অসহায় বোধ করছেন গাজার চিকিৎসকরা
অসহায় বোধ করছেন অবরুদ্ধ গাজার চিকিৎসকরা। তীব্র অপুষ্টির শিকার রোগীদের কোনো চিকিৎসা দিতে পারছেন না তারা। আবার খাদ্যাভাবের কারণে চিকিৎসকরাও অপুষ্টির শিকার হয়ে পড়ছেন। খাদ্যাভাবের কারণে অনেক চিকিৎসক জ্ঞানও হারিয়ে ফেলছেন। শনিবার আল-জাজিরা অনলাইন এ তথ্য জানিয়েছে।
আল-জাজিরা বলেছে, “গাজার ডাক্তাররা যখন মানুষকে সাহায্য করার চেষ্টা করেন, তখন তারা অপুষ্টিতে ভুগছেন। আমরা এমন ডাক্তারদের সাথে কথা বলেছি যারা জানিয়েছেন, তাদের সবসময় মাথা ঘোরা, মাথাব্যথা বা এমনকি অজ্ঞান হয়ে পড়ার মতো সমস্যা হচ্ছে।”
এই পরিস্থিতিতে প্রতিদিনই ক্ষুধার্ত ফিলিস্তিনি রোগী এবং আহতরা হাসপাতালে আসছেন। ডাক্তারদের কাছে কোনো চিকিৎসা সরঞ্জাম নেই, পুষ্টির কোনো সংস্থান নেই। অনেকেই হাসপাতাল ছেড়ে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। কারণ চিকিৎসকরা তাদের কোনো সাহায্য করতে পারছেন না।
আল-জাজিরা বলেছে, “আমরা কখনো কখনো বাবা-মাকে হাসপাতালের প্রবেশপথে কাঁদতে দেখেছি। কারণ ডাক্তাররা অসহায়।”
বিশ্ব খাদ্য সংস্থা জানিয়েছে, গাজার প্রতি তিনজনের মধ্যে প্রায় একজন মানুষ কয়েকদিন ধরে না খেয়ে আছে। উপত্যকার ৯০ হাজার নারী ও শিশুর জরুরি চিকিৎসার প্রয়োজন।
উত্তর গাজার বেইত হানুন থেকে আসা একজন বাস্তুচ্যুত বাসিন্দা সৌদ নাসের বলেন, “বাচ্চারা সারাদিন চিৎকার করে বলছে তারা এক টুকরো রুটি চায়। আমরা রুটি ছোট ছোট টুকরো করে ভাগ করি। আমরা তাদের সারাদিন ধরে একটি পিটা রুটি দেই।”
গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস ইসরায়েলের তৈরি করা ‘নজিরবিহীন ও আসন্ন মানবিক বিপর্যয’ সম্পর্কে কঠোরভাবে সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, ৪০ হাজার নবজাতকসহ দুই বছর বা তার কম বয়সী এক লাখ শিশু কয়েক দিনের মধ্যেই মৃত্যুর ঝুঁকিতে রয়েছে।
ঢাকা/শাহেদ