মিয়ানমারে অভ্যুত্থান: ৪ বিষয়কে গুরুত্ব দিচ্ছে সেনাবাহিনী
মিয়ানমারে পার্লামেন্টে যাওয়ার প্রধান রাস্তা অবরোধ করে রেখেছে দেশটির সেনাবাহিনী (ছবি: বিবিসি)
মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী নিশ্চিত করেছে, সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকালে অং সান সু চি এবং অন্য রাজনৈতিক নেতাদের আটক করার পর তারা দেশটির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। খবর বিবিসির।
খবরে বলা হয়, মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী বলেছে, জরুরি অবস্থা শেষ হলে দেশটিতে নতুন করে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং বিজয়ী দলের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা হবে। সেনা অভ্যুত্থানের কয়েক ঘণ্টা পর এ তথ্য জানানো হয়।
বিবিসি জানায়, দেশটির সামরিক বাহিনীর ফেসবুক পেজে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমরা প্রকৃত বহু-দলীয় গণতন্ত্র চর্চা করবো, যেখানে পূর্ণ ভারসাম্য এবং নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করা হবে।’
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের পর এবং জরুরি অবস্থা শেষ হয়ে যাওয়ার পর’ ক্ষমতা হস্তান্তর করা হবে।
এছাড়া সামরিক বাহিনী থেকে জারি করা বিবৃতিতে চারটি বিষয় গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে:
১. নতুন করে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হবে এবং নিয়মানুযায়ী ভোটার তালিকা তদন্ত এবং পর্যালোচনা করা হবে।
২. কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে সামরিক সরকার যুদ্ধ চালিয়ে যাবে এবং মহামারির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বেগবান করা হবে।
৩. দেশজুড়ে যুদ্ধবিরতি প্রক্রিয়া বন্ধ করতে কাজ করে যাবে সেনাবাহিনী।
৪. জরুরি অবস্থা শেষে একটি সাধারণ নির্বাচন আয়োজন করবে সেনাবাহিনী।
প্রসঙ্গত, সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) ভোরে সেনাবাহিনী মিয়ানমারের ক্ষমতা দখল এবং রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা অং সান সু চি ও ক্ষমতাসীন দলের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের আটক করে।
সূত্র: বিবিসি
ঢাকা/সাইফ
- ৩ বছর আগে ‘রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত থাকবে’
- ৩ বছর আগে সেনা অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের ডাক দিলেন সু চি
- ৩ বছর আগে সু চি আটক, আন্তর্জাতিক মহলের প্রতিক্রিয়া
- ৩ বছর আগে মিয়ানমারের ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানাবে বাংলাদেশ
- ৩ বছর আগে সু চি আটকের পর মিয়ানমারে ইন্টারনেট সেবা ব্যাহত
- ৩ বছর আগে মিয়ানমারে জরুরি অবস্থা জারি
- ৩ বছর আগে অং সান সু চি আটক
আরো পড়ুন