ঢাকা     সোমবার   ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ১ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

সত্যজিৎ রায়ের পূর্বপুরুষদের স্মৃতিবিজড়িত বাড়ি না ভাঙার আহ্বান মমতার

কলকাতা ব্যুরো || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:৫৭, ১৬ জুলাই ২০২৫   আপডেট: ১১:০০, ১৬ জুলাই ২০২৫
সত্যজিৎ রায়ের পূর্বপুরুষদের স্মৃতিবিজড়িত বাড়ি না ভাঙার আহ্বান মমতার

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বলেছেন, প্রখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা সত্যজিৎ রায়ের পূর্বপুরুষদের স্মৃতিবিজড়িত বাড়িটি বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ ভেঙে ফেলছে। মঙ্গলবার তিনি এ কথা বলেন। বাংলাদেশ সরকারকে এ সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) সন্ধ্যায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ একটি পোস্টে মমতা লিখেছেন, “খবরে প্রকাশ যে, বাংলাদেশের ময়মনসিংহ শহরে সত্যজিৎ রায়ের ঠাকুরদা, স্বয়ং স্বনামধন্য সাহিত্যিক-সম্পাদক উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর স্মৃতিজড়িত তাদের পৈতৃক বাড়িটি নাকি ভেঙে ফেলা হচ্ছে। ভাঙার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছিল বলে খবর প্রকাশিত। এই সংবাদ অত্যন্ত দুঃখের। রায় পরিবার বাংলার সংস্কৃতির অন্যতম ধারক ও বাহক। উপেন্দ্রকিশোর বাংলার নবজাগরণের একজন স্তম্ভ। তাই আমি মনে করি, এই বাড়ি বাংলার সাংস্কৃতিক ইতিহাসের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত।”

আরো পড়ুন:

বাড়িটি রক্ষা করতে বাংলাদেশ সরকার ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোরি সরকারের কাছে আবেদন জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, “আমি বাংলাদেশ সরকার ও ওই দেশের সমস্ত শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষের কাছে আবেদন করব, এই ঐতিহ্যশালী বাড়িটিকে রক্ষা করার জন্য। ভারত সরকার বিষয়টিতে নজর দিন।”

বাংলাদেশ সরকারের পুরাতত্ত্ব বিভাগ বলছে, বাংলাদেশের আইনজীবী ছিলেন হরিকিশোর রায়। পরবর্তীকালে তিনি প্রচুর সম্পত্তির মালিক হন। পান রায়চৌধুরী উপাধি। হরিকিশোর প্রখ্যাত শিশু সাহিত্যিক উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর পালক পিতা। উপন্দ্রেকিশোর এই বাড়িতে দীর্ঘদিন কাটিয়েছেন। সেই স্মৃতিবিজড়িত বাড়ি ভেঙে ফেলা হচ্ছে। সেখানে বহুতল বানানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে খবর। পুরাতত্ত্ব বিভাগের হিসাবে বাড়িটি একশো বছরের বেশি পুরোনো। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর বাড়িটি বাংলাদেশ সরকারের হেফাজতে আসে। 

১৯৮৯ সাল থেকে দেড়শোর বেশি বছর পুরোনো এই বাড়িটি বাংলাদেশ শিশু একাডেমির ভবন হিসেবে ব্যবহার করা হতো। কিন্তু ২০০৭ সাল থেকে নিরাপত্তার কারণে সেই বাড়িটি থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় শিশু একাডেমি। সম্প্রতি সেটি ভেঙে বহুতল নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে খবর রটেছে।

বাড়িটি শেষ ১০ বছর ধরে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে বলে বাংলাদেশের এক কর্মকর্তার দাবি। কিন্তু, এমন একটি ঐতিহাসিক বাড়িকে ভেঙে ফেলা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অসন্তোষ প্রকাশ করে অনেকে পোস্ট করেছেন। 

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়