‘একজন ন্যাংটা মানুষকে নিয়ে এই উপন্যাসের কাহিনি শুরু’
প্রতিবছর ফেব্রুয়ারির প্রথম দিন শুরু হয় বইমেলা। মহামারি করোনা পরিস্থিতির কারণে এবার গত ১৮ মার্চ থেকে শুরু হয়েছে। এই সংকট উপেক্ষা করে মেলায় হাজির হচ্ছেন অনেক বইপ্রেমী। বইমেলায় এসেছিলেন কথাসাহিত্যিক স্বকৃত নোমান। বাংলা একাডেমিতে চাকরি করার সুবাদে নিয়মিত মেলায় থাকেন তিনি। ঘুরে ঘুরে মেলা দেখেছেন, কিনেছেন বইও। তারই ফাঁকে রাইজিংবিডির মুখোমুখি হয়েছিলেন তিনি।
বইমেলা উপলক্ষে স্বকৃত নোমানের নতুন একটি উপন্যাস প্রকাশিত হয়েছে। বইটির বিষয়বস্তু বর্ণনা করে তিনি বলেন, ‘‘উজানবাঁশি’ আমার নতুন উপন্যাস। গত ফেব্রুয়ারি মাসে বইটি প্রকাশিত হয়েছে। আমি বলছি, এটি সর্ববৃহৎ উপন্যাস। এর আগে এত বড় উপন্যাস আমি লিখিনি। একটি সীমান্তবর্তী জনপদের কাহিনি এটি। এই জনপদের একজন ন্যাংটা মানুষকে নিয়ে এই উপন্যাসের কাহিনি শুরু হয়। যে আমাদের প্রচলিত সভ্যতার পোশাক পরে না, আমাদের মতো করে খায় না, চলাফেরা করে না। তাকে নিয়ে উপন্যাসের গল্প শুরু। পরবর্তীতে সমাজ, রাজনীতি, সংস্কৃতিসহ অনেক কিছু এতে যুক্ত হয়। বইটি পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স থেকে প্রকাশিত হয়েছে।’’
উপন্যাসের পাশাপাশি ছোট গল্পও লিখছেন স্বকৃত নোমান। এরই মধ্যে তার চারটি ছোট গল্পের বই প্রকাশিত হয়েছে। বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘২০০৮ সালে উপন্যাস দিয়ে লেখা শুরু করেছি। ২০১২ পর্যন্ত উপন্যাসই লিখেছি। পরবর্তীতে সংবাদপত্রের তাগাদা থেকে ছোট গল্প লিখতে শুরু করি। ঈদ সংখ্যা, সাহিত্য সাময়িকী—এসব পাতায় প্রকাশিত হয় আমার ছোট গল্প। ছোট গল্পের মোট চারটি বই প্রকাশিত হয়েছে। গত বছর ছোট গল্পের বই প্রকাশিত হয়েছিল। কিন্তু উপন্যাস লিখতে গিয়ে এবার আর তা সম্ভব হয়নি। আগামী বছর কিংবা তার পরের বছর ছোট গল্পের বই নিয়ে আসতে পারি।’
প্রতিবছর মেলায় অনেক কবিতার বই প্রকাশিত হয়। স্বাভাবিকভাবে কবির সংখ্যা তুলনামূলক বেশি। সে তুলনায় কথাসাহিত্যেকের সংখ্যা কম। এটা কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে স্বকৃত নোমান বলেন, ‘বাংলাদেশ নদী মার্তৃক দেশ। এ অঞ্চলের মানুষের মাঝে এক ধরণের কবি মন রয়েছে। বাঙালি কবিরা কবিতা লেখা অপেক্ষাকৃত সহজ মনে করেন। কিন্তু কবিতা লেখা সবচেয়ে কঠিন কাজ। কবিতার বোধ নির্মাণ করা অনেক কঠিন ব্যাপার। আর এক কথায় যদি বলি, কথাসাহিত্য হচ্ছে মাটি কাটার মতো কাজ। এর পেছনে দিনের পর দিন, মাসের পর মাস, বছরের পর বছর লেগে থাকতে হয়। ফলে যত বেশি কবি আসে তত বেশি কথাসাহিত্যিক আসে না।’
ঢাকা/শান্ত
আরো পড়ুন