তুরস্কে বিমান দুর্ঘটনায় লিবিয়ার সেনাপ্রধান নিহত
তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় এক বিমান দুর্ঘটনায় লিবিয়ার সেনাপ্রধান নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী।
বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আঙ্কারা থেকে উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পর লিবিয়ার সেনাপ্রধান জেনারেল মোহাম্মদ আলী আহমেদ আল-হাদ্দাদ এবং আরো চারজন আরোহী নিয়ে একটি ‘ফ্যালকন ৫০’ বিমান বিধ্বস্ত হয়।
তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলী ইয়ারলিকায়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘এক্স’-এ একটি পোস্টে জানান যে, আঙ্কারা বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের প্রায় ৪২ মিনিট পর, স্থানীয় সময় রাত ৮টা ৫২ মিনিটে জেট বিমানটির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
ত্রিপোলিগামী এই বিমানটি নিখোঁজ হওয়ার আগে জরুরি অবতরণের অনুরোধ জানিয়েছিল। পরবর্তীতে আঙ্কারার দক্ষিণ-পশ্চিমে বিমানটির ধ্বংসাবশেষ পাওয়া যায়। ঠিক কী কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে, তা নিয়ে বর্তমানে তদন্ত চলছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়ারলিকায়া পরে আরো একটি পোস্টে জানান যে, পুলিশ আঙ্কারার হেইমানা জেলার কেসিককাভাক গ্রামের কাছে বিমানের ধ্বংসাবশেষ শনাক্ত করেছে। তিনি আরো বলেন, “পরবর্তী আপডেট সম্পর্কে জনগণকে অবহিত করা হবে।”
এদিকে, লিবিয়ার আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ‘গভর্নমেন্ট অব ন্যাশনাল ইউনিটি’-এর প্রধানমন্ত্রী আব্দুল হামিদ দিবেইবা জেনারেল হাদ্দাদ এবং অন্যান্য সিনিয়র সামরিক কর্মকর্তাদের মৃত্যুর সংবাদ নিশ্চিত করেছেন। তিনি এই ঘটনাকে জাতির জন্য একটি ‘বিরাট ক্ষতি’ হিসেবে অভিহিত করে বলেন, লিবিয়া এমন কিছু মানুষকে হারালো যারা ‘আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দেশের সেবা করেছেন।’
জেনারেল হাদ্দাদ ও তার প্রতিনিধি দল দুই দেশের মধ্যে সামরিক ও নিরাপত্তা সহযোগিতা আরো জোরদার করার লক্ষ্যে আলোচনার জন্য তুরস্কে অবস্থান করছিলেন।
২০১৯ সালে লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় বাহিনীর ত্রিপোলি দখলের চেষ্টা নস্যাৎ করতে তুরস্ক হস্তক্ষেপ করার পর থেকে দেশটিতে তাদের প্রভাব উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে লিবিয়ার সঙ্গে তুরস্কের ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক, সামরিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে।
ঢাকা/ফিরোজ