ঢাকা     শুক্রবার   ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  অগ্রহায়ণ ২০ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

সন্তানকে টাকার গুরুত্ব বোঝানোর জন্য এই নিয়মগুলো মানতে পারেন

লাইফস্টাইল ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৮:৩৪, ১৮ জুলাই ২০২৫   আপডেট: ০৮:৪৩, ১৮ জুলাই ২০২৫
সন্তানকে টাকার গুরুত্ব বোঝানোর জন্য এই নিয়মগুলো মানতে পারেন

ছবি: প্রতীকী

নবাব পরিবারের কন্যা সোহা আলি খান। বাবা মনসুর আলি খান পতৌদি ছোট বেলা থেকে টাকার গুরুত্ব বুঝিয়েছিলেন তাকে। এক সাক্ষাৎকারে সোহা আলি খান জানান, ‘‘বাবা পেট্রোল এবং বিদ্যুতের খরচ নিয়ে সচেতন থাকতেন সব সময়। বাড়ির বিভিন্ন জায়গায় তিনি কাগজে সাঁটিয়ে রাখতেন মনে করে আলো বন্ধ করার কথা। কখনও বাবাকে অতিরিক্ত কেনাকাটা করতে দেখিনি।’’ সোহা আলী খানের মা  শর্মিলা ঠাকুরও সব সময় সংসারের হিসার-নিকাশ খাতায় টুকে রাখতেন।

মনোবিদরা বলেন, ‘‘সন্তানকে টাকার গুরুত্ব বোঝাতে হলে তাকে জিনিসের অপচয় বন্ধ করার শিক্ষা ছোটবেলা থেকেই দিতে হবে। বাবা-মা যদি নিজেরা যদি এই নিয়ম মানেন তাহলে সন্তানও তাই দেখবে এবং শিখবে।’’

আরো পড়ুন:

মোহিতও বলছেন, ‘‘জিনিসের মূল্য ছোট থেকেই তাদের বোঝানো যায়। আদিবাসী সংস্কৃতি যেমন প্রকৃতির সম্পদ একাকী ব্যবহার না করে সকলের মধ্যে বিলিয়ে দেওয়ার কথা বলে, ভবিষ্যতের জন্য সংরক্ষণের বার্তা দেয়, তেমনটাই কিন্তু শিশুকেও শেখানো যায়। শুধু অর্থ নয়, বিদ্যুৎ, জল— সবটাই বুঝে ব্যবহার করতে হয়। এক জন অনাবশ্যক খরচ করলে অন্যের অসুবিধা হয়, এই নৈতিক শিক্ষাও কিন্তু সন্তানের বড় হওয়ার পাথেয় হতে পারে।’’

সোহা জানিয়েছেন, অর্থ কী ভাবে সাশ্রয় করতে হয়, কৌশলে সেই শিক্ষাও তিনি ছোট বয়সেই বাবার কাছে পেয়েছেন। সোহাকে একবার একজন ৫০০ টাকা উপহার দিয়েছিলেন। মনসুর আলি সোহাকে পরামর্শ দিলেন, ওই টাকা খরচ না করার জন্য। আর বললেন, যদি তুমি এই টাকা খরচ না করো, তাহলে আগামী বছর এই দিনে তোমাকে ৫০ টাকা করে দেবো।–

বাবার সেই উৎসাহ কাজে লেগেছিলো। সোহা আলী খান ওই ৫০০ টাকা জমিয়ে রাখেন। পরের বছর বাবার কাছ থেকে ৫০ টাকা পান। সোহা আলী খান ওই টাকাও খরচ করেননি। এরপর টানা ২৫ বছর বাবার কাছ থেকে টাকা পেয়েছেন তিনি। এই ছোট একটি কাজের মাধ্যমেই তিনি বুঝে যান কীভাবে টাকা জমাতে হয়।
মনোবিদেরাও বলছেন, ‘‘যেসব অভিভাবক সন্তানকে চাওয়ার আগেই সব কিছু দিয়ে দেন, সেই সন্তানেরা অর্থের মূল্য বোঝে কম।’’ 

কীভাবে সন্তানকে সঞ্চয়ী হতে শেখাবেন?

মাটির ব্যাংক কিনে দিন: মাটির ব্যাংক কিনে দিয়ে তাকে টাকা জমাতে বলতে পারেন। টাকা জমলে সেই টাকায় তাকে ভালো কিছু কিনে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিতে পারেন। 

খরচ থেকে সঞ্চয়: সন্তান একটু বড় হলে তাকে বোঝাতে হবে দৈনন্দিন খরচের বাইরেও টাকার দরকার হয়। পরিবারের কেউ যদি অসুস্থ হয়ে পড়ে তাহলে তার চিকিৎসার জন্য টাকা দরকার। এজন্য টাকা জমানো প্রয়োজন। 

উল্লেখ্য,  উৎসবে সন্তানকে একটি বাজেট দিতে পারেন। তাকে বলতে পারেন, এত টাকার মধ্যেই জামা, জুতাসহ অন্যান জিনিস কিনতে হবে। এরপর সেই ঠিক করবে— কত টাকার জামা নেবে, কত টাকার জুতা নেবে?

ঢাকা/লিপি

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়