ঢাকা     বুধবার   ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ৩ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

রাজশাহীতে আমের বাজার মন্দা

তানজিমুল হক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:৫০, ২৫ জুলাই ২০১৬   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
রাজশাহীতে আমের বাজার মন্দা

নগরীর শিরোইল বাসস্ট্যান্ডে ক্রেতাশূন্য আমের দোকান

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী : আমের মৌসুম প্রায় শেষ। অথচ এ সময়ে রাজশাহীতে আমের বাজারে মন্দাভাব চলছে।

বিক্রেতারা বলছেন, ক্রেতা সংকটের কারণে আম বিক্রি হচ্ছে না, দামও পড়েছে। এতে বিপাকে পড়েছেন তারা। সব মিলিয়ে লোকসানের আশঙ্কা করছেন তারা।

আম ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মাসখানেক আগেও গাছে গাছে ঝুলে ছিল সুস্বাদু আম। সে সময় গোপালভোগ, মোহনভোগ, কালিভোগ, লক্ষণভোগ, ল্যাংড়া ও হিমসাগরসহ হরেক রকম আমের ম-ম গন্ধে ভরে ছিল রাজশাহীর হাটবাজার। আর ক্রেতা-বিক্রেতার সমাগমে মুখর থাকত সারাদিন।

 

অথচ এখন মৌসুম শেষ হয়ে এলেও চিত্র ভিন্ন। বাজারে এখনো আম রুপালি ও ফজলি জাতের পর্যাপ্ত আম আছে। তবে নেই প্রয়োজনীয় ক্রেতা। এজন্য গত কয়েকদিন ধরে টানা বৃষ্টিকেই দায়ী করছেন ব্যবসায়ীরা।

 

সোমবার সকালে রাজশাহী নগরীর শিরোইল বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বেশ কয়েকটি আমের আড়তে গিয়ে জানা গেছে, গত কয়েকদিন ধরেই ক্রেতাশূন্যতায় পড়েছেন আম ব্যবসায়ীরা। ফলে দাম কমিয়ে ক্রেতাদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা করছেন বিক্রেতারা।

বাদশা আম আড়তের মালিক বাদশা জানান, বর্তমানে বাজারে শুধু দুই জাতের আম আছে। তারপরেও তুলনামূলক আমের দাম কম। বর্তমানে আম রুপালি কেজি প্রতি ৬০-৬৫ টাকা এবং ফজলি ৫০ থেকে ৬৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

রাজন ফল ভা-ারের রাজন হোসেন জানান, এ সময় বাজারে অন্তত ৮০ টাকা কেজি কাক্সিক্ষত দাম ধরে তারা বাগান কিনেছেন। কিন্তু আমের দাম সে তুলনায় অনেক কম। এতে নিশ্চিত ক্ষতির মুখে পড়তে হবে তাদের।

একই কথা জানালেন একরামুল হক নামের অপর এক ব্যবসায়ী। তিনি বলেন, অন্তত ১৫ দিন আগে থেকে বাজারে মন্দাভাব চলছে। ঢাকায় আম পাঠানো কমে যাওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলেও জানান তিনি।

 

একইভাবে নগরীর লক্ষ্মীপুর, সাহেববাজার ও শালবাগান এলাকার আমের আড়তগুলোতে ঘুরেও দেখা গেছে একই চিত্র। বিক্রেতারা জানিয়েছেন, আমের প্রত্যাশিত দাম পাচ্ছেন না তারা। বাজারে আমের আড়তের চেয়ে ক্রেতার সংখ্যা কমে গেছে বলে দাবি করেন তারা।

শালবাগান এলাকায় শফিকুল ইসলাম নামে এক আম ব্যবসায়ী বলেন, ক্রেতা সংকটে প্রতিযোগিতা করে আমের দাম কমিয়ে আম বিক্রি করতে হচ্ছে। এসব আম সংরক্ষণের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় পচন ধরলে আরো বেশি লোকসান হবে, তাই কম দামেই আম বিক্রি করতে হচ্ছে।

রাজশাহীর আম বাজারগুলোতে প্রায় মাসখানেক আগে শেষ হয়ে গেছে ল্যাংড়া ও খিরসাপাতসহ আরো অন্যান্য জাতের আম। বর্তমানে বাজারে শুধু ফজলি ও আম রুপালির আধিক্য চলছে। তারপরও আমের দাম কমে যাওয়ায় হতাশ ব্যবসায়ীরা। আর মাত্র সপ্তাহখানেক পরেই বাজারে আশ্বিনা জাতের আম আসবে। তখন বাজারে তার দাম কেমন হবে এ নিয়েও দুশ্চিন্তায় রয়েছেন আম ব্যবাসায়ীরা।

 

 


রাইজিংবিডি/রাজশাহী/২৫ জুলাই ২০১৬/তানজিমুল হক/মুশফিক

রাইজিংবিডি.কম

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়