অ্যাডিলেড টেস্টে অ্যাটকিনসনের জায়গায় টাং, নেই বশির
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অ্যাশেজ সিরিজের তৃতীয় টেস্টে এক পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নামছে ইংল্যান্ড। অ্যাডিলেডে অনুষ্ঠিতব্য এই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের জন্য গাস অ্যাটকিনসনের বদলে দলে নেওয়া হয়েছে জশ টাংকে। তবে সবচেয়ে আলোচনার বিষয় হলো- এই সফরের সবচেয়ে স্পিন সহায়ক উইকেট হওয়া সত্ত্বেও দলে রাখা হয়নি অফস্পিনার শোয়েব বশিরকে।
পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ২-০ ব্যবধানে পিছিয়ে থাকা ইংল্যান্ডের জন্য বুধবারের টেস্ট কার্যত ‘ডু-অর-ডাই’। এমন অবস্থায় বড় পরিবর্তনের সম্ভাবনা থাকলেও, শীর্ষ সাত ব্যাটারের ওপর প্রকাশ্যে আস্থা রাখার পর কোচ ব্রেন্ডন ম্যাককালাম ও অধিনায়ক বেন স্টোকস মাত্র একটি পরিবর্তনেই সীমাবদ্ধ থেকেছেন।
এই সিরিজে অ্যাটকিনসনের পারফরম্যান্স ছিল বেশ হতাশাজনক। ৫৪ ওভারে মাত্র তিন উইকেট নিয়ে তার গড় দাঁড়িয়েছে ৭৮.৬৬। ইংল্যান্ড বোলারদের মধ্যে যা সবচেয়ে খারাপ। গতি কমে যাওয়ায় উইকেট থেকেও প্রয়োজনীয় বাউন্স পাচ্ছিলেন না তিনি। ফলে শেষ পর্যন্ত বাদ পড়তেই হলো।
অ্যাটকিনসনের জায়গায় ইংল্যান্ড বেছে নিয়েছে নিয়ন্ত্রণের চেয়ে উইকেট নেওয়ার ক্ষমতাকে। ২০২৩ সালের ঘরোয়া মৌসুমে টেস্ট অভিষেকের পর এটি হবে জশ টাংয়ের সপ্তম টেস্ট। এখন পর্যন্ত ৩১ উইকেট নিয়েছেন তিনি, গড় ঠিক ৩০।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এটি টাংয়ের দ্বিতীয় টেস্ট। গত অ্যাশেজে লর্ডসে খেলতে নেমে পাঁচ উইকেট নিয়েছিলেন, যার মধ্যে দু’বার শিকার করেছিলেন স্টিভেন স্মিথকে। সব মিলিয়ে স্মিথকে চারবার আউট করেছেন টাং। কাউন্টি ক্রিকেট ও দ্য হান্ড্রেডেও রয়েছে সেই সাফল্য।
সর্বশেষ টেস্টে, ভারতের বিপক্ষে শেষ ম্যাচে ৫ উইকেট নেন তিনি। পাঁচ ম্যাচের সিরিজে মাত্র তিন টেস্ট খেলেও ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি ছিলেন (১৯ উইকেট)। বিশেষ করে লেজের ব্যাটসম্যানদের দ্রুত গুটিয়ে দেওয়ার দক্ষতা রয়েছে তার। যেটার ঘাটতি স্পষ্ট ছিল গ্যাব্বা টেস্টে।
অন্যদিকে, স্পিন সহায়ক উইকেটে শোয়েব বশিরকে বাদ দেওয়া স্পষ্টতই ইংল্যান্ড শিবিরের আস্থাহীনতার ইঙ্গিত। অস্ট্রেলিয়া যেখানে নাথান লায়নকে ফিরিয়ে আনছে, সেখানে ১৯ টেস্টে ৬৮ উইকেট নেওয়া বশিরকে এই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে না রাখা বড় সিদ্ধান্ত।
স্টোকস প্রকাশ্যে বশিরের পক্ষে কথা বললেও, সাম্প্রতিক প্রস্তুতি ম্যাচে তার পারফরম্যান্স আশাব্যঞ্জক ছিল না। লায়ন্সের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে ১৫১ রানে ২ উইকেট এবং অস্ট্রেলিয়া ‘এ’ দলের বিপক্ষে ১১৫ রান দিয়ে উইকেটশূন্য; এই পরিসংখ্যানই শেষ পর্যন্ত তার ভাগ্য নির্ধারণ করেছে।
ব্রিসবেনে সীমিত বোলিং সুযোগ পেলেও উইল জ্যাকস ছিলেন নিয়ন্ত্রিত। ১১.৩ ওভারে ৩৪ রানে ১ উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি ব্যাট হাতে গুরুত্বপূর্ণ রানও যোগ করেন তিনি। ফলে স্পিন অপশন হিসেবে এবারও জ্যাকসের ওপরই ভরসা রাখছে ইংল্যান্ড।
ইংল্যান্ড সম্ভবত নতুন বলে আক্রমণ শুরু করবে জোফরা আর্চার ও ব্রাইডন কার্সকে দিয়ে।
অ্যাডিলেড টেস্টে ইংল্যান্ডের একাদশ:
১. জ্যাক ক্রলি,
২. বেন ডাকেট,
৩. অলি পোপ,
৪. জো রুট,
৫. হ্যারি ব্রুক,
৬. বেন স্টোকস (অধিনায়ক),
৭. জেমি স্মিথ (উইকেটকিপার),
৮. উইল জ্যাকস,
৯. ব্রাইডন কার্স,
১০. জোফ্রা আর্চার,
১১. জশ টাং।
ঢাকা/আমিনুল