ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ১৭ জুলাই ২০২৫ ||  শ্রাবণ ২ ১৪৩২

আলজাজিরার বিশ্লেষণ

যুদ্ধবিরতিকে বিশ্ব স্বাগত জানালেও যে কারণে উদ্বেগ থেকেই যাচ্ছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২৩:১৬, ২৪ জুন ২০২৫   আপডেট: ২৩:৫০, ২৪ জুন ২০২৫
যুদ্ধবিরতিকে বিশ্ব স্বাগত জানালেও যে কারণে উদ্বেগ থেকেই যাচ্ছে

ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে সম্মত হওয়া যুদ্ধবিরতিকে বিশ্ব স্বাগত জানালেও আঞ্চলিক এই দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে সম্ভাব্য শান্তি কতটা স্থায়ী হবে, তা নিয়ে উদ্বেগ থেকেই যাচ্ছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষণার পর মঙ্গলবার (২৪ জুলাই) ভোরে ইসরায়েল ও ইরান ধাপে ধাপে বাস্তবায়িত একটি যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনায় সম্মত হয়। তবে উভয় পক্ষই হুঁশিয়ারি দিয়েছে যে, যদি অন্য পক্ষ চুক্তি ভঙ্গ করে, তাহলে দ্রুত প্রতিশোধ নেওয়া হবে। ফলে উত্তেজনা এখনো তুঙ্গে।

ইসরায়েল যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার পরপরই প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ ঘোষণা দেন, তিনি তেহরানকে লক্ষ্য করে হামলার নির্দেশ দিয়েছেন। তার দাবি, যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভঙ্গ করে ইরান ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে।

আরো পড়ুন:

এরপর ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইসরায়েলকে উদ্দেশ করে বলেন, “সেই বোমাগুলো ফেলো না!”

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু দ্রুত ট্রাম্পের অনুরোধ মেনে নেন।

এই ঘটনাগুলো যুদ্ধবিরতির জটিল সময়সূচি ঘিরে তৈরি হওয়া বিভ্রান্তি আরো বাড়িয়ে দিয়েছে।

এদিকে, ইরান ইতোমধ্যে জানিয়েছে যে, তারা দ্রুত তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি পুনরায় শুরু করবে।

ইসরায়েল জানিয়েছে, ১৩ জুন তারা ইরানে প্রথম হামলা চালায় কারণ তাদের কাছে গোয়েন্দা তথ্য ছিল যে তেহরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির খুব কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্রও একই যুক্তিতে শনিবার ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে হামলা চালায়।

তবে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এবং জাতিসংঘের পারমাণবিক পর্যবেক্ষক সংস্থা এর আগে কোনো প্রমাণ পায়নি যে ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করছে।

এই অনিশ্চয়তার মধ্যেও বিশ্ব সম্প্রদায় যুদ্ধবিরতিকে আশার আলো হিসেবে দেখলেও সতর্ক রয়েছে; কারণ এই যুদ্ধবিরতি যে নাজুক, তা স্পষ্ট। একইসঙ্গে গাজা যুদ্ধের অবসানের জন্য নতুন করে যুদ্ধবিরতির আহ্বানও জোরালোভাবে ওঠছে।

ঢাকা/রাসেল


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়