ঢাকা     মঙ্গলবার   ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ১ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

জামের অনেক গুণ

আহমেদ শরীফ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:৫৫, ২৩ জুলাই ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
জামের অনেক গুণ

আহমেদ শরীফ : দেখতে কালো বা বেগুণী রঙয়ের হালকা মিষ্টি-টক স্বাদের এক দেশীয় ফল জাম। বাজারে খুব কমই পাওয়া যায় ইদানিং। মৌসুমী এই ফলের আছে নানা উপকারিতা। আপনি কেন এই ফল খাবেন? জানি চলুন-

* জাম রক্ত পরিশোধন করে। এতে প্রচুর আয়রন থাকে বলে রক্তের হিমোগ্লোবিন শরীরের সব জায়গায় পৌঁছে দেয়।

* প্রচুর ভিটামিন এ, ই এবং অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকে জামে। তাই এটি মানসিক চাপ কমায় ও ত্বক উজ্জ্বল রাখে।

* ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে জাম বেশ উপকারি।

* বদহজম, ডায়রিয়ার মতো সমস্যা দূর করে হজমে সহায়তা করে জাম।

* জামে যথেষ্ট পরিমাণে পটাশিয়াম থাকে, যা কার্ডিওভাস্কুলার সমস্যা দূর করে হৃদপিন্ড সুস্থ রাখে। মৌসুমী এই ফলটি শরীরে ক্ষতিকর কোলেস্টেরল উৎপাদনেও বাধা দেয়।

* জামে ভিটামিন সি ও অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান থাকে, তাই মাড়ি সুস্থ রাখে ও মুখে দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া দূর করে।

* গাঢ় কালো জামে অ্যানথোসায়ানিন নামের অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকে, যা শরীরকে ক্যানসার সৃষ্টিকারী ক্ষতিকর উপাদান থেকে রক্ষা করে।

* জামে প্রচুর আঁশ থাকে, এটি শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে।

* জাম শরীরে শ্বেত রক্ত কণিকা উৎপাদনে সহায়তা করে। এতে করে দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।

গর্ভবতী মায়েদের জন্য জাম : আগে মনে করা হতো গর্ভবতী মায়েরা জাম খেলে তাদের বাচ্চারা গায়ে কালো দাগ নিয়ে জন্মায়। তবে এই ধারণার কোনো ভিত্তি নেই। বরং জাম গর্ভবতীদের জন্য বেশ উপকারি মনে করা হয়। জাম গর্ভবতীদের ডায়াবেটিস হওয়া থেকে রক্ষা করে। এতে প্রচুর আঁশ থাকায় তা গর্ভবতী মায়েদের হজমের সমস্যা দূর করে। প্রচুর অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও পটাশিয়াম থাকায় জাম গর্ভবতী মায়েদের ক্লান্তি ও মানসিক চাপ দূর করে। প্রচুর ভিটামিন ও মিনারেল থাকায় জাম গর্ভবতী মায়েদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় ও হাড় মজবুত রাখে। জামে ভিটামিন এ থাকে অনেক, যা গর্ভে থাকা শিশুর দৃষ্টি শক্তি ভালো রাখে। গর্ভবতীদের রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতে ভালো ভূমিকা রাখে জাম। পরিমিত জাম খেলে গর্ভবতীরা ক্যানসারের ঝুঁকি থেকেও নিরাপদ থাকতে পারবেন।

তবে খেয়াল রাখতে হবে, যদি গর্ভবতী অবস্থায় আপনার শরীরের আদর্শ ওজন না থাকে, তাহলে জাম কম খাওয়াই ভালো। আর যেহেতু খুব অল্প সময়ে পচেঁ যায় জাম, তাই বিশেষ করে গর্ভকালীন সময়ে বাছাই করে ভালো জামই খেতে হবে।

তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া, অর্গানিক ফ্যাক্টস, বিইং দ্য প্যারেন্ট



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৩ জুলাই ২০১৮/ফিরোজ

রাইজিংবিডি.কম

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়