ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

এএসপি আনিস হত্যা: আরও দুজনের দোষ স্বীকার

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:০২, ১৬ নভেম্বর ২০২০   আপডেট: ০৬:১৭, ১৭ নভেম্বর ২০২০
এএসপি আনিস হত্যা: আরও দুজনের দোষ স্বীকার

সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আনিসুল করিম হত্যা মামলায় আরও দুজন দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।

সোমবার (১৬ নভেম্বর) রিমান্ড চলাকালে মাইন্ড এইড হাসপাতালের মার্কেটিং ম্যানেজার আরিফ মাহমুদ জয় ও ওয়ার্ড বয় সজীব চৌধুরী স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তাদের আদালতে হাজির করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আদাবর থানার পরিদর্শক (অপারেশন) ফারুক মোল্লা। তিনি আসামিদের জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন জানান। ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ-উর-রহমান তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। পরে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।

আদারব থানার আদালতের সাধারণ নিবনন্ধন কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান এসব তথ্য জানিয়েছেন।

এর আগে রোববার একই আদালতে কিচেন সেফ মাসুদ খান এবং ওয়ার্ড বয় অসীম চন্দ্র পাল স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। বর্তমানে তারা কারাগারে আছেন।

গত ১০ নভেম্বর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়া চার আসামিসহ ১০ জনের সাত দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ওই দিন রিমান্ডে যাওয়া অপর আসামিরা হলেন—হাসপাতালের সমন্বয়ক রেদোয়ান সাব্বির, ওয়ার্ড বয় জোবায়ের হোসেন, তানিফ মোল্লা, লিটন আহাম্মদ, সাইফুল ইসলাম পলাশ ও ফার্মাসিস্ট তানভীর হাসান। 

এদিকে, রোববার হাসপাতালটির পরিচালক ফাতেমা খাতুনের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। মামলাটিতে গ্রেপ্তার হওয়া মাইন্ড এইডের আরেক পরিচালক নিয়াজ মোর্শেদ বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

মামলার এজাহারভুক্ত আসামি আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাখাওয়াত হোসেন ও সাজ্জাদ আমিন এখনও পলাতক।

জানা গেছে, পারিবারিক ঝামেলার কারণে আনিসুল করিম মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন। ৯ নভেম্বর দুপুর পৌনে ১২টার দিকে তাকে মাইন্ড এইড হাসপাতালে নেওয়া হয়। ভর্তির কিছুক্ষণ পর ওই হাসপাতালের কর্মচারীদের ধস্তাধস্তি ও মারধরে আনিসুল করিমের মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ করেছে তার পরিবার। এ ঘটনায় নিহতের বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফাইজুদ্দীন আহম্মেদ বাদী হয়ে আদাবর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন ও অণুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের ৩৩তম ব্যাচের ছাত্র আনিসুল করিম। তিনি ৩১তম বিসিএসের মাধ‌্যমে পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ পান। এক সন্তানের জনক আনিসুলের বাড়ি গাজীপুরে। মৃত‌্যুর আগে আনিসুল করিম বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগে সহকারী কমিশনার হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন।

ঢাকা/মামুন/রফিক

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ