আগে নিয়মিত যোগাযোগ হলেও উদ্যোগ শুরু করার পর থেকে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ হওয়ার পথে। এমন বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা বাদ দিলে আমার এই উদ্যোগে আমার আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব মোটামুটি সবাই আমাকে সাপোর্ট করেছে। এমনো অনেক বন্ধু এবং কলিগ আছেন, যাদের সঙ্গে দীর্ঘ দিন যোগাযোগ ছিল না, নির্যাসের মাধ্যমে তাদের সঙ্গে নতুন করে কথা হয়েছে। অর্ডার করে তারা আমাকে সাহস যুগিয়েছেন। 

আবার কিছু মানুষের সঙ্গে পরিচয় হয়েছে, যারা বার বার আমার বিভিন্ন ধরনের মিষ্টি অর্ডার করে, উপদেশ দিয়ে এক্সপার্ট বানিয়ে ছেড়েছে। আমি যখন মিষ্টি বানিয়ে অনলাইনে বিক্রি শুরু করি, তখন অনেকেই ভাবতে লাগলো করোনায় আমাদের অবস্থা এতটাই খারাপ হয়ে গেছে যে, এখন মিষ্টি বিক্রি করে সংসার চালাতে হচ্ছে। তবে তাদের সংখ্যায় খুবই কম। আমি কাউকে পাত্তা না দিয়ে আমার নিজের কাজটা আমি শতভাগ করার চেষ্টা করেছি।

রাইজিংবিডি: উদ্যোক্তা জীবনে সফল হতে কাদের ভূমিকা বেশি ছিল? 

সুলতানা রাজিয়া: প্রতিটা মানুষের সফলতার পেছনে অন্য আরো কিছু মানুষের অবদান থাকে। আমার উদ্যোগ জীবনের শুরু থেকে এই পর্যন্ত প্রতিটা দিন নিরলসভাবে কাজ করার জন্য আমার পরিবারের প্রতিটা মানুষ আমাকে সাপোর্ট করেছে। সবচেয়ে বেশি সাপোর্ট দিয়েছে আমার স্বামী। সে আমাকে মানসিক এবং কর্মক্ষেত্র দু’দিকেই সাহায্য করেছে। আমার মা এবং দুই ভাই দূরে থাকলেও তারা মানসিকভাবে সবসময় দিয়েছে।

রাইজিংবিডি: ব্যবসা নিয়ে পরিকল্পনা কী?

সুলতানা রাজিয়া: অনলাইনে যারা ব্যবসা শুরু করেন, দিন শেষে তাদের প্রত্যেকেরই স্বপ্ন থাকে আউটলেট করার। আমি ধীরে ধীরে সে লক্ষ্যের দিকেই এগিয়ে যাচ্ছি। তবে ফুড বিজনেসকে কেবল অনলাইন ভিত্তিক এগিয়ে নিয়ে যেতে চাইলে আমাদের প্রচলিত ডেলিভারি সিস্টেম নিয়ে আরো অনেক ভাবতে হবে। এর কারণ হলো কাপড় বা অন্য প্রোডাক্টের মতো খাবারটাকে যেনতেনভাবে বহন করা যায় না। খাবারের সঙ্গে একটা নির্দিষ্ট সময়ের ভেতরে পৌঁছে দেওয়ার ব্যাপার থাকে। 

এছাড়াও কাস্টমার কাপড়ের ক্ষেত্রে ১০০ টাকা ডেলিভারি চার্জ খুশিমনে দিলেও খাবারের ক্ষেত্রে তা দিতে চায় না। অথচ খাবার পরিবহনের ক্ষেত্রেই সাবধানতা অবলম্বন করতে হয় সবচেয়ে বেশি। কাস্টমারের হাতে খাবার পৌঁছাতে হলে ডেলিভারি সিস্টেমটাই যেখানে বড় চ্যালেঞ্জ, সেখানে এই প্রতিবন্ধকতা নিয়েও সর্বোচ্চ ভালো সার্ভিসটাই আমি দিতে চাই। সবাই যেন জানেন এবং বিশ্বাস করেন নির্যাসের পণ্য মানেই গুণে-মানে সেরা। 

রাইজিংবিডি: আপনার ব্যবসার সফলতার কথা জানতে চাই। 

সুলতানা রাজিয়া: আমি বলতে গেলে স্রোতের বিপরীতে হাঁটতে শুরু করেছিলাম। একজন গ্রাফিক ডিজাইনার হয়েও খাবার নিয়ে কাজ শুরু করে এযাবৎ সগর্বে টিকে আছি, এটাই আমার সবচেয়ে বড় সফলতা। তারপরেও আমি বলতে পারি, আমার বানানো মিষ্টি দেশের বাইরে মালদ্বীপ পর্যন্ত গেছে। আর দেশের বিভিন্ন জায়গায় তো গেছেই। কাস্টমারের ভালোবাসা পেয়েছি, তাদের বিশ্বাসটা অর্জন করতে পেরেছি, সেটাই আমার কাছে বিশাল একটা সফলতা।

রাইজিংবিডি: উদ্যোক্তা জীবনের শুরু কতদিন ধরে এবং রেভিনিউ কেমন? 

সুলতানা রাজিয়া: আমি ব্যবসা শুরু করি ২০২০ সালের জুলাই মাস থেকে অর্থাৎ প্রায় আট মাস ধরে কাজ করছি। উদ্যোক্তা জীবনে আমি রেভিনিউকে প্রাধান্য না দিয়ে সবসময় কোয়ালিটিকে প্রাধান্য দিয়েছি। আমি সবচেয়ে ভালো দুধ সংগ্রহ করি। ভালো ঘি ব্যবহার করি। অর্থাৎ মিষ্টি বানানোর জন্য আমি সবসময় বেস্ট প্রোডাক্টগুলোই কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার করি। আমার মিষ্টি আইটেমে এ পর্যন্ত প্রায় দুইলাখ টাকার মতো রেভিনিউ হয়েছে। 

রাইজিংবিডি: নতুন কেউ এই পেশায় আসতে চাইলে তাদের জন্য আপনার পরামর্শ কী?

সুলতানা রাজিয়া: নতুনদের জন্য আমার পরামর্শ হলো গড্ডালিকা প্রবাহে গা না ভাসিয়ে আপনি যে কাজ ভালোবাসেন, যে কাজ করতে খুবই পছন্দ করেন, সে কাজই শুরু করেন। আমার মনে হয়, তাহলেই জীবনে সফলতা চলে আসবে।

রাইজিংবিডি: ধন্যবাদ আপনাকে।

সুলতানা রাজিয়া: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।

ঢাকা/মাহি 

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়