ট্রাম্পের প্রতি অসন্তোষের বার্তা মার্কিন ভোটারদের
যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব উপকূলের ভোটাররা মঙ্গলবার ডেমোক্র্যাটদের বিপুল ভোটে বিজয়ী করেছেন। ডেমোক্র্যাটদের এই জয় প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদের প্রায় এক বছর পর তার প্রতি অসন্তোষের একটি স্পষ্ট প্রদর্শন। বুধবার সিএনএন এ তথ্য জানিয়েছে।
ভার্জিনিয়ায় মধ্যপন্থী হিসেবে পরিচিত অ্যাবিগেল স্প্যানবার্গার গভর্নর নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয় পেয়েছেন। নিউ জার্সিতে আরেক মধ্যপন্থী মিকি শেরিল তার রিপাবলিকান প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক আইন প্রণেতা জ্যাক সিয়াত্তারেলিকে পরাজিত করেছেন। নিউ ইয়র্ক সিটিতে গণতান্ত্রিক সমাজতান্ত্রিক জোহরান মামদানির চলতি বছর দ্বিতীয়বারের মতো সাবেক গভর্নর অ্যান্ড্রু কুওমোকে পরাজিত করেছে - প্রথমে ডেমোক্র্যাটিক প্রাইমারিতে এবং তারপরে সাধারণ নির্বাচনে। কুওমো ট্রাম্পের সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।
তীব্র আদর্শগত পার্থক্যের অধিকারী ডেমোক্র্যাটি প্রার্থীদের জয় দলের দীর্ঘস্থায়ী অভ্যন্তরীণ বিতর্কের নিরসনে খুব একটা ভূমিকা রাখবে না। কারণ মাত্র কয়েক মাস পরেই বেশ কয়েকটি প্রতিযোগিতামূলক মধ্যবর্তী প্রাইমারি অনুষ্ঠিত হবে এবং ২০২৮ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে।
কিন্তু এই প্রার্থীদের প্রচারণায় কিছু মিল ছিল, যদিও তাদের সমাধান ভিন্ন ছিল। প্রার্থীরা সাশ্রয়ী মূল্যের বিষয়টির উপর মনোনিবেশ করেছিলেন। একইসঙ্গে তারা সবাই ট্রাম্পের কর্মকাণ্ডের তীব্র সমালোচনা করেছিলেন।
প্রতিনিধি পরিষদে নিউ ইয়র্কের সদস্য আলেকজান্দ্রিয়া ওকাসিও-কর্টেজ সিএনএন-কে মামদানির বিজয়ের প্রতিক্রিয়ায় বলেন,“এটি কেবল ডেমোক্র্যাটদের সম্পর্কে একটি বার্তা নয়; এটি আমাদের পুরো দেশ সম্পর্কে একটি বার্তা। আমার মনে হয় আমেরিকানরা এই প্রশাসন থেকে যা বেরিয়ে আসছে তাতে তারা হতবাক।”
ক্যালিফোর্নিয়ায়, ভোটাররা আগামী বছরের হাউসের নিয়ন্ত্রণের লড়াইয়ে ডেমোক্র্যাটদের সম্ভাবনা বাড়ানোর লক্ষ্যে একটি পুনর্বিবেচনামূলক ব্যালট ব্যবস্থাকে ব্যাপক ব্যবধানে অনুমোদন করেছেন। ডেমোক্র্যাটিক রাজ্য পেনসিলভানিয়ায় সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা তাদের রিটেনশন ভোট জিতেছেন, যার ফলে ডেমোক্র্যাটরা উচ্চ আদালতে তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা ধরে রাখতে পেরেছেন।
তবে রিপাবলিকানরা ডেমোক্র্যাটদের এই বিজয়কে গায়ে মাখছেন না। মার্কিন কংগ্রেসের স্পিকার মাইক জনসন বলেছেন, “গত রাতে কোনো আশ্চর্য ঘটনা ঘটেনি। গত রাতে যা ঘটেছিল তা হল নীল রাজ্য এবং নীল শহরগুলো নীলদের পক্ষে ভোট দিয়েছে।”
মামদানির জয়ের সমালোচনা করে তিনি বলেছেন, “জোহরান মামদানি নিঃসন্দেহে দেশের ইতিহাসে সমাজতন্ত্রের জন্য সবচেয়ে বড় জয়, এবং এটি আমেরিকান জনগণের জন্য সবচেয়ে বড় ক্ষতি।”
ঢাকা/শাহেদ