স্বাস্থ্যের সাবেক লাইন ডিরেক্টরের ৫ বছর কারাদণ্ড
জাল জালিয়াতির মাধ্যমে রেকর্ডপত্র তৈরি করে ভুয়া বিল ভাউচার দাখিলপূর্বক টাকা উত্তোলন করে আত্মসাতের মামলায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক লাইন ডিরেক্টর আনোয়ারুল ইসলাম খানকে ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (৩১ জানুয়ারি) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমানের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী শরীফুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানা অনাদায়ে তাকে আরও এক মাস বিনাশ্রম কারাভোগ করতে হবে।
এছাড়া দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারা অভিযোগ প্রমাণিত হলেও আদালত তাকে সাজা না দিয়ে আত্মসাৎকৃত ৩৯ লাখ ৭৫ হাজার ৮৭৮ টাকা জরিমানা করেন। অসাধু উপায়ে অর্জিত এ অর্থ রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দেন আদালত।
আসামি পলাতক থাকায় আদালত তার বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
জাল জালিয়াতির মাধ্যমে রেকর্ডপত্র তৈরি করে ক্ষমতার অপব্যবহারপূর্বক কার্যাদেশ প্রদান করে স্বাস্থ্য সচেতনতামূলক কোন কাজ না করে; ভুয়া বিল ভাউচার দাখিলপূর্বক বিলের টাকা চেকের মাধ্যমে উত্তোলন করে ৩৯ লাখ ৭৫ হাজার ৮৭৮ টাকার আত্মসাৎ করেন আনোয়ারুল। এরপর দুদকের উপ-পরিচালক এ কে এম বজলুর রশীদ ২০১৩ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি রমনা থানায় ৬ জনকে আসামি করে মামলা করেন।
আনোয়ারুল ইসলাম বাদে মামলার অপর আসামিরা হলেন- তৎকালীন স্বাস্থ্য শিক্ষা ব্যুরোর মিডিয়া ডেভেলপমেন্ট অফিসার ও ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার মো. আবু হানিফা, সহকারী প্রধান (কারিগরি ও সহায়তা) শরিফুল ইসলাম ও মোখলেছুর রহমান, অফিস সহকারী রশিদুল ইসলাম ও এমবি এন্টারপ্রাইজের মালিক মনিরুজ্জামান।
মামলাটি তদন্ত শেষে ২০১৭ সালের ৮ জুন আনোয়ারুল ইসলাম ও মনিরুজ্জামানকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন কমিশনের উপ-সহকারী পরিচালক আজিজুল হক। অপর চার আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের অব্যাহতির আবেদন করা হয়। পরবর্তীতে চার আসামিকে অব্যাহতি দিয়ে দুই আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলার বিচার চলাকালে মনিরুজ্জামান মারা যান বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে।
মামলার বিচার চলাকালে আদালত ১৮ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৪ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।
ঢাকা/মামুন/এনএইচ
আরো পড়ুন