মাদুরোর অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছেন ট্রাম্প
ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর পদত্যাগ এবং মার্কিন নিরাপত্তার আওতায় দেশ ত্যাগ করার বিকল্প ফুরিয়ে আসছে। গত মাসে একটি সংক্ষিপ্ত ফোন কলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভেনেজুয়েলার নেতার একাধিক অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছেন। এই ফোন কল সম্পর্কে অবহিত চারটি সূত্রের বরাত দিয়ে সোমবার রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।
২১ নভেম্বরের এই ফোন কলটি ভেনেজুয়েলার উপর কয়েক মাস ধরে ক্রমবর্ধমান মার্কিন চাপের পরে এসেছিল। ভেনেজুয়েলাকে যেসব মার্কিন চাপ সামাল দিতে হচ্ছে তার মধ্যে রয়েছে ক্যারিবিয়ান অঞ্চলে মাদক চোরাচালানের অভিযোগে নৌকাগুলোর ওপর হামলা, ট্রাম্পের সামরিক অভিযান সম্প্রসারণের বারবার হুমকি এবং কার্টেল দে লস সোলসসহ মাদুরোকে অন্তর্ভুক্ত করে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসাবে ঘোষণা করা।
মাদুরো এবং তার সরকার সবসময় অপরাধমূলক অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে এবং বলেছে যে তেলসহ ভেনেজুয়েলার বিশাল প্রাকৃতিক সম্পদের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র শাসন ব্যবস্থা পরিবর্তন চাইছে।
তিনটি সূত্র জানিয়েছে, ফোনালাপের সময় মাদুরো ট্রাম্পকে বলেছিলেন যে তিনি এবং তার পরিবারের সদস্যদের পূর্ণ আইনি ক্ষমা পেলে তিনি ভেনেজুয়েলা ছেড়ে যেতে ইচ্ছুক, যার মধ্যে রয়েছে সব মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে তার মুখোমুখি একটি প্রধান মামলার অবসান।
এর পাশাপাশি মাদুরো ভেনেজুয়েলার সরকারি কর্মকর্তার উপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারেরও অনুরোধ করেছিলেন, যাদের অনেকের বিরুদ্ধেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মানবাধিকার লঙ্ঘন, মাদক পাচার বা দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়েছে।
দুটি সূত্রের মতে, মাদুরো নতুন নির্বাচনের আগে ভাইস প্রেসিডেন্ট ডেলসি রদ্রিগেজকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার পরিচালনা করতে বলেছিলেন।
১৫ মিনিটেরও কম সময় ধরে চলা এই ফোনালাপে মাদুরোর বেশিরভাগ অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছিলেন ট্রাম্প। তবে তিনি মাদুরোকে বলেছিলেন যে তার পরিবারের সদস্যদের সাথে তার পছন্দের গন্তব্যে ভেনেজুয়েলা ছেড়ে যাওয়ার জন্য এক সপ্তাহ সময় আছে।
শুক্রবার সেই নিরাপদ পথের মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। এর ফলে ট্রাম্প শনিবার ঘোষণা করেন যে ভেনেজুয়েলার আকাশসীমা বন্ধ করা হয়েছে বলে দুটি সূত্র জানিয়েছে।
রবিবার ট্রাম্প নিশ্চিত করেছেন যে তিনি মাদুরোর সাথে কথা বলেছেন, তবে বিস্তারিত কিছু জানাননি। হোয়াইট হাউস আরো বিস্তারিত জানাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে এবং ভেনেজুয়েলার তথ্য মন্ত্রণালয় তাৎক্ষণিকভাবে মন্তব্যের অনুরোধের জবাব দেয়নি।
ঢাকা/শাহেদ