ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ১০ অক্টোবর ২০২৪ ||  আশ্বিন ২৫ ১৪৩১

দুইশো বছরের পুরনো গোরস্থানটি এখন পার্ক

সাতসতেরো ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:২৪, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪   আপডেট: ১০:৩৪, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
দুইশো বছরের পুরনো গোরস্থানটি এখন পার্ক

ছবি: সংগৃহীত

১৮০০টির বেশি সমাধি রয়েছে গোরস্থানটিতে। কালের পরিক্রমায় এটি একেবারে জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছিল।– বলছি কলকাতার স্কটিশ গোরস্থানের কথা। এক সময় গোরস্থানটিকে সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়। বিশাল ও বিস্তৃত জায়গাজুড়ে থাকা এই গোরস্থানটি এখন হয়ে উঠেছে অক্সিজেন উৎপাদনের অন্যতম উৎস। এখানে রয়েছে অনেক গাছ। সারক্ষণ পাখির কলতানে মুখরিত থাকে কলকাতার এই স্কটিশ গোরস্থানটি। 

১৮২০ থেকে ১৮২৬ সালের মধ্যে তিন একর জমিতে তৈরি হওয়া এই গোরস্থানটি পুনরুদ্ধার ও সংরক্ষণের কাজ শুরু হয়  ২০০৮ সালে। এখানে শীতকালে অনেক রকম পাখির সমাগম দেখা যায়। গোরস্থানের একপাশে ভেজিটেবল এরিয়া রয়েছে। যেখানে কাঁচা মরিচ, বেগুন, টমেটো, বরবটি, ঢেঁড়স সবই উৎপাদন করা হয়। স্কটিশরা কলকাতায় বেড়াতে এলে তারা তাদের আত্মীয়স্বজন এবং পূর্বপুরুষদের সমাধি দেখতে গোরস্থানে যান। 

আরো পড়ুন:

সংরক্ষণের উদ্যোগ নিয়েছিল কলকাতা স্কটিশ হেরিটেজ ট্রাস্ট। রেভারেন্ড ড. স্বরূপ বর অধ্যাপক, খ্রিষ্টীয় ধর্মতত্ত্ব, বিশপ’স কলেজ, কলকাতা বলেন, এর মধ্যে ১৮০০টি সমাধি আছে। এবং ১৮০০টি সমাধিকে পুনরুদ্ধার করা অতটা সোজা ব্যাপার নয়। তাই কলকাতা স্কটিশ হেরিটেজ ট্রাস্টের সাহায্য নিয়ে কমপক্ষে এখন পর্যন্ত ২০০টি সমাধি পুরোপুরি পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। এই গোরস্থানের সবচেয়ে বিখ্যাত সমাধি হচ্ছে টমাস জোন্স-এর সমাধি।

ভগ্নস্তূপ সরিয়ে, বৈজ্ঞানিক উপায়ে সংরক্ষিত এই গোরস্থানটি এখন সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত। কেউ গোরস্থানটি দেখতে এলে কর্তৃপক্ষের কাছে ডেটাবেস আছে সেই ডেটাবেস অনুযায়ী গাইড করে থাকেন। এলাকার শিশুদের আঁকা শেখানোর মতো কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টও চালিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এটি এখন গাছগাছালিতে ভরা একটি পার্কে পরিণত হয়েছে।

তথ্যসূত্র: ডয়চে ভেলে

লিপি

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়