ঢাকা     সোমবার   ২৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৬ ১৪৩১

ওয়েডিং ফটোগ্রাফি প্ল্যান

লাইফস্টাইল ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:৩৬, ২০ ডিসেম্বর ২০২৩   আপডেট: ১১:৪৬, ২০ ডিসেম্বর ২০২৩
ওয়েডিং ফটোগ্রাফি প্ল্যান

ফটোগ্রাফার কখন আসবেন এই প্রতীক্ষায় থাকেন বাড়ির সবাই। সব আয়োজন তার জন্য থমকে থাকে। মোটামুটি বিয়ে বাড়িটা একটা শুটিং সেটে পরিণত হয়। আর সেখানে পরিচালকের ভূমিকায় দেখা যায় ওয়েডিং ফটোগ্রাফারকে।

ওয়েডিং ফটোগ্রাফার বর-কনেকে নির্দেশনা দিতে থাকেন কখন হাসবে, কীভাবে হাসবে। কনে কখন লজ্জা পাবে কিংবা কখন বর-কনে কাছাকাছি বসবে। পাশাপাশি বসলে ঠিক কতটুকু কাছাকাছি বসবে। ফটোগ্রাফার খুঁজতে থাকেন কাঙ্ক্ষিত পোজের ছবি। মনের মতো ছবি না পাওয়া পর্যন্ত একই দৃশ্যের পুনরাবৃত্তিও করতে বলেন তিনি। বলা যায়, বিয়ে বাড়িতে ফটোগ্রাফারের ভূমিকার শেষ নেই। 

বিয়েতে বর-কনের সুন্দর ছবি পাওয়ার জন্য অনুষ্ঠানের শেষ দিকেও বাড়ির পরিবেশ থাকে আনন্দমুখর। কনের কান্না করা নিষেধ থাকে। তার ঠিক রাখতে হয় মুখের মেকআপ, চোখের কাজল, চুলের সাজ। ফটোগ্রাফারের কড়া নির্দেশ থাকে কান্না করা যাবে না। বিয়ে বাড়িতে আসা অন্য আত্মীয়-স্বজনও নিজের দিকে খেয়াল রাখতেই বেশি ব্যস্ত থাকেন। সেন্সর থাকে খাবার টেবিলেও। একটু দেখে-শুনে খাওয়া আরকি! নিজের অজান্তে কখন আবার দৃষ্টিকটু ছবি উঠে যায় ওয়েডিং ফটোগ্রাফারের ক্যামেরায়।

ভালো ছবি পাওয়ার অধীর আগ্রহ থাকে বর-কনের। নতুন এক জীবনে প্রবেশে ছবিগুলো তারা রাখতে চান যত্নে। এর সঙ্গে আবেগ জড়িত, ভালোবাসা জড়িত। আর সেই ছবিগুলো তোলার জন্যও দরকার ভালো প্রস্তুতি। কয়েক ধাপে ওয়েডিং ফটোগ্রাফি সফল করে তুলতে পারেন।

ফটোগ্রাফার নির্বাচন: ফটোগ্রাফার নির্বাচনের ক্ষেত্রে ঝুঁকি নিতে না চাইলে প্রথমেই খোঁজ নিন কার রেকর্ড ভালো। এছাড়া আর্থিকভাবে সমন্বয় আছে কিনা। সব ঠিক থাকলে তবেই ফটোগ্রাফার নির্বাচন করুন।

ভালো ছবির জন্য বর-কনের প্রস্তুতি প্রয়োজন: স্মৃতির অ্যালবামে ঝলমলে সব ছবি ধরে রাখার জন্য পরিপূর্ণ ওয়েডিং ফটোগ্রাফি হতে পারে প্রি-ওয়েডিং, গায়েহলুদ, বিয়ের মূল অনুষ্ঠান, বউভাত (পোস্ট ওয়েডিং) ফটোশুটের মাধ্যমে।

ভালো ছবি পাওয়ার জন্য ফটোগ্রাফারের সঙ্গে বর-কনের বন্ধুত্ব গড়ে তুলতে হবে। এর জন্য ফটোগ্রাফারের সঙ্গে বর-কনের ফটো আড্ডাটা মাস্ট। ফটোগ্রাফির লোকেশন নিয়ে আলোচনা করে নিতে হবে এবং কোন ছবির জন্য কেমন সাজ-পোশাক রাখতে চান তাও ফটোগ্রাফারকে জানাতে হবে। ফটোগ্রাফার নির্বাচন করার পর শুধু বর-কনে পরিচিত হলেই হবে না। মনে রাখতে হবে ওয়েডিং ফটোগ্রাফি মানে দুইটি পরিবারের আনন্দ ধরে রাখার মহামূল্যবান ফ্রেম। তাই পরিবারের নিকটজনদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে ভুলবেন না।

সাজের প্রস্তুতি: কনে একটি ভালো মানের পার্লার থেকে ব্রাইডাল প্যাকেজে সাজতে পারেন। আর বরের জন্যও প্রয়োজন চুল ও ত্বকের যত্ন। রূপবিশেষজ্ঞরা বরকে বিয়ের দুই-একদিন আগে ব্রাইটনিং ফেসিয়াল করার পরামর্শ দেন। আর হ্যাঁ, চুলে দিতে হবে মুখের সঙ্গে মানানসই কাট। তাই বলে মেকআপ করার উদ্যোগ নিতে যাবেন না। বরের মুখে মেকআপ থাকলে মুখে অসস্তিকর আভা দেখা দিতে পারে।

বিয়ের স্টেজ নিয়ে আলোচনা: স্টেজের পেছনে কি টুনিবাতি থাকবে? থাকলে কতটুকু দুরত্বে রাখতে হবে ফটোগ্রাফারের সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলে নিতে হবে। ওয়েডিং ফটোগ্রাফার সঠিক নির্দেশনা দিতে পারবেন। ছবি তোলার সাথে লাইট ও শেডের সরাসরি প্রভাব আছে। বিয়ে বাড়ির ডেকোরেশনের রং আর পোশাকের রং ম্যাচ না করলে মনের মতো ছবি পাবেন না। বিয়ে বাড়ি ডেকোরেশনের দায়িত্ব যাকে দিচ্ছেন, ফটোগ্রাফারের নির্দেশনা তাকে বুঝিয়ে দিতে হবে।

কয়টি ছবি চান: অ্যালবামে কয়টি ছবি থাকবে সেটা ঠিক করে নিন। এটা আপনার বাজেটের সঙ্গে যুক্তিযুক্ত। সাধারণত ২০০ থেকে ৩০০ ছবির অ্যালবাম থাকে প্যাকেজে। তবে এ ক্ষেত্রে একটা সুবিধা রয়েছে। ছবি তোলার পর প্রতিটা ছবির সফট কপিই ফটোগ্রাফার আপনাকে দিয়ে দেবেন। পছন্দ মতো বেছে দিলে শুধু সেই ছবিগুলো প্রিন্ট করে নিন। তারপর সাজিয়ে রাখুন অ্যালবামের পাতায়।

ওয়েডিং ফটোগ্রাফির জনপ্রিয় সব প্রতিষ্ঠানের খোঁজ: আর্টল্যান্ড, ওয়েডিং কালারস, পেনোরোমা, কে’নাসিফ ফটোগ্রাফি, সাকিয়াম’স ফটোগ্রাফি, ক্লিকার’স ল্যাব, সেবা এক্সওয়াইজেডসহ আরও অনেক প্রতিষ্ঠান।

ঢাকা/স্বরলিপি/শান্ত

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়