ঢাকা     সোমবার   ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ১ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

টেক্সাসে বন্যায় মৃত বেড়ে ৮১, নিখোঁজ ৪১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:৩৭, ৭ জুলাই ২০২৫   আপডেট: ১৩:০৩, ৭ জুলাই ২০২৫
টেক্সাসে বন্যায় মৃত বেড়ে ৮১, নিখোঁজ ৪১

যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যে আকস্মিক বন্যায় সবশেষ ৮১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া এখনো নিখোঁজ রয়েছেন আরো ৪১ জন। সোমবার (৭ ‍জুলাই) স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি। 

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, শুক্রবারের আকস্মিক এই বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কের কাউন্টি। এখানে ৬৮ জনের প্রাণ গেছে, যার মধ্যে ২৮ জনই শিশু। বন্যায় গুয়ারডালুপ নদীর তীরে অবস্থিত ‘ক্যাম্প মিস্টিক’ সম্পূর্ণভাবে প্লাবিত হয়। ক্যাম্পের ১০ জন মেয়ে ও তাদের এক পরামর্শক এখনো নিখোঁজ।

আরো পড়ুন:

কর্তৃপক্ষ আশঙ্কা করছে, প্রাণহানির সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এলাকায় আরো ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে, যা উদ্ধারকাজে বড় ধরনের বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। এরই মধ্যে উদ্ধারকর্মীরা কাদা ও ধ্বংসস্তূপের মধ্যে বিষাক্ত সাপের সঙ্গে লড়াই করে এগিয়ে যাচ্ছেন।

বন্যার তিন দিন পরও টেক্সাসের ইতিহাসের অন্যতম বড় উদ্ধার অভিযান এখনও চলছে, তবে সেটি এখন অনেকটা উদ্ধার থেকে উদ্ধার-পরবর্তী পুনরুদ্ধার অভিযানে রূপ নিচ্ছে।

কার কাউন্টিতে যেসব মরদেহ পাওয়া গেছে, সেগুলোর মধ্যে এখনো ১৮ জন প্রাপ্তবয়স্ক ও ১০ জন শিশুর পরিচয় নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি।

টেক্সাসের গভর্নর গ্রেগ অ্যাবট রবিবার জানান, নিখোঁজ থাকা প্রত্যেককে খুঁজে বের করতে আমরা কোনো কিছুর কমতি রাখব না।

গুয়ারডালুপ নদীর পাশ দিয়ে যাওয়া দুই লেনের মহাসড়ক এখন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। ভাঙা বাড়ি, উপড়ে পড়া গাছ, ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা আসবাবপত্রে এলাকা যেন এক মৃত্যুপুরী। অনেক স্থানে বৈদ্যুতিক খুঁটি পড়ে আছে।

রবিবার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কার কাউন্টিকে দুর্যোগ এলাকা হিসেবে ঘোষণা করেন এবং ফেডারেল জরুরি ব্যবস্থাপনা সংস্থাকে সহায়তা দিতে নির্দেশ দেন। ট্রাম্প আরো জানান, তিনি সম্ভবত আগামী শুক্রবার রাজ্যটি পরিদর্শন করবেন।

রবিবার নিউ জার্সিতে ট্রাম্প বলেন, “আমরা টেক্সাসের প্রতিনিধিদের সঙ্গে খুব ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছি। সেখানে যা ঘটেছে তা খুবই ভয়াবহ।”

এদিকে, স্থানীয় বাসিন্দারা ত্রাণ সহায়তায় এগিয়ে এসেছেন। কেউ খাবার, কেউ আশ্রয়, কেউ আবার জামাকাপড় ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সরবরাহ করছেন।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়